ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় সোমবার (২৬ মে) সকাল ১১টা ৫মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এদিন বিকেলে মামলায় পরীমণিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরা করার জন্য সময় ধার্য করেন বিচারক।
পরে সাড়ে ১১ টার দিকে আদালত থেকে জানানো হয়, বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে পরীমণির মামলার শুনানি হবে। এরপর গাড়িতে বসে ছিলেন পরীমণি। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নিজ গাড়িতেই বসে ছিলেন পরীমণি। এর মাঝে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে পরীমণি পক্ষে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পরীমণিকে জেরার তারিখ ধার্য করেন। পরে আদালত থেকে চলে যান পরীমণি।
এর আগে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে পরীমণি রাজকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন। সে সময় আসামি অমি ও শহীদুল হাজিরা দেন। তবে অসুস্থ থাকায় নাসির উদ্দিন সময়ের আবেদন করেন। দুই আসামির উপস্থিতিতে পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর আদালত তার আংশিক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আরো পড়ুন:
সুইসাইড করার মতো কোনো ইস্যু আমার জীবনে নাই: পরীমণি
পরীমনির পরামর্শ ‘ঘুমাও ঘুমাও, ঘুমই উত্তম’
গত বছরের ১৯ এপ্রিল নাসির ও অমির পক্ষে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। অন্যদিকে অব্যাহতির আবেদনের বিরোধিতা করেন বাদীপক্ষ। এছাড়া অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর গত বছরের ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা করেন পরীমণি।
তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন। অন্য দুই আসামি হলেন-তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম। এরপর গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন।
২০২১ সালের ৮ জুন রাতে ঢাকার অদূরের বিরুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে যান পরীমণি। সেদিন রাতে সেখানে তাকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন পরীমণি। পরে ১৪ জুন নাসির ও অমি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন তিনি।
ঢাকা/এম/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চিংড়ির মালাইকারী রান্না করে পাক্কা রাঁধুনিতে সেরা সাইমা
আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল চুলা, হাঁড়িপাতিল। টেবিলে সাজানো নানা পদের সবজি, মসলা। ফ্রিজে রাখা রুই, রুপচাঁদা, চিংড়ি থেকে শুরু করে গরুর মাংস কিংবা আস্ত মুরগি। হুইসেল বাজতেই শুরু হয় রাঁধুনিদের দৌড়। কেউ ঝুড়িতে তুলে নেন শুঁটকি, কেউ মাংস, কেউ মাছ। এরপর চলতে থাকে ৫০ মিনিটে রান্নার ‘পরীক্ষা’।
আজ বুধবার বিকেলে কনফিডেন্স সল্ট-প্রথম আলো ‘পাক্কা রাঁধুনি’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে এ চিত্র দেখা গেল। চট্টগ্রাম নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে চিংড়ির মালাইকারি ও বাঁধাকপির পায়েস রান্না করে প্রথম পুরস্কার জিতে নেন রাঁধুনি সাইমা আক্তার। স্বাদে, ঘ্রাণে বিচারকদের মন জয় করায় সর্বোচ্চ নম্বর তুলে নেন তিনি।
বন্দরনগর চট্টগ্রামে তৃতীয়বারের মতো রান্নার এত বড় আয়োজন হলো। এতে অংশ নিতে ৫০০ রাঁধুনি আবেদন করেছিলেন। সেখান থেকে প্রাথমিকভাবে ৮০ জনকে মনোনীত করা হয়। এরপর রেসিপি দেখে ৪০ জনকে দ্বিতীয় পর্বের জন্য নির্বাচিত করা হয়। সেখান থেকে ১০ জনকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য বাছাই করেন বিচারকেরা। বিচারক ছিলেন র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সু শেফ মো. খুরশেদ আলম, রন্ধনশিল্পী জেবুন্নেসা বেগম, ইসমত আরা আবেদিন, নাজনীন নাহার ইসলাম ও ফারহানা বীথি।
প্রতিযোগিতায় রাঁধুনিরা বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী সব পদ রান্না করেন। রুই মাছের কোরমা, চিংড়ির মালাইকারি, বগুড়ার আলুঘাঁটি, দোমাছা ভুনা, রুই রেজালা, পটোলের দোলমা, লইট্যা শুঁটকি ভুনা, চিংড়ি পোলাও—কী ছিল না চুলায়! বাহারি পদের এসব রান্নার ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছিল মিলনায়তনজুড়ে। সেরা তিন রাঁধুনি বেছে নিতে বেগ পেতে হয় বিচারকদের।
চিংড়ি পোলাও রান্না করে দ্বিতীয় হন ফারমিন আজাদ। গরুর মাংসের রেজালা ও মুখরোচক সালাদ বানিয়ে বিচারকদের মন জয় করে নেন জিন্নাত আরা। তিনি অর্জন করেন তৃতীয় পুরস্কার।
রান্নায় ব্যস্ত প্রতিযোগী রাঁধুনিরা। আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে