পার্বতীপুরে ট্রাক আটকে চাঁদা দাবি, এনসিপি নেতা আটক
Published: 30th, May 2025 GMT
দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে বের হওয়া স্ক্র্যাপ ভর্তি ট্রাক আটক করে চাঁদাবাজির অভিযোগে পার্বতীপুর উপজেলা নাগরিক পাটির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক শিক্ষানবিস আইনজীবী তারিকুল ইসলামকে (৪০) আটক করেছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার রাতে পার্বতীপুর-মধ্যপাড়া সড়ক থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক তারিকুল ইসলাম উপজেলার পশ্চিম রাজাবাসর গ্রামের প্রয়াত মাহমুদুল সরকারের ছেলে।
জানা যায়, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির পরিত্যক্ত লোহার স্ক্র্যাপ দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয় করে সেনাবাহিনী পরিচালিত সেনাকল্যাণ সংস্থা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্ক্র্যাপ ভর্তি দুটি ট্রাক খনি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ট্রাক দুটি খনি থেকে কিছুদূর গেলে কিছু লোকজন ট্রাক দুটি আটক করে। তাদের মধ্যে কয়েকজন ট্রাকে উঠে চালককে জিম্মি করে চাঁদা দাবি করে। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী ও র্যাব ট্রাক উদ্ধার ও ঘটনাস্থলে থাকা নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক তারিকুল ইসলামকে আটক করলে অন্যরা পালিয়ে যান।
সেনাকল্যাণ সংস্থার প্রতিনিধি ও লেবার ফোরম্যান মো.
এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ভবানীপুর এলাকার সুরুজ আহম্মেদ বলেন, কয়লা খনি থেকে অবৈধভাবে স্ক্র্যাপ বাইরে যাচ্ছে তথ্যে আমরা ছাত্র-জনতা ও সমন্বয়করা ট্রাক দুটি আটক করি। এতে পতিত সরকারের কিছু লোকজন আমাদের ধাওয়া দেয়। পরে আমরা উপজেলা সংগঠক তারিকুল ইসলামকে ডেকে আনি। সেনাবাহিনী আমাদের কথা না শুনে সংগঠক তারিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তাকে মুক্তি না দিলে আমরা আন্দোলনের ডাক দিব।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মো. জাফর সাদিক বলেন, বৈধ টেন্ডার ছাড়া কোনো ধরনের স্ক্র্যাপ মালামাল খনি থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। টেন্ডারের মাধ্যমেই সেনাকল্যাণ সংস্থা স্ক্র্যাপ মালামাল কিনেছে, যা খনি সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দপ্তর অবগত আছে।
পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, খনি থেকে টেন্ডারে পাওয়া স্ক্র্যাপ মালামাল নিয়ে যাওয়ার পথে দুটি ট্রাক গতিরোধ করে চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পার্বতীপুরে দায়িত্বরত সেনাক্যাম্পের সদস্য ও র্যাব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারিকুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করে। এ ঘটনায় থানায় ১৬ জনের নামে মামলা করেছেন সেনাকল্যাণ সংস্থার প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম। পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন কল য ণ স স থ ত র ক ল ইসল ম বড়প ক র য় স গঠক
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদল ও বাম জোটের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ প্রতিবাদ শিবিরের
ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শনিবার সংগঠনটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বিবৃতিতে বলেছেন, নব্য ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো।
শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী নিপীড়ন, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য, ছিনতাই, সিট দখল, অপপ্রচার, ট্যাগিং, র্যাগিং ও হামলাসহ অপরাধমূলক সংস্কৃতি অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা ও কক্সবাজার পলিটেকনিক, সরকারি গ্রাফিক্স আর্টস কলেজ, কুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির উদাহরণ তৈরি করেছে।
চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ভর্তিচ্ছুদের জন্য স্থাপিত শিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে বিবৃতি বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজ ও রংপুরেও বাঁধা দিয়েছে। শুক্রবার ফরিদপুরে ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় কলেজছাত্রীকে নির্যাতন করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। নারীবাদীরা ছাত্রদলের এ ধরনের গুরুতর অপরাধে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে।
শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় দুই নারী শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করার হুমকি দেয় ছাত্রদল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঢাকতে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোকে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। ছাত্রদল ও বাম জোটের ট্যাগিং ও দায় চাপানোর রাজনীতিও চলছে পুরনো কায়দায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিবির মারা জায়েজ ছিল, জায়েজ আছে, জায়েজ থাকবে’- লিখে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদল নেতা আহনাফ তাহমিদ অর্জন। লাশের রাজনীতির বৈধতার বয়ান উৎপাদনে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাহরিয়ার ইব্রাহিম আবরার ফাহাদের হত্যা জায়েজ ছিল বলে অভিমত দেন।