সন্ধ্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিক্ষার্থী প্রবেশে নিরুৎসাহিত করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
Published: 29th, May 2025 GMT
সন্ধ্যা সাতটার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিক্ষার্থীদের প্রবেশে নিরুৎসাহিত করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি উদ্যানের ভেতরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রহরী বাড়ানো, সিসিটিভির আওতা বাড়ানো এবং ক্যাম্পাস–সংলগ্ন উদ্যানের ফটকগুলো রাত আটটার পর বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন সদস্যদের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক) জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো.
সভায় আরও কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের সব ফটক রাত আটটার পর বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করা। রমনা কালীমন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে মন্দিরের নিজস্ব বিকল্প ফটকের ব্যবস্থা করা। পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৭টি প্রবেশপথে দুজন করে তিন পালায় ৪২ জন সশস্ত্র নিরাপত্তা প্রহরী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুনমাদকের ‘অভয়ারণ্য’ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, দিনে বিক্রি হতো ৪০ কেজি গাঁজা২৭ মে ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রব শ
এছাড়াও পড়ুন:
একটি দল ছাড়া কোনো দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না, তা সঠিক নয়: গণফোরাম
গণফোরাম বলেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাপান সফরে গিয়ে একটি দল ছাড়া আর কোনো দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না বলে যে মন্তব্য করেছেন, তা সঠিক নয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছে বলেও উল্লেখ করেছে দলটি।
আজ শুক্রবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণফোরামের সভাপতি পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণফোরামের সভাপতি পরিষদের অন্যতম সদস্য এস এম আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, সভাপতি পরিষদের সদস্য সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মেজবাহউদ্দীন, মোশতাক আহমেদ, সুরাইয়া বেগম, সেলিম আকবর, শাহ নুরুজ্জামান প্রমুখ।
সভায় আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে গণফোরামের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টার বক্তব্য অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রতীয়মান হচ্ছে এবং এর ফলে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরির প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
গণফোরামের নেতারা বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের সুফল পাওয়ার জন্য দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা জরুরি। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারের রূপরেখা ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এ দায় রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে দুঃখজনক।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের আলোচনা এবং কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের বৈঠক জাতিকে আরও হতাশ করেছে বলে উল্লেখ করেছে গণফোরাম। দলটি বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এবারের বৈঠকে গণফোরামকে আমন্ত্রণ না জানানোর ফলে সরকার ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
গণফোরামের নেতারা আরও বলেন, গত ৯ মাসে সরকার আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ও জনপ্রশাসনের অস্থিরতা নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। এ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার বা দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা এখনো লক্ষ করা যায়নি। ফলে সরকারের প্রতি জনসমর্থন যেমন হ্রাস পাচ্ছে, তেমনি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ও জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে।
গণফোরাম সভাপতি পরিষদের সভায় অবিলম্বে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে, সে ঐক্য যেন কোনো অশুভ শক্তি বিনষ্ট করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।