চেয়ারম্যানের অপসারণসহ ৭ দফা দাবিতে ৮ দিন ধরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে দেশজুড়ে তাদের কর্মবিরতি। আন্দোলনকারীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে চেয়ারম্যান অপসারিত না হলে অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল সমিতির সদরদপ্তরে জমা দেওয়া হবে।

তাদের এই আন্দোলনে গ্রাহক সেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্ন হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। গ্রামাঞ্চলসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড-আরইবি। দেশের ৪ কোটি ৮২ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যে আরইবির গ্রাহক ৩ কোটি ৬৮ লাখ।

সারাদেশে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রায় ৪৫ হাজার। আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতকরণ এবং অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগসহ ৭ দফা দাবিতে গত বছরের জানুয়ারি থেকে নানা সময়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছেন সমিতির কর্মীরা। এসব দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন তারা। এ আন্দোলনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন সংহতি জানিয়েছে।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, ন্যায্য দাবির কথা বলতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২৯ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ৪০ জন সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। ছয় হাজারের বেশি কর্মীকে নিজ এলাকা থেকে দূরে বদলি করেছে আরইবি। এ ছাড়া সমিতির অন্তত ১৭২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় ১৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। বেশ কয়েক মাস পর তারা জামিন পেয়েছেন। মামলা-হয়রানির ভয়ে সমিতির অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা বলছেন, হয়রানি আর আতঙ্ক নিয়ে বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করার সময় কর্মীদের প্রাণহানি বা অন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত র কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর

গাজীপুর নগরের কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে আংশিক প্রস্তুত ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। তবে কারা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে প্রতিবছরের মতো এবারও পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য তৈরি করা হচ্ছিল বিভিন্ন প্রতিমা। প্রতিমাগুলো তখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি, রংও করা হয়নি। গতকাল দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে কারিগর ও মন্দিরসংলগ্ন লোকজন কাজ বন্ধ রেখে চলে যান। পরে সন্ধ্যায় মন্দিরে এসে তাঁরা দেখতে পান, পাঁচ থেকে ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, পূজা শুরু হয়নি বলে এখনো পাহারার ব্যবস্থা করা হয়নি। মন্দিরের আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। কারা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে, তা তারা জানে না। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিমাগুলো আবার মেরামত করা হবে।

অগ্রগামী যুব সংঘ সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপের সভাপতি প্রবীর দত্ত বলেন, ‘গতকাল পূজা মন্ডপের কাজ শেষে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। বিকেল বেলা কে বা কারা পূজামন্ডপে ঢুকে ৫-৬ টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে; অন্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্নের মধ্যে আছি।’

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, চুরি করতে এসে দুর্বৃত্তরা ভেতরে ঢুকে প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। প্রতিমাগুলোর কাজ এখনো শেষ হয়নি। সেগুলো মেরামতের কথা জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ