বন্দরে ব্র্যাক এনজিও কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার ২
Published: 29th, May 2025 GMT
ব্র্যাক এনজিও মিনারবাড়ী বন্দর শাখার সহকারী ম্যানেজারসহ ২ জনকে পিটিয়ে কিস্তি আদায়ের নগদ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের কদম রসুল কলেজ মাঠ এলাকার আব্দুল সোবাহান মিয়ার ছেলে মিনহাজ (৩৬) ও একই এলাকার শফিউদ্দিন মিয়ার ছেলে রুবেল (২৯)। গ্রেপ্তারকৃতদের বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত বুধবার (২৮ মে) রাতে বন্দর থানার নবীগঞ্জ কলেজ মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার মামলা নং- ৩১(৫)২৫।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী মহসিন ব্র্যাক এনজিও মিনারবাড়ী বন্দর শাখার সহকারী ম্যানেজার পদে কর্মরত আছে। মামলার ২নং বিবাদী তাবাসুম হোসাইন আমার ব্র্যাক এনজিওর সদস্য। বিবাদী গত ১৬/১০/২৪ ইং তারিখে সদস্য নং-৪০৯, ভিও কোড নং-২০৭৫ মূলে মিনারবাড়ী শাখা হইতে ৮০ হাজার টাকা উত্তলন করে।
বিবাদীদ্বয় ব্র্যাক এনজিও হইতে ঋন নেওয়ার পর হইতে কিস্তির টাকা ঠিকমাত পরিশোধ না করিয়া বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। ২নং বিবাদী মে মাসের কিস্তির টাকা পরিশোধ না করিয়া আমার এনজিওর মাঠ কর্মিদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী সহ টাকা না দেওয়ার হুমকি প্রদান করে আসছিল ।
গত ১৫/০৫/২৫ ইং তারিখ আমি সহ আমার সহকর্মী ফজলুল হক ১ বিবাদী মনিহাজ ও ২নং বিবাসীদ্বয়ের বসত বাড়ীতে গিয়ে তাহাদের নিকট মে মাসের কিস্তির ৮,০০০/- টাকা চাইলে বিবাদীদ্বয় আমাদের সহিত খারাপ ব্যাবহার সাহ মারপিট করে। উক্ত বিষয়টি আমরা স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসা করি।
কিন্তু তারপরও বিবেদীদ্বয় কিস্তির টাকা পরিশোধ না করিয়া পুনরায় হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। এর ধারাবাহিকতা গত সোমবার (২৬ মে) বিকাল ৩টায় আমি সহ আমার সহকর্মী ফজলুল হক ১ ৪ ২নং বিবাদীদ্বয়ের বাড়িতে গিয়ে তাহাদের নিকট কিস্তির টাকা চাইলে বিবাদীদ্বয় আমাদের সাথে খারাপ ব্যাবহার সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ১নং বিবাদী ৩ ও ৪নং বিবাদীসহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের মোবাইল ফোনের ম্যাধমে ডেকে নিয়ে আসিলে বিবাদীরা আসিয়া আমাকে সহ আমার সহকর্মী ফজলুল একরে বিবাদীদের বসত বাড়ীর গেইট বন্ধ করিয়া বিকাল ০৩.
ঘটনার বিষয়টি সহকারি ম্যানেজার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার পালকে জানালে তিনি সহ তার সহকর্মী শিমু পোদ্দার একই দিন বিকাল ০৫.৩০ ঘটিকার সময় বন্দর থানাধীন কদম রসুল কলেজপাড়া সাকিনস্থ বিবাদীদ্বয়ের বসত বাড়ীতে আসিলে সকল বিবাদীগন তাহাদের সহিত খারাপ ব্যাবহার সহ অকথা ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।
একপর্যায়ে ১নং বিবাদীর হুকুমে সকল বিবাদীগন আমাদেরকে আতর্কিত মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে। ১নং বিবাদী তার হাতে থাকা কাঠের ডাসা দিয়ে আমার মুখের বাম পাশের চোয়ালে বারি মারিয়া নীলাফুলা জখম করে। ১নং বিবাদী অসৎ উদ্দেশ্যে আমার সহকর্মী ফজলুল হকের নিকট থাকা ব্যাগে রক্ষিত এনজিওর বিভিন্ন সদস্যদের নিকট হইতে কিভি আদায়ের আনুমানিক ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে কৌশলে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ওই সময় তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীগন আমাদের প্রকাশ্যে খুন জখম করার হুমকি প্রদান করে। পরে সঙ্গীয় সহকর্মীরা সহকারি ম্যানেজারকে জখমী অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা হাসপাতালে প্রেরণ করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব র য ক এনজ ও ম র সহক আম দ র সহক র ফজল ল
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন
আমরা যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, তাঁদের দিনের বড় একটি অংশ সহকর্মীদের সঙ্গেই কাটে। আসা–যাওয়া আর ঘুমের সময়টুকু বাদ দিলে দেখা যাবে, পরিবারের সদস্যদের চেয়ে তাঁদের সঙ্গেই কাটছে বেশি সময়। স্বাভাবিকভাবেই সহকর্মীদের সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, তাঁরা হয়ে ওঠেন বন্ধু, মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গী। কখনো কখনো এই সম্পর্ক পেশাগত সীমারেখাও ছাড়িয়ে যায়।
প্রশ্ন হলো, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে এই সীমারেখা কোথায় টানতে হবে? অফিসে বা বাইরে বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীর সঙ্গে কোন কথাটা বলা যাবে, কোন ঠাট্টাটা করা যাবে, মোটের ওপর কতটা মেলামেশা করা যাবে?
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লের কনসার্ট দেখতে গিয়ে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ক্যামেরায় ধরা পড়েন মার্কিন সফটওয়্যার সংস্থা অ্যাস্ট্রোনোমার প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বায়রন ও সংস্থাটির এইচআর প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবট। যাঁদের দুজনেরই রয়েছে আলাদা পরিবার। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অফিসের ক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যের সম্পর্ক নৈতিকতার কোন মানদণ্ড মেনে চলবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সহকর্মীর সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন সেসব নিয়ে প্রতিটি ভালো অফিসেই আচরণবিধি থাকে