সিসিএ’র সুদের ২৫ শতাংশ পাবে ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড
Published: 28th, May 2025 GMT
সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) থেকে অর্জিত সুদ আয়ের ২৫ শতাংশ স্টক এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ডে জমা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী স্বার্থ রক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) অনুষ্ঠিত বিএসইসি’র ৯৫৬তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো.
আরো পড়ুন:
ফু-ওয়াং ফুডসের আর্থিক হিসাবে অসঙ্গতি খতিয়ে দেখবে বিএসইসি
সহায়তা তহবিলের আকার বাড়ানোসহ বিএমবিএর ৯ দাবি
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) থেকে অর্জিত সুদ আয়ের ২৫ শতাংশ স্টক এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ডে জমা দিবে। আর বাকি ৭৫ শতাংশ অর্থ ব্রোকাররা ব্যবহার করতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এ সিদ্ধোন্তের ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী স্বার্থ সুরক্ষায় এবং বাজারে আস্থা বাড়াতে এই ফান্ড বড় অবদান রাখবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ হাউজগুলো বিনিয়োগকারীদের অর্থ সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে রেখে পরিচালনা করে। এই হিসাবে থাকা অব্যবহৃত বা বিনিয়োগ না হওয়া টাকার উপর ব্যাংক সুদ দিয়ে থাকে। এতদিন পর্যন্ত এই সুদ আয় পুরোপুরি ব্রোকাররা নিয়ে নিত। এখন সেই সুদ থেকে অর্জিত আয়ের ২৫ শতাংশ স্টক এক্সচেঞ্জের ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ডে জমা দিতে হবে। বাকি ৭৫ শতাংশ ব্রোকারদের কাছে থাকবে।
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে বড়-মাঝারি বিনিয়োগকারী বেড়েছে : বিএসইসি
পুঁজিবাজার থেকে সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগকারী বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও পরিসংখ্যানে এর বিপরীত চিত্রই উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুনের তুলনায় ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে অতি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কিছুটা কমলেও বড় ও মাঝারি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা নয় বরং তাদের বিনিয়োগক্ষমতার ধরণ ও মান বদলেছে। তাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কিংবা বিনিয়োগ কমছে এমন তথ্য সম্পূর্ণ সত্য নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অথবা বিও হিসাবের সংখ্যা কিংবা বিনিয়োগ কমছে এমন বক্তব্য সাম্প্রতিক সময়ে পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি মূলত সম্পূর্ণ সত্য নয়। মূলত বিগত বছরের তুলনায় পুঁজিবাজারে বৃহৎ বিনিয়োগকারীর (৫০ কোটি হতে ৫০০ কোটি টাকা এবং তদুর্ধ্ব পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজারে টানা ৩ কার্যদিবস সূচকের পতন
বিএসইসি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে: ডিবিএ সভাপতি
পাশাপাশি বিগত বছরের তুলনায় মাঝারি বিনিয়োগকারীর (৫০ লাখের ঊর্ধ্বে ও ৫০ কোটি টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে বিগত বছরের তুলনায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর (১ লাখের ঊর্ধ্বে ও ৫০ লাখের টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে বিগত বছরের তুলনায় অতি ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারীর (১ লাখ টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। অর্থ্যাৎ অতি ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারীর (১ লাখ টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যা ব্যতীত অন্য সকল ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে।
পোর্টফোলিও ভ্যালু ৫০ কোটি টাকার বেশি এমন বৃহৎ বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ২০২৫ সালের জুনে দাঁড়িয়েছে ৭৩৩ জন, যা আগের বছর ছিল ৬৯৬। আর ৫০০ কোটির ঊর্ধ্বে পোর্টফোলিওধারীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭০, যা আগের বছর ছিল ৬৮।
মাঝারি বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ৫০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে এমন মাঝারি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ২২৫ জন, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১ হাজার ৩১৮ জন বেশি।
তবে বিপরীত চিত্র রয়েছে ১ লাখ টাকার নিচে বিনিয়োগ রয়েছে এমন অতি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তাদের সংখ্যা ২০২৪ সালের ৯ লাখ ১৬ হাজার ১৫৭ থেকে কমে ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৩১ হাজার ৭৪৮ জন। অর্থাৎ প্রায় ৮৫ হাজার বিনিয়োগকারী ১ লাখ টাকার নিচের পোর্টফোলিও থেকে সরে এসেছেন বা বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছেন।
ঢাকা/এনটি/বকুল