তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কেন আমির খান? জবার দিলেন সুনীল শেঠি
Published: 24th, May 2025 GMT
আমির খানের সময়টা একটু খারাপই যাচ্ছে। তার অভিনীত শেষ সিনেমা ‘লাল সিং চাড্ডা’ বক্স অফিসে ঝড় তুলতে পারেনি। ওই সিনেমার অনেক অংশ শুটিং হয়েছিল তুরস্কে। সে সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলিউড সুপারস্টার আমির খান। সে সময় আমির খানকে দেশ বিরোধী তকমা দিয়েছিল ভারতের অনেকেই। ‘লাল সিং চাড্ডা’ ওটিটিতে মুক্তি দেওয়া হয়, সেখানেও দর্শকের চাহিদা খুব একটা বেশি ছিল না। বর্তমানে নতুন সিনেমায় কাজ করছেন এই বলি তারকা। এরই মধ্যে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তোলা আমিরখানে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা নতুন করে ক্ষোভ ঝাড়ছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে করমর্দন এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে দেরিতে প্রতিক্রিয়া দেখানোর জের ধরে আমির খানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোর আলোচনা চলছে। এবার বলিউডের আরেক তারকা অভিনেতা নেটিজেনদের কথার উত্তর দিয়েছেন। সুনীল শেঠি বলেন, ‘‘ প্রত্যেকে বলিউডের পেছনে লাগে। রাজনীতিতে বলিউডের প্রসঙ্গ আসে কোথা থেকে? দেশের বিষয়ে তো রাজনীতিকেরা কথা বলবেন। যদিও দেশের স্বার্থে কিছু হলে, আমরা সেটা সমর্থন দিতে পারি। সেজন্যই আমরা দেশাত্মবোধক সিনেমা বানাই। আমরা তো আমাদের কাজ করছি।”
তুরস্কে আমিরের ছবি প্রসঙ্গে সুনীল বলেন, “মানুষের অতীত মনে রাখা উচিত নয়। অতীত আজকের সময়ের প্রতিনিধিত্ব করে না। তাই ভবিষ্যতে আমরা কী করছি, সেটাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বড় কোনও অনুষ্ঠানে গেলে, কারও মাথায় থাকে না, কে কার সঙ্গে ছবি তুলছে।’’
আরো পড়ুন:
ফারিয়াকে গ্রেপ্তার, বিপদে ফজলুর রহমান বাবু
মুনমুনের উপস্থাপনা এখনও মিস করেন অনেকেই
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ‘তারে জমিন পার’ আমির খান পরিচালিত প্রথম সিনেমা। যা ভারতীয় সিনেমায় একটি মাইলফলক। এটি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য, সৃজনশীলতা ও শিক্ষাব্যবস্থার জটিলতা নিয়ে নির্মিত। এবার ‘সিতারে জমিন পার’ এ দেখা যাবে আমির খানকে। এটিকে স্পিরিচুয়াল সিকুয়েল বলা যায়। সিনেমাটি স্পোর্টস, কমেডি, ড্রামা দিয়ে পরিপূর্ণ হবে। যেখানে মূল চরিত্রে থাকবে একঝাঁক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু। আমির খানকে দেখা যাবে একজন অনুপ্রেরণাদায়ী কোচের ভূমিকায়।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র খ ন ত রস ক র প র আম র খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সফল হবে: জাহিদ হোসেন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সফল হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অগ্নিসেনা সোশ্যাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত বর্তমান রাজনীতি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষ তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) পেছনে আছে। কিন্তু, ওনাকে (প্রধান উপদেষ্টা) যারা বিভিন্নভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করে, এখনো সময় আছে লাগাম টেনে ধরুন। রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করবেন না।
উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্য করে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আপনারা যা ইচ্ছে তা করছেন। মনে হচ্ছে, এটা আপনাদের পৈতৃক সম্পত্তি। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে কে যাবে আসবে আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন, মনে হচ্ছে জনগণের কোনো দায় নেই। যেমনটা পতিত স্বৈরাচার করতো। কিন্তু, আপনারা এসব দায় ইউনূস স্যারের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন। ড. ইউনূসকে বিতর্কিত করার জন্য উপদেষ্টা কাউন্সিলের অনেক সদস্য জড়িত।
উপদেষ্টাদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, অতীতকে আপনি ভুলে যাবেন না। প্রথমে বয়ান দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট- এটি নাকি দ্বিতীয় জন্ম; এসব কথা বলার চেষ্টা করলেন। কিন্তু ৪৭ যদি না হতো, ৭১ পেতেন না। ৭১ না হলে ২৪ হতো কিনা বিরাট বড় প্রশ্ন। কাজেই মনে রাখতে হবে, ইতিহাসের ধারাবাহিকতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা করবেন না। যার যতটুকু অবদান, সেটাকে স্বীকার করার মধ্যেই সত্যিকার অর্থে বীরত্ব আছে। আপনি যে দেশের ভালো চান, সেটি প্রমাণ করুন। আর যদি এককভাবে কিছু করেন তাহলে পতিত স্বৈরাচার সরকারের মতো অবস্থা আপনাদেরও হতে পারে।
এনসিপিকে উদ্দেশ্য করে জাহিদ হোসেন বলেন, আজকে কেন আন্দোলন হবে এই উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে। কারণ আপনারা আইন আদালতকে বিশ্বাস করেন না। আইন আদালত যখন আপনাদের পক্ষে থাকে তখন আপনারা খুশি। আর যখন বিপক্ষে যায়, তখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এটা কী! এগুলো তো শেখ হাসিনার মানসিকতা। সবসময় আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্র-জনতা মাঠে থাকে। পরে দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেয় কাদেরকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে। কিন্তু, এখানে এটা উল্টো হয়েছে। আপনারা নিজেদের ট্যাগ ধরে ফেলেছেন। আপনারা সব কৃতিত্ব নিজেদের দাবি করেন। অন্য সবাইকে আপনারা অপমানিত করলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। জুলাই-আগস্ট মাসে তারা সেটি প্রমাণ করেছে। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে গেলে আপনারা নিজেরাই বিতর্কিত হয়ে যাবেন। আপনাদের দাবি থাকতেই পারে। কিন্তু রাত ১২টার সময় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যমুনা ঘেরাও করেন। দাবি করারও তো একটা সিস্টেম আছে। আপনারা মনে করেন, এই সরকার আপনাদের নিজের। অবশ্যই এর জন্য সরকারের কতিপয় ব্যক্তিও দায়ী। কারণ ওনারা কেউ উপদেষ্টা হয়েছেন এবং ক্ষমতা দেখাচ্ছেন। পতিত স্বৈরাচারও ক্ষমতা দেখিয়েছিল, কিন্তু টেকেনি।
অগ্নিসেনা সোশ্যাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তালুকদার জহিরুল হক তুহিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।