কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে প্রায় ৪২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সি-ট্রাক চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ছয়টায় কক্সবাজারের নুনিয়াছড়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে মহেশখালীর উদ্দেশে ছেড়ে যায় সি-ট্রাকটি। এর আগে বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে সি-ট্রাকসহ সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

এদিকে সি-ট্রাক চলাচল শুরু হলেও নৌপথটিতে স্পিডবোট, কাঠের নৌকাসহ অন্যান্য নৌযানের চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

গত বৃহস্পতিবার নৌ চলাচল বন্ধের ঘোষণায় কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর বাসিন্দারা বিপাকে পড়েন। কক্সবাজার জেলা সদরে যেতে মাত্র সাড়ে আট কিলোমিটার নৌপথ পাড়ি দিতে হয়। তবে নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার সড়কপথ ঘুরে কক্সবাজার সদরে যেতে হয়েছে মহেশখালীর বাসিন্দাদের।

কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকটি পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিএ। সি-ট্রাকটির ধারণক্ষমতা ২৫০ জন। বিআইডব্লিউটিএ কক্সবাজার (কস্তুরাঘাট) নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক মো.

খায়রুজ্জামান সকালে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি, সাগরও উত্তাল। তবু দুই প্রান্তে আটকে থাকা যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সি-ট্রাক চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম দিনে বাড়তি ট্রিপে যাত্রী আনা-নেওয়া চলবে। তবে রোববার থেকে আগের নিয়মেই যাত্রী পরিবহন করা হবে।

জানতে চাইলে মহেশখালীর ইউএনও মো. হেদায়েত উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা এবং অসুস্থ রোগীদের কথা বিবেচনায় এনে আপাতত সি-ট্রাক সার্ভিস চালু করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্পিডবোটসহ অন্যান্য নৌযানের চলাচল বন্ধ থাকবে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় সারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। এসময় তারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন। 

রবিাবর (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২টার দিকে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা। একপর্যায়ে তারা ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সারোয়ার তৌহিদকে অবরুদ্ধ করেন। বিকেল ৫টার দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্রের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন কৃষকরা।

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে হরতাল কর্মসূচিতে পরিবর্তন

ফরিদপুরে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ভোগান্তি চরমে

আন্দোলনরত কৃষকরা জানান, তীব্র সার সংকট দেখা দিয়েছে। রোপা আমন ধানে সার দিতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। 

ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ জানান, কৃষকরা বিকেল ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইউএনও দীপ জন মিত্র জানান, কৃষকরা কেন সার পাচ্ছেন না, সেটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ১৭ জনকে বেলার চিঠি, বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধের অনুরোধ
  • পাবনায় পুলিশ দেখে পালালেন শিকারিরা, উদ্ধার ৪৫টি ঘুঘু অবমুক্ত
  • ভাঙ্গায় আন্দোলন: দৌলতদিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি
  • শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা
  • দৌলতদিয়ায় ফেরির ধাক্কায় ভেঙে গেছে পন্টুনের কবজা, যানবাহন পারাপার ব্যাহত
  • কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ