জুয়ার লেনদেন ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা
Published: 29th, May 2025 GMT
অনলাইন জুয়ার লেনদেনে ব্যবহার হচ্ছে দেশের এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো। কোনো মার্চেন্ট বা গ্রাহক এ ধরনের কাজে জড়িত কিনা, সে ব্যাপারে সার্বক্ষণিক তদারকি করতে হবে। প্রয়োজনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির সহায়তা নিতে হবে।
গতকাল বুধবার সব মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, দেশে অনলাইনভিত্তিক জুয়া-সংক্রান্ত কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কার্যক্রমের ফলে দেশে সামাজিক অবক্ষয় এবং সর্বোপরি অপরাধমূলক কার্যক্রম বাড়ছে। কোনো মার্চেন্ট বা সাধারণ গ্রাহক এ-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে কিনা, তা সার্বক্ষণিক তদারকির আওতায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির সহায়তা নিতে হবে। সংশ্লিষ্টতা বিবেচনায় মার্চেন্ট বা গ্রাহকের ঠিকানায় সশরীরে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কোনো মার্চেন্ট বা সাধারণ গ্রাহক এ-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে প্রতীয়মান হলে, তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করতে হবে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, অনলাইনভিত্তিক জুয়া-সংক্রান্ত কার্যক্রমের ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়ে গ্রাহক সচেতনতা বাড়াতে হবে। কোনো মার্চেন্ট যে এলাকায় ব্যবসা পরিচালনার জন্য গ্রাহক হয়েছেন, তিনি সে স্থানেই ব্যবসা পরিচালনা করছেন কিনা, তা নিশ্চিত করতে হবে। ২১ মে প্রণীত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ পরিপালন করতে হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র হক
এছাড়াও পড়ুন:
অনলাইন জুয়ায় জড়িত হাজার এমএফএস এজেন্ট শনাক্ত: সিআইডি
সদ্য জারি হওয়া সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ–২০২৫ অনুযায়ী অনলাইন জুয়া ও বেটিংয়ের বিরুদ্ধে সারাদেশে অভিযান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মোবাইল ব্যাংকিং (এমএফএস) এজেন্টকে অনলাইন জুয়ার লেনদেনে জড়িত থাকার প্রমাণসহ শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তাদের লাইসেন্স বাতিল ও জরিমানা করার উদ্দেশে তালিকা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খানের সই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অনলাইন জুয়া পরিচালিত হচ্ছে। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা সহজে অর্থ উপার্জনের আশায় জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছেন। অনেকেই আর্থিকভাবে দেউলিয়া ও নিঃস্ব হচ্ছেন। ফলে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, পারিবারিক সহিংসতা, এমনকি আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর ধারা ২০ অনুযায়ী অনলাইন জুয়া খেলা, জুয়া-সংক্রান্ত অ্যাপ বা পোর্টাল তৈরি ও প্রচারণা চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধের জন্য দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড প্রযোজ্য। এ ছাড়া ২১ ও ২২ ধারায় জুয়া-সংক্রান্ত লেনদেন, প্রতারণা বা জালিয়াতিকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন জুয়া ও বেটিংয়ে অংশ না নিতে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে এই সম্পর্কে সচেতন করতে নাগরিকদের প্রতি সিআইডি আহ্বান জানিয়েছে। সন্দেহজনক অ্যাপ, ওয়েবসাইট বা মোবাইল নম্বর সম্পর্কে তথ্য জানাতে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে। হটলাইন নম্বরগুলো হচ্ছে– ০১৩২০০১০১৪৬, ০১৩২০০১০১৪৭ ও ০১৩২০০১০১৪৮।