চার দিনের টেস্ট তিন দিনেই হেরে গেছে, তাও আবার ইনিংস ও ৪৫ রানের ব্যবধানে। তবে এমন হারেও ব্যথিত নয় জিম্বাবুয়ে; বরং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ট্রেন্টব্রিজের মতো স্টেডিয়ামে টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছে, তাতেই খুশি ক্রেগ আরভিনরা। ম্যাচ হারার পর আতিথেয়তা দেওয়ার জন্য তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে।

আসলে ২২ বছর পর ইংল্যান্ডের আমন্ত্রণ পেয়ে নতুন করে নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটে প্রাণ খুঁজে পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। সে দেশের সাবেক শাসক রবার্ট মুগাবের শ্বেতাঙ্গদের ওপর বঞ্চনার অভিযোগ এনে প্রায় দুই যুগ বন্ধ ছিল দুই দেশের ক্রিকেট সম্পর্ক। এবার সবকিছু ভুলে আফ্রিকার দেশটির ক্রিকেটে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। সফরে জিম্বাবুয়ে দলকে সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ইসিবি। যাতায়াত, হোটেল খরচ, ম্যাচ ফি– সবই দিয়েছে তারা। এমনকি নটিংহ্যামে টেস্ট চলাকালে জিম্বাবুয়ের পর্যটন সংস্থাকেও মাঠে প্রচারণার সুযোগ করে দিয়েছে।

আর এমন আতিথেয়তা পেয়ে জিম্বাবুয়েও আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইংল্যান্ডকে। দেশটির ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের কাছে নতুন এক স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানেই ইংল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট দিয়ে উদ্বোধন করতে চায় জিম্বাবুয়ে। ২০২৭ থেকে ৩১ টেস্ট চক্রের কোনো এক সময় সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করবে বলে জিম্বাবুয়েকে কথা দিয়েছে ইসিবি।

৯ দল নিয়ে আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, সেখানে না থাকায় জিম্বাবুয়ের জন্য বড় দলগুলোর সঙ্গে লাল বলের ম্যাচ খেলাটা অনেকটাই কঠিন। একেতো সময় মেলে না, তার ওপর নিজেদের দেশে একটি টেস্ট আয়োজন করতে খরচ হয় প্রায় ৫ লাখ ডলার। সেখানে আইসিসি থেকে অনুদান হিসেবে তারা পেয়ে থাকে ১৩.

৫ মিলিয়ন ডলার। তা দিয়ে ২০২৭ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক হিসেবেই নতুন স্টেডিয়াম গড়ছে, যার সম্ভাব্য খরচ ৮ মিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া ঘরোয়া টুর্নামেন্ট এবং অন্যান্য অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিবছর ২.৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হয় তাদের। সেখানে আফগানিস্তান আর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট  আয়োজন করতেই খরচ হয় অনেক অর্থ। সে কারণেই ২০০৫ সালের পর থেকে মাত্র ৩৫ টেস্ট খেলার সুযোগ হয়েছে তাদের। গত আইসিসি সভায় ইসিবি প্রধানকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট অনুরোধ করেছিল একটি টেস্টে আমন্ত্রণ জানানোর। অতীতের তিক্ত সম্পর্ক ভুলে সেই আবদনে সাড়া দেয় ইসিবি।

এর আগে ২০০৩ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের মাঠে গিয়ে বিশ্বকাপ খেলেনি ইংল্যান্ড। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের ইংল্যান্ড সফরও বাতিল হয়েছিল। ২০০৯ ইংল্যান্ডে টি২০ বিশ্বকাপ বয়কট করেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে এবার ২০২৭ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে গিয়ে খেলার নিশ্চয়তা দিয়েছে ইসিবি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে

৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।

প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।

আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।

প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।

পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—

পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’

আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ