মিশেল ইয়ং-এর সারা জাগানো বই ‘দ্য আর্ট স্পাই: দ্য এক্সট্রাঅর্ডিনারি আনটোল্ড টেল অফ ওয়ার্ল্ড ওয়ার টু রেজিস্ট্যান্স হিরো রোজ ভ্যাল্যান্ড’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চুরি যাওয়া ৬০ হাজারের অধিক শিল্পকর্ম উদ্ধারের জন্য লিজিয়ন ডি’অনার পাওয়া রোজ ভ্যাল্যান্ডের অপ্রকাশিত গল্প ঘিরে সাজানো বইয়ে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন দিক এবং গুপ্তচরবৃত্তির পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। গল্পটি মূলত ফ্রান্সের জিউ দে পাউমে জাদুঘরে ঘটে। জাদুঘরে ভ্যাল্যান্ড একজন অবৈতনিক সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে তিনি সংগ্রহশালার প্রধান এবং বেতনভুক্ত কিউরেটরের পদে উন্নীত হন। গুরুত্বপূর্ণ এই সংগ্রহশালা ও শিল্পকর্ম ঘিরে আবর্তিত হয় মূল রচনা।
পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক মিশেল ইয়ংয়ের লেখার ধরন উদ্যমী এবং ঔপন্যাসিক। বইটি ছোট ছোট অধ্যায়ে বিভক্ত; যেখানে নাটকীয় ক্লিফহ্যাঙ্গার এবং ঐতিহাসিক ঘটনাবলিকে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যদিও সমালোচকদের মতে, বইটি মাঝে মাঝে হ্যাজিওগ্রাফির দিকে ঝুঁকে পড়ে। যেখানে শুধু ভ্যাল্যান্ডের সুন্দর বস্তুর প্রতি আকর্ষণের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে একজন মানুষ হিসেবে সম্পূর্ণরূপে বিকশিত করা হয়নি।
১৯৮০ সালে বেলজিয়ামে থাকাকালীন ইতিহাসবিদ লিন এইচ.

নিকোলাস দ্য ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউনে আর্ট কিউরেটর রোজ ভ্যাল্যান্ডের একটি শোকবার্তা পড়েন এবং অপ্রকাশিত নানা বিষয় সম্পর্কে জানেন। কোলাস সংগৃহীত অসংখ্য শিল্পকর্ম দেখে হতবাক হন। বাকি শিল্পকর্মগুলো কোথায়?–এই ভাবনা থেকে গল্পগুলো একত্র করার প্রয়াস চলে প্রায় এক দশক ধরে। ফলে ১৯৯৪ সালে তাঁর ঐতিহাসিক বই ‘দ্য রেপ অফ ইউরোপা’ প্রকাশিত হয়। যার ফলে এমন চুরি সম্পর্কে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং একটি আন্তর্জাতিক পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। 
নাৎসি বাহিনী ফরাসি ইহুদি ব্যবসায়ী এবং রাষ্ট্র থেকে বঞ্চিত নাগরিকদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত শিল্পকর্ম ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। ফ্রান্স জার্মানির হাতে পতন হলে জাদুঘরটি দখল করে। ফরাসি জাতীয় সংগ্রহশালার প্রধান জ্যাক জাউজার্ড রোজ ভ্যাল্যান্ডকে যে উপায়ে ভবনটিতে থাকতে বলেন এবং জার্মানদের হাতে চলে যাওয়া সমস্ত শিল্পকর্মের তালিকা সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। তিনি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজটি করেন। যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত যেন জার্মানরা তাঁকে সন্দেহ করতে না পারেন তিনি সেই পটভূমি তৈরি করেন।
অনেক বিবরণে ভ্যাল্যান্ডকে একজন লোভী ও প্রতিরোধ কর্মী হিসেবে চিত্রিত করা হলেও মিশেল ইয়ং আরও সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গিতে জাদুঘরের বাইরে ভ্যাল্যান্ডের ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ করেছেন। যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে সচিব জয়েস হিরের সঙ্গে ভ্যাল্যান্ডের দীর্ঘ সম্পর্কের বিষয়ে লিখেছেন। জয়েস বহুভাষী হিসেবে ভ্যাল্যান্ডকে জার্মান নথিগুলো বোঝাতে সাহায্য করতেন; যাকে বহির্মুখী এবং মনোমুগ্ধকর প্রতিপক্ষ বলে উল্লেখ করা হয়। ইয়ং দক্ষতার সঙ্গে ভ্যাল্যান্ডের বিবরণের আবেগপূর্ণ উপাদানগুলো তুলে ধরেছেন মনে হলেও অনেকের মতে এটি ভ্যাল্যান্ড সম্পর্কে সম্পূর্ণ নতুন ধারণার জন্য পর্যাপ্ত নতুন উপাদান ও ব্যক্তিগত অন্তর্দৃষ্টি প্রদান এবং তাঁর ব্যক্তিগত জগতে টানতে সক্ষম নয়। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বই শ ল পকর ম প রক শ ত

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধন বিশ্বাসের ‘সিক্রেট’-এ অপু-আদর

তরুণ নির্মাতা বন্ধন বিশ্বাসের নতুন সিনেমা ‘সিক্রেট’। এতে জুটি বাঁধছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস ও চিত্রনায়ক আদর আজাদ। গতকাল রাজধানীর মালিবাগে জমকালো সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেমাটির ঘোষণা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীরা। 

অপু বিশ্বাসের প্রশংসা করে নির্মাতা বন্ধন বিশ্বাস বলেন, “অপুর সঙ্গে এটি আমার তৃতীয় সিনেমা। দিদির সঙ্গে কাজ করে সবসময় এক ধরনের প্রশান্তি পাই। তিনি খুব হেল্পফুল একজন শিল্পী। গল্প শুনেই তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই সিনেমায় অপুর বিপরীতে থাকছেন দুজন নায়ক। আমাদের নতুন যাত্রার জন্য সবার দোয়া চাই।” 

আরো পড়ুন:

কীভাবে এই খবর ছড়াল, প্রশ্ন ইধিকার

শাকিব খানের যে পরামর্শ মেনে চলেন অপু বিশ্বাস

দুই বছর পর বড় পর্দায় ফিরছেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, “দীর্ঘ বিরতির পর ‘সিক্রেট’-এ যুক্ত হলাম। আমার বিপরীতে দুজন সুদর্শন নায়ক কাজ করছেন, তাদের একজন আদর আজাদ পরীক্ষিত অভিনেতা। আরেকজন ছোট পর্দার পরিচিত মুখ, তার এটি প্রথম সিনেমা; আমরা তাকে স্বাগত জানাই। বন্ধন বিশ্বাসের সঙ্গে এটি আমার তৃতীয় কাজ। তিনি একজন পরীক্ষিত পরিচালক। সব মিলিয়ে আশা করছি, দর্শকদের জন্য ভালো একটি সিনেমা হবে।” 

প্রযোজককে ধন্যবাদ জানিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, “তিনি আমাদের বুলিং করেন—তবে পজিটিভলি! এখন সময়টা ভালো। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে হোক বা অন্য যেকোনো কারণে সিনেমা আবার ভালো জায়গায় ফিরছে। অনেক প্রযোজক শাকিব খান ছাড়া সিনেমা নির্মাণে আগ্রহ দেখান না। এমন সময়ে আদর আজাদ ও নতুন নায়ককে নিয়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করায় এমকে প্রোডাকশনকে ধন্যবাদ জানাই।” 

এই সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা পীযূস সেন। অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমাটির প্রযোজকও তিনি।  

দুই দশকের বেশি সময় ধরে ঢালিউডে দাপুটে অবস্থান ধরে রেখেছেন অপু বিশ্বাস। অভিনয় করেছেন শতাধিক সিনেমায়; এর মধ্যে প্রায় ৮০টির নায়ক ছিলেন শাকিব খান। মান্না, অমিত হাসান, কাজী মারুফ, নিরব, বাপ্পী, সাইমন সাদিক, ইমন, জয় চৌধুরীসহ বহু নায়কের বিপরীতে কাজ করেছেন তিনি। 

অন্যদিকে, আদর আজাদ ‘ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম: দ্য আল্টিমেট ম্যান’ রিয়েলিটি শোর ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন। প্রথমে নাটক ও বিজ্ঞাপনে পথচলা শুরু করলেও কয়েক বছর ধরে নিয়মিত সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। নিশাত সালওয়া, পূজা চেরী ও শবনম বুবলীর বিপরীতে কাজ করে আলোচনায় এসেছেন এই নায়ক।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রায় ৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশি সহায়তায় সচিবালয় ছাড়লেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ‘আমিরুল বিশ্বসেরাদের একজন হতে পারে’
  • চার নায়িকার ‘ট্রাইব্যুনাল’, দেখা যাবে ঈদে
  • কামিন্স তো ফিরেছেনই, অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে আরও যাঁরা আছেন
  • সন্তান জন্মে কেন সি সেকশন দরকার হয়
  • বিশ্বজিৎ হত্যার দৃশ্যচিত্র আজো দেশের মানুষকে কাঁদায়: অধ্যাপক রইছ
  • যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো বন্দুক হামলা, শিক্ষার্থী নিহত
  • বিমানবিধ্বংসী কামান থেকে বের হচ্ছিল সাদা ধোঁয়ার কুণ্ডলী
  • রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে অস্ত্র তৈরিতে ভারতের উৎপাদনকারীদের গোপন বৈঠক
  • বন্ধন বিশ্বাসের ‘সিক্রেট’-এ অপু-আদর