Samakal:
2025-08-02@06:34:32 GMT

ঢলে কাঠের সেতুর দফারফা

Published: 24th, May 2025 GMT

ঢলে কাঠের সেতুর দফারফা

জ্যৈষ্ঠের পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেল ধোপাছড়ি খালের ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি। ফলে চন্দনাইশের দুর্গম পাহাড়ি জনপদ ধোপাছড়ি ইউনিয়নের দুই পারের মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন। আবারও নৌকায় করে মানুষকে পারাপার করতে হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে পাহাড়ি অঞ্চলটিতে অঝোরধারায় বৃষ্টি নামে; যা বিরামহীন চলে বিকেল পর্যন্ত। প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢল ধোপাছড়ি খাল হয়ে পড়ে শঙ্খনদীতে। ঢলের তীব্রতায় বেলা ৩টার দিকে সেতুটি মাঝখান বরাবর ভেঙে যায়। এ সময় সেতুর ওপর কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, ধোপাছড়ি ইউনিয়নে রয়েছে নদী, পাহাড় ও সমতলের সৌন্দর্য। এটি এখন পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ইউনিয়নে যুগ যুগ ধরে একসঙ্গে বাস করে আসছেন বাঙালি, মারমা, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইউনিয়নটি অনেক পিছিয়ে রয়েছে। 
ধোপাছড়ি ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ধোপাছড়ি খাল এই ইউনিয়নের মানুষকে দু’ভাগে বিভক্ত করেছে। পাহাড় থেকে সৃষ্টি হয়ে খালটি মিশেছে শঙ্খ নদীর সঙ্গে। খালটি দিয়ে প্রতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের পানি তীব্র গতিতে প্রবেশ করে শঙ্খ নদীতে। বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার হতেন ইউনিয়নের ১ নম্বর ও ২ নম্বর ওয়ার্ড শঙ্খকুল, চেমিরমুখ এলাকার সহস্রাধিক মানুষ। অনেক আবেদনে নিবেদনের 
পরও খালে হয়নি পাকা সেতু। 
সর্বশেষ ২০২৩ সালের অক্টোবরে চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০০ মিটার দীর্ঘ ও ৭ ফুট প্রস্থের একটি  কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। তখন থেকেই সেতুটি দিয়ে মানুষ পায়ে হেঁটে পারাপার করতেন। পাশাপাশি মোটর সাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারি রিকশা, টমটমসহ ছোট ছোট যানবাহনও চলাচল করত। কিন্তু ধোপাছড়িবাসীর দুঃখ যেন শেষ হবার নয়। গত বৃহস্পতিবার অবিরাম বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে সেতুটি ভেঙ্গে যায়। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছের শঙ্খকুল ও চেমিরমুখ এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে স্কুল, কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। 
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

রাজিব হোসেন বলেন, ‘ধোপাছড়ি খালের উপর নির্মিত কাঠের সেতুটি মধ্যখান বরাবর ভেঙ্গে গেছে। আমি ইতিমধ্যে পিআইও অফিসারের সাথে কথা বলেছি। আপাতত আগের মতো নৌকায় মানুষ পারাপারের ব্যবস্থা করা হবে। পরে সেতুটি মেরামত করে পুনরায় চলাচল উপযোগী করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধোপাছড়ি খালের উপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডির পর উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।’ 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ