সিলেট সেনানিবাসে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপন
Published: 29th, May 2025 GMT
শান্তির পায়রা আর নীল-সাদা রঙ্গের বেলুন উড়ানো, শোভাযাত্রা ও আলোচনার মধ্য দিয়ে সিলেট সেনানিবাসে উদযাপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস।
সিলেট এরিয়া ও ১৭ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার সকালে দিবসটি উদযাপন করা হয়। ভোর থেকেই দিবসটি উপলক্ষে সিলেট সেনানিবাসে জড়ো হন সাবেক ও বর্তমান বিভিন্ন পর্যায়ের সৈনিক, বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
শুরুতে অতিথিদের নিয়ে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
পরে আলোচনা সভায় তিনি বলেন, শান্তিরক্ষার দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময় সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের ১৬৮ জন জীবন উৎসর্গ করেছেন। বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ ও বিরত্বগাথা বিশ্ববাসী জানে। বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আজ আমরা বিশ্বে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর ক্ষেত্রে অন্যতম বৃহৎ অংশীদার একটি দেশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ বস শ ন ত রক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।
গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।
আরো পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।
খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ