ঠাকুরগাঁওয়ে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
Published: 23rd, May 2025 GMT
ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জে সাবিরা আকতার ইতি ও সংগিতা রানী নামে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এদের একজন গলায় ফাঁস দেন এবং অপরজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) পীরগঞ্জ উপজেলায় এ দুটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের করনাই হাটপাড়া গ্রামের মঈনুদ্দিনের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী সাবিরা আকতার ইতি বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির লোকজনের অগোচরে নিজ শয়ন ঘরের বারান্দার তিরের সাথে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে বাড়ির লোকজন তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। সন্ধ্যায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
অন্যদিকে এ উপজেলার শাটিয়া গ্রামের গবেশ্বরের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী সংগিতা রানী গত ১৮ মে দুপুরে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘কি কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্নহত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর একজন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। দুটি ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
ঢাকা/হিমেল/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র থ প রগঞ জ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে ‘পল্লিচিকিৎসকের ছুরিকাঘাতে’ এক তরুণের মৃত্যু
নোয়াখালী সদর উপজেলায় ছুরিকাঘাতে আবুল হোসেন ওরফে রাফি (১৮) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি ছুরিকাঘাতে আহত হন। পরে রাত ১২টার দিকে নোয়াখালী থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত আবুল হোসেন অশ্বদিয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের মো. আজাদের ছেলে। তিনি কবিরহাট সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গতকাল বিকেলে অশ্বদিয়া ইউনিয়নের সোলেমান উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলছিলেন আবুল হোসেন ও তাঁর বন্ধুরা। খেলার সময় আঘাত পেয়ে রুমন নামে তাঁর এক বন্ধুর ঠোঁট ফেটে যায়। রুমনকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য স্থানীয় চাঁন মিয়ার মোড়ের পল্লিচিকিৎসক মো. শাহীনের কাছে নিয়ে যান আবুল হোসেন। সেখানে পল্লিচিকিৎসক শাহীনের সঙ্গে আবুল হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে ওই পল্লিচিকিৎসক আবুল হোসেনকে ছুরিকাঘাত করেন।
আবুল হোসেনের বন্ধু মো. সায়েম প্রথম আলোকে বলেন, ওই পল্লিচিকিৎসক রুমনকে চিকিৎসা দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। এ নিয়ে আবুল হোসেনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পল্লিচিকিৎসক শাহীন পাশের চায়ের দোকান থেকে একটি ছুরি এনে আবুল হোসেনের গলার নিচে আঘাত করেন। এরপর আবুল হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
সায়েম বলেন, তাঁর বন্ধু আবুল হোসেন অশ্বদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি বিগত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। বন্ধুকে হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শাহরিয়ার বলেন, ওই তরুণের গলার ভেতরে তিন ইঞ্চির মতো কেটে গেছে এবং ধমনি ছিঁড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পরপরই থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত পল্লিচিকিৎসককে পাওয়া যায়নি। তিনি এর আগেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, খেলায় আহত তরুণকে চিকিৎসা করানো নিয়ে তর্কাতর্কির মধ্যে ওই পল্লিচিকিৎসক আবুল হোসেনকে ছুরিকাঘাত করেছেন। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।