হত্যা মামলায় সাবেক এমপি মমতাজের রিমান্ড শেষ, ভাঙচুরের মামলায় শুরু
Published: 30th, May 2025 GMT
হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর ও হরিরামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে হামলা-ভাঙচুরের মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মমতাজকে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মানিকগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরে সিঙ্গাইর থানায় করা হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে মমতাজ বেগমকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে হরিরামপুর থানায় করা হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের মামলায় আগে ধার্য করা দুই দিনের রিমান্ড কার্যকরের জন্য থানায় পাঠানো হয়।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মমতাজের বিরুদ্ধে সিঙ্গাইর থানায় একটি হত্যা মামলা এবং হরিরামপুর থানায় হামলা, মারধর ও বসতবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়। দুই মামলায় ২২ মে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক হত্যা মামলায় চার দিন এবং ভাঙচুরের মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ওই দিন তাঁকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে নেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার হত্যা মামলায় শুনানি থাকায় মমতাজকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে সিঙ্গাইর থানায় করা মামলায় আগে ধার্য করা চার দিনের রিমান্ড কার্যকর করার জন্য থানায় পাঠানো হয়। হত্যা মামলার রিমান্ড শেষে আজ তাঁকে হরিরামপুর থানায় করা হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের মামলায় আগে ধার্য করা দুই দিনের রিমান্ড কার্যকর করার জন্য থানায় পাঠানো হয়।
এদিকে গত দুই দফায় মমতাজকে আদালতে হাজির করা হলে দুই দফায়ই আদালত প্রাঙ্গণে মমতাজকে ডিম নিক্ষেপ করেন বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ চেষ্টা করেও এই পরিস্থিতি এড়াতে পারেনি। তবে আজ মমতাজকে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি।
সিঙ্গাইর থানায় হত্যা মামলা হলেও মমতাজকে হরিরামপুর থানায় নেওয়া হয়। ওই থানাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ ব্যাপারে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম প্রথম আলোকে বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে এবং যেহেতু হরিরামপুর থানার আরেক মামলায় মমতাজকে রিমান্ড দেওয়া হয়, এ কারণে হরিরামপুর থানায়ই হত্যা মামলায় রিমান্ডে নিয়ে তাঁর বক্তব্য শোনা হয়েছে।
হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি হরতালের সমর্থনে মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর-হেমায়েতপুর সড়কের গোবিন্দল নতুন বাজার এলাকায় মিছিল বের করেন ইসলামি সমমনা দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। এতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বাদীর ছেলে নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় গত ২৫ অক্টোবর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মো.
হামলা-ভাঙচুরের মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের ৩০ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানের উপজেলার বয়ড়া গ্রামের বাসভবনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বক্তব্য চলাকালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা করেন। এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন একটি মামলা করেন। মামলায় মমতাজকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগের ৮৬ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র থ ন য় কর হ জ র কর ব এনপ র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় যাত্রীকে তুলতে অস্বীকৃতি উবার চালকের
চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য সম্প্রতি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবারের একটি গাড়ি ডেকেছিলেন মাইকেল। গাড়িটি আসার পর দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতে যেতেই বাধল বিপত্তি। ‘অতিরিক্ত মোটা’ হওয়ায় চালক তাঁকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানান। যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচের জনপ্রিয় স্ট্রিমার মাইকেল। ওই প্ল্যাটফর্মে তাঁর ৬০ হাজারের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তিনি তাঁর কল অব ডিউটি গেমপ্লের জন্য পরিচিত।
মাইকেল সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওর শিরোনামে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মজা করছি না। আমার উবার চালক বলেছেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। তাই তাঁর গাড়িতে আমাকে নেওয়া সম্ভব নয়। এমনকি তিনি আমার দিকে বন্দুক তাক করার হুমকিও দিয়েছেন।’ মাইকেলের ওই ভিডিও পাঁচ কোটিবারের বেশি দেখা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মাইকেল উবারের গাড়িচালককে বলছেন, ‘আপনি এইমাত্র বললেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। আমি কিন্তু আপনার ভিডিও করছি।’ উত্তরে উবার চালক নারী বলেন, ‘এটা যুক্তি আর বাস্তবতার ব্যাপার। আর আমি এটা বলার অধিকার রাখি।’ কিন্তু বাক্যটি শেষ করার আগেই মাইকেল তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘না, আপনি এটা বলতে পারেন না।’ তখন ওই নারী হাত উঁচিয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পারি। এটা আমার গাড়ি। আপনি এখান থেকে চলে যান।’
বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই উবার চালক বলেন, ‘আপনি কি চান, আমি আমার বন্দুকটা বের করি?’ এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মাইকেল গাড়ির দরজা বন্ধ করে সেখান থেকে চলে যান। এক্সে দেওয়া অন্য একটি পোস্টে মাইকেল বলেন, এ ঘটনার কারণে তিনি সেদিন চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেননি।
উবারের নীতি অনুযায়ী, চালকেরা বৈধ কারণ ছাড়া কোনো যাত্রীকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না। ওজন, লিঙ্গ, বর্ণ কিংবা ধর্মের ভিত্তিতে কোনো যাত্রীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
এই ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর উবার চালকের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে।