বলিউড অভিনেত্রী অম্রুতা সুভাষ। থিয়েটার থেকে টিভি, তারপর রুপালি পর্দায় অভিষেক। তবে ‘সেক্রেড গেম’, ‘গল্লি বয়’ দিয়ে খ্যাতি কুড়ান এই অভিনেত্রী।

এই অঙ্গনে কাজ করতে গিয়ে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন অম্রুতা। কয়েক দিন আগে জুম টিভি-কে সাক্ষাৎকার দেন অম্রুতা সুভাষ। এ আলাপচারিতায় রুপালি জগতের অন্ধকার দিক সামনে আসে।

অম্রুতা সুভাষ বলেন, “আমি তখন নাটক করতাম। একবার এক নাটকের প্রযোজক আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলাম, তাই হয়তো আমার পরনের টপটা একটু উপরে উঠেছিল। বুঝলাম কোমরের কাছে একটা হাত এগিয়ে এসেছে। আমি তখনই ঘুরে দাঁড়ালাম। যার কথা বলছি, সে অনেক বড় প্রযোজক ছিলেন। আমি ঘুরে তাকিয়ে বললাম, আপনি এইমাত্র এটা কী করলেন? এটা কী? প্রযোজক বলেন, আমার টপটা উঠেছিল তাই। আমি তৎক্ষণাৎ বললাম, এটা আপনার একেবারেই করা উচিত হয়নি। আমাকে স্পর্শ করার সাহস কীভাবে পেলেন? এ ঘটনার পর উপস্থিত সকলে থমকে যান।”

আরো পড়ুন:

প্রভাসের নায়িকা হতে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নিলেন তৃপ্তি

আমাকে ‘আন্ডা সেলে’ রাখা হয়েছিল: সুরাজ পাঞ্চোলি

অভিযুক্ত প্রযোজক দীর্ঘদিন ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন, পরিচিত মুখ এবং বয়স্ক। প্রতিবাদের ফলাফল কী হবে তারপরও ভাবেননি অম্রুতা। সবাই ভেবেছিলেন অম্রুতা কাজ হারাবেন। এ বিষয়ে অম্রুতা বলেন, “আমি তাদের বললাম, সব জাহান্নামে যাক। নিজে যদি নিজের জন্য প্রতিবাদ না করি, তাহলে আর কে করবে?”

সিনেমার একজন বর্ষীয়ান পরিচালক অম্রুতাকে হেনস্তা করেছিলেন। প্রায় রাতে ফোন করে তাকে মদ্যপানের জন্য ডাকতেন। পরিচালক ফোন করে বলতেন, ‘তুমি কেন রাতে মদ খেতে আসো না?’ একবার গভীর রাতে মদ্যপানের জন্য অম্রুতাকে ডেকে পাঠায়। এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নেন অম্রুতা।

ঘটনার বর্ণনা করে অম্রুতা বলেন, “আমি গেলাম। দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলাম। আমি জানতাম মানুষজন দেখছে। সে হতবাক হয়ে গেল। আমি তার চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘স্যার, আপনি আমার বাবার বয়সি। আপনি আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলছেন কেন? আপনার সমস্যা কী?’ শান্তভাবে কিন্তু সরাসরি কথাগুলো বললাম। এরপর আমি তার চোখে-মুখে বিব্রতভাব দেখতে পেলাম। আমি তাকে বললাম, ‘আপনি এটা কেন করছেন? এটা আর করবেন না। আপনি আমার বাবার মতো।’ এরপর পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যায়।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বলল ম

এছাড়াও পড়ুন:

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া প্রশ্নে রুল

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রুল দেন। একই সঙ্গে যেকোনো অপারেটরকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব (নিযুক্ত) দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি অনুসারে ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক পাবলিক বিডিং (দরপত্র আহ্বান) নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

আরও পড়ুননতুন ব্যবস্থাপনায় নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনা শুরু০৭ জুলাই ২০২৫

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন রিটটি করেন। রিটে নৌসচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।

‘নিউমুরিং টার্মিনালে সবই আছে, তবু কেন বিদেশির হাতে যাচ্ছে’ শিরোনামে গত ২৬ এপ্রিল প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ প্রতিবেদনসহ এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এনসিটি পরিচালনায় ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান করার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।

আগের ধারাবাহিকতায় ৯ জুলাই রিটের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত ২৩ জুলাই আদেশের জন্য দিন রাখেন। ধার্য তারিখে আদালত আদেশের জন্য ৩০ জুলাই দিন রাখেন। এ অনুসারে আজ বিষয়টি আদেশের জন্য আদালতের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

আজ মধ্যাহ্নবিরতির পর আদালত আদেশ দেন। আদালত বলেন, শুধু রুল দেওয়া হলো।

আদেশের সময় রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আহসানুল করিম এবং আইনজীবী কায়সার কামাল ও আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার নতুন দায়িত্ব নিয়েছে নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড। টার্মিনালটি পরিচালনার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৬ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে এ দায়িত্ব নেয় জাহাজ মেরামতের এ প্রতিষ্ঠান। প্রথমবারের মতো বন্দরে টার্মিনাল পরিচালনায় যুক্ত হলো চিটাগং ড্রাইডক।

চট্টগ্রাম বন্দরের বৃহৎ এই টার্মিনাল নির্মিত হয় ২০০৭ সালে। টার্মিনালটি নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংযোজনে বন্দর কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে মোট ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কনটেইনারের সিংহভাগ এই টার্মিনাল দিয়ে পরিবহন হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ