‘আয়েশা আদিত্য’ নাটকটি সরিয়ে নেওয়া হলো কেন
Published: 27th, May 2025 GMT
ইউটিউব থেকে ‘আয়েশা আদিত্য’ নামের একটি নাটক সরিয়ে নিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। নাটকটি প্রযোজনা করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কাহিনি।
আলাদা ধর্মাবলম্বী দুই তরুণ–তরুণীর গল্পে নাটকটি নির্মাণ করেছেন সজীব খান। নাটকটি সরিয়ে নিয়ে গত রোববার এক ফেসবুক পোস্টে দর্শকের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নির্মাতা সজীব খান।
নাটকটি সরিয়ে নেওয়ার কারণ হিসেবে লিখেছেন, ‘.
সজীব খানের ভাষ্য, ‘তারপরও এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি এবং আমার টিম ক্ষমাপ্রার্থী। নাটকটা ইতিমধ্যেই ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমি ভবিষ্যতে সতর্ক থাকব, যাতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।’
এতে মূল দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ ও সাবরিন আজাদ। পার্থ শেখও এক ফেসবুক পোস্টে ক্ষমা চেয়েছেন। ‘আয়েশা আদিত্য’ নাটকটি নিয়ে তরুণ অভিনেতা পার্থ শেখ লিখেছেন, ‘...এমন কোনো কাজ করব না যা মুসলিম ভাই–বোনদের অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে। তাই আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা চাচ্ছি। আমি কখনোই চাইনি কেউ কষ্ট পাক, বিশেষ করে আমাদের ইসলাম ধর্মের মূল্যবোধ বা ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত হোক। আমাকে সবাই ক্ষমা করবেন।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআরের মামলা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও (এনপিআর) এবং তাদের স্থানীয় তিনটি সম্প্রচার কেন্দ্র। মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল আদালতে একটি মামলা করে এনপিআর। প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমটির সরকারি অনুদানে কাটছাঁট করতে ট্রাম্প যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন, তা অবৈধ।
এনপিআরসহ আরেক সম্প্রচারমাধ্যম পিবিএসের সরকারি সহায়তা বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের করপোরেশন ফর পাবলিক ব্রডকাস্টিং ও অন্যান্য সংস্থাকে নির্দেশনা দিয়ে গত মাসে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গণমাধ্যম দুটির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারে ‘পক্ষপাতিত্ব’ করার অভিযোগ তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলের পেছনে প্রায় ৫০ কোটি ডলার খরচ করে করপোরেশন ফর পাবলিক ব্রডকাস্টিং। এ থেকে পিবিএস ও এনপিআর যথাক্রমে ১৭ শতাংশ ও ২ শতাংশ বরাদ্দ পায়।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সংবিধানবিরোধী উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পছন্দ করেন না—এমন সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য এনপিআরকে শাস্তি দিতে ওই নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছে। এই আদেশের মাধ্যমে সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে দেওয়া যে অধিকার এনপিআর ও স্বতন্ত্র সরকারি রেডিওগুলো ভোগ করে, তা খর্ব করা হয়েছে।
মঙ্গলবারের মামলায় নিজেদের নাম লেখায়নি পিবিএস। এর আগেও তারা বিষয়টি নিয়ে মামলা করেনি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই আদালতের দ্বারস্থ হবে সম্প্রচারমাধ্যমটি। এনপিআরের আগে ভয়েস অব আমেরিকা ও রেডিও ফ্রি ইউরোপের মতো সরকার পরিচালিত গণমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নানা প্রচেষ্টাও আদালতে গড়িয়েছিল।