পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আমরা কী করলে হাতি আর লোকালয়ে আসবে না সেটা চিন্তা করতে হবে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে ১২টি হাতি মারা গেছে। এটা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়।” 

তিনি বলেন, “এই সমস্যাটা বহুদিনের। হাতি অবহেলিত হতে হতে চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। যার ফলটা এখন আমরা দেখছি। হাতিকে সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয়নি, মানুষকে বলা হয়েছে। মানুষ এখন সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে কী করলে  হাতি আর লোকালয়ে আসবে না, কী করা যাবে আর কী করা যাবে না তা আমাদের ভাবতে হবে। সেটা বুঝবার জন্যই আমি এসেছি।”

আরো পড়ুন: শেরপুরে উপদেষ্টার গাড়িবহরে থাকা সাংবাদিকদের ওপর হামলা, আহত ৬

আরো পড়ুন:

নির্বাচন ৩০ জুনের ওই পারে যাবে না, সবাই সন্তুষ্ট: প্রেস সচিব

বৈঠক শেষে মান্না: সরকারের মেয়াদ ‘স্পষ্ট’ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

সোমবার (২৬ মে) সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর দাওধারা এলাকায় সম্ভাব্য পর্যটন কেন্দ্র দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “হাতির জন্য অনুপযোগী যেসব গাছ যা আছে তা কাটতে হবে। হাতির বসবাস উপযোগী বনায়ন করতে হবে। একাশি ও আকাশমণি গাছ কাটার উপযোগী হোক না হোক কেটে ফেলতে হবে। ইতোমধ্যে বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর এই দুই ধরনের গাছ লাগানো নিষিদ্ধ করেছে। হাতি মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন করতে হলে তাকে হাঁটার যায়গা ও খাবার দিতে হবে।”

তিনি বলেন, “হাতি এবং মানুষের সহাবস্থানই সমস্যার সমাধান। কী করে সমস্যা সমাধান করা যায় সে জন্যই আজ আমরা এখানে এসেছি। এটা কোনভাবেই কাম্য নয় যে, মানুষ মারা যাবে হাতি মারা যাবে।” 

বনের জমি দখল করে বাড়িঘর তৈরির বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “কারো যদি আশ্রয় নেওয়ার কোথাও জায়গা না থাকে তাহলে সরকার তার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যবস্থা করবে। তিনি তো বনবিভাগের জায়গায় এসে থাকতে পারেন না। এটা হতেও পারে না।” 

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

পথের বিড়ম্বনা লিখে পাঠান এখনই

রাজপথে যানজটে বা বৃষ্টিজটে ২৯ মে ২০২৫ কে কতক্ষণ ছিলেন?
গতকাল বৃহস্পতিবার দিনে-রাতে ঢাকার রাস্তায় ছিল ভয়াবহ যানজট। অনেকেই গন্তব্যের উদ্দেশে বেরিয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে ছিলেন পথে, যানজটে, বৃষ্টিজটে। গাড়ি ছেড়ে হেঁটে বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। গতকালকের পথের বিড়ম্বনার অভিজ্ঞতা লিখে পাঠান প্রথম আলোয়।

প্রথম আলো ডটকমে আমরা প্রকাশ করব বাছাই করা লেখাগুলো। লেখা পাঠানোর ই-মেইল ঠিকানা: [email protected]। সম্ভব হলে নিজের তোলা ছবি পাঠাবেন। লেখা ৫০০ শব্দের মধ্যে হলে ভালো হয়। সেরা তিনজন লেখককে উপহার হিসেবে দেওয়া হবে প্রথমা প্রকাশিত বই। লেখা পাঠাবেন ৩০ মে, ২০২৫ বিকেল ৫টার মধ্যে।

বিভাগীয় সম্পাদক, পাঠকের লেখা, প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ