সারা বিশ্বে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ইইউ'র ঢাকা দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা সারা বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

এতে বলা হয়, ইইউ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি মেনে চলা বিশ্বব্যবস্থার দৃঢ় সমর্থক।

আরো পড়ুন:

যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে

মশা নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত হবে না সেনাবাহিনী

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসে আমরা তাদের কাজের স্বীকৃতি জানাই। যারা সংঘাত বন্ধ করে জীবন বাঁচাচ্ছেন। আমাদের নিরাপদ রাখছেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন।’

শান্তিরক্ষীদের ত্যাগ ও সেবাকে সম্মান জানাতে, বাংলাদেশসহ অনেক দেশ আজ এই দিনটি গৌরব ও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করছে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস প্রতিষ্ঠা করে। সেই থেকে দিনটি শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত সব নারী ও পুরুষকে শ্রদ্ধা জানাতে পালিত হয়। দিবসটি জীবন উৎসর্গ করা শান্তিরক্ষীদের স্মৃতিও অম্লান রাখে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অফিস জানিয়েছে, ২০২৫ সালের দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘শান্তিরক্ষার ভবিষ্যৎ’।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা ও পুলিশ সদস্য প্রেরণে বাংলাদেশ তৃতীয় বৃহত্তম অবদানকারী দেশ এবং বর্তমানে ৫৬০০ এর বেশি সদস্য নিয়োজিত আছেন যার মধ্যে ৪৪৭ জন নারী। তারা আবায়ি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, সাইপ্রাস, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, লেবানন ও দক্ষিণ সুদানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মরত আছেন।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত স ঘ শ ন ত রক ষ শ ন ত রক ষ দ র

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভবিষ্যতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নৌশক্তি ব্যবহার করবে ভারত’

ভবিষ্যতে পাকিস্তানের যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে ভারত তার নৌবাহিনীর অস্ত্রশক্তি ব্যবহার করবে। শুক্রবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এ তথ্য জানিয়েছেন।

পশ্চিম ভারতের গোয়া রাজ্যের উপকূলে বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তে নৌসেনাদের উদ্দেশে রাজনাথ সিং বলেছেন, “যদি পাকিস্তান কোনো খারাপ বা অনৈতিক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এবার ভারতীয় নৌবাহিনীর অস্ত্রশক্তি এবং ক্রোধের মুখোমুখি হবে।”

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে ১২ মে বলেছিলেন, যখনই পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ‘হুমকির সম্মুখীন হবে এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘিত হবে’ তখনই ‘ব্যাপক এবং সিদ্ধান্তমূলক’ প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

২২ এপ্রিল কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। নয়াদিল্লি এই হামলায় মদদ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছিল। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরপরেও ৭ মে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত যে অপারেশ সিঁদুর পরিচালনা করেছিল তা স্থগিত হয়েছে; কিন্তু বাতিল হয়নি।

তিনি বলেছেন, “আমরা আমাদের শর্তে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করেছি। আমাদের বাহিনী এখনো তাদের শক্তি দেখানো শুরু করেনি।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ