ইউটিউব থেকে ‘আয়েশা আদিত্য’ নামের একটি নাটক সরিয়ে নিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। নাটকটি প্রযোজনা করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কাহিনি।

আলাদা ধর্মাবলম্বী দুই তরুণ–তরুণীর গল্পে নাটকটি নির্মাণ করেছেন সজীব খান। নাটকটি সরিয়ে নিয়ে গত রোববার এক ফেসবুক পোস্টে দর্শকের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নির্মাতা সজীব খান।

নাটকটি সরিয়ে নেওয়ার কারণ হিসেবে লিখেছেন, ‘.

..আমি বুঝতে পারি, নাটকটা আমার অনেক মুসলিম ভাই–বোনের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। যা পুরোটাই আমাদের অনিচ্ছাকৃত ভুল। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো দিনই চাইনি আমার কোনো কাজের দ্বারা আমার কোনো মুসলিম ভাই–বোন কেউ কষ্ট পাক।’

আরও পড়ুনবিতর্কের মুখে সরিয়ে নেওয়া সেই সিনেমায় কী আছে১৬ জানুয়ারি ২০২৪

সজীব খানের ভাষ্য, ‘তারপরও এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি এবং আমার টিম ক্ষমাপ্রার্থী। নাটকটা ইতিমধ্যেই ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমি ভবিষ্যতে সতর্ক থাকব, যাতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।’

এতে মূল দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ ও সাবরিন আজাদ। পার্থ শেখও এক ফেসবুক পোস্টে ক্ষমা চেয়েছেন। ‘আয়েশা আদিত্য’ নাটকটি নিয়ে তরুণ অভিনেতা পার্থ শেখ লিখেছেন, ‘...এমন কোনো কাজ করব না যা মুসলিম ভাই–বোনদের অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে। তাই আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা চাচ্ছি। আমি কখনোই চাইনি কেউ কষ্ট পাক, বিশেষ করে আমাদের ইসলাম ধর্মের মূল্যবোধ বা ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত হোক। আমাকে সবাই ক্ষমা করবেন।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

উপদেষ্টা আসিফের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়নি

কুমিল্লার মুরাদনগরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষই মামলা করেনি। ওই ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছে মুরাদনগর থানা-পুলিশ।

আজ সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান।

আরও পড়ুনমুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আহত ৩৫১৬ ঘণ্টা আগে

এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহু চত্বরে উপদেষ্টা আসিফের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ আছে, এ সময় স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের অনুসারীরা সেখানে হামলা চালান। পরে আসিফের অনুসারীদের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৭ সাংবাদিকসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন।

তবে আসিফ মাহমুদের অনুসারীদের দাবি, হামলায় তাঁদের পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জনের দাবি, আসিফের অনুসারীরা আওয়ামী লীগের লোকজনসহ হামলা চালিয়ে তাঁদের পক্ষের অন্তত ১৫ জনকে আহত করেছেন।

আজ সকালে আসিফ মাহমুদের অনুসারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বর্তমানে কার্যক্রম স্থগিত) মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক উবায়দুল সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। কায়কোবাদের লোকজন আমাদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছেন। তাঁরা শুধু আমাদের ওপরই নয়, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও নির্মমভাবে হামলা চালিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। গতকালের হামলার ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। গতকাল আহত ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।’

আসিফের অনুসারীরা আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন অভিযোগ করে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গতকাল ছাত্রদলের প্রোগ্রাম ছিল। সেখানে তাঁরা (আসিফের অনুসারীরা) পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছেন। সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে, মুরাদনগরে আসিফের অনুসারী বা এনসিপি নামে যাঁরা মাঠে আছেন, তাঁরা সবাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোক। গতকালের ঘটনায় আমাদের আহত নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনার পর আমরা পরবর্তী কর্মসূচি বা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া কাউকে আটকও করা হয়নি, তবে পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, এ জন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ