১৬ উপজেলার শিক্ষক-কর্মচারী পাচ্ছেন বিশেষ ভাতা
Published: 25th, May 2025 GMT
দেশের ১৬ উপজেলার হাওর, দ্বীপ ও চরাঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা বিশেষ ভাতা পেতে যাচ্ছেন। এ জন্য ৭ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ টাকা বরাদ্দ চেয়ে অর্থ বিভাগে চিঠি দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১৬ উপজেলা হলো– কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, নোয়াখালীর হাতিয়া, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চর রাজীবপুর, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, ভোলার মনপুরা, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, শাল্লা ও দোয়ারাবাজার, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুরী।
রোববার মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখার যুগ্ম সচিব রেবেকা সুলতানার সই করা চিঠি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ১৬টি উপজেলাকে হাওর/চর/দ্বীপ উপজেলা ঘোষণা করে। অর্থ বিভাগ ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি এসব উপজেলায় কর্মরতদের মাসিক হাওর/চর/দ্বীপ ভাতার হার নির্ধারণ করে। পরে অর্থ বিভাগ জানায়, ১৬ উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা নিজ উপজেলায় কর্মরত থাকলে তিনি এ ভাতা পাবেন না।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজ নিজ উপজেলায় নিয়োগ পেয়ে কাজ করেন। হাওর/দ্বীপ/চরাঞ্চলে নিয়োগ পেলে শিক্ষকদের ঝুঁকি নিয়ে কাঁচা রাস্তার পথ হেঁটে, দুর্গম হাওর, দ্বীপ ও নদীপথ পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। বিশেষ করে নারী শিক্ষকদের অনেক ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে হয়। ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেশির ভাগ নারী হওয়ায় ভালো এলাকায় পদ শূন্য হলে তারা বদলি সূত্রে চলে যান। এতে এসব অঞ্চলের বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ শূন্য থাকে। বিদ্যালয়ে পাঠদান বিঘ্নিত হয়।
হাওর/দ্বীপ/চরাঞ্চল ঘোষিত ১৬ উপজেলায় বর্তমানে ১ হাজার ৩০৭ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। গত ২ মার্চ অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং ১২ মে অর্থ বিভাগের সচিবের সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় সভায় আর্থিক সংশ্লেষসহ প্রস্তাব পাঠাতে অর্থ বিভাগ থেকে অনুরোধ জানানো হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অর থ ব ভ গ ১৬ উপজ ল উপজ ল য় মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আইটি গেট সংলগ্ন বিএনপি নেতার দলীয় কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ইমদাদুল নামে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) ও মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খায়রুল বাশার।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
নবীনগরে গুলিবিদ্ধ ৩
তিনি বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভেতর ভুসি রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর ভেতরেই বোমা নিয়ে আসা হয়েছিল।” পেশাদার কিলারের সম্পৃক্তা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ওসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসেছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুইটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। পরে নেতাকর্মী ও স্বজনরা গুরুতর আহত মামুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, “যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”
যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, “ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়িগেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ