তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) বিকেল ৫টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়।

নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৮৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোটার। এবারের নির্বাচনে ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৭৬ জন।

ভোটগ্রহণ শেষে বিজিএমইএর অনলাইন লাইভে এ তথ্য জানানো হযেছে।

আরো পড়ুন:

বিজিএমইএ নির্বাচন শনিবার, লড়ছেন ৭৬ প্রার্থী

বিজিএমইএ নির্বাচন ২৮ মে

রাজধানীর র‍্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেল ও চট্টগ্রামের র‍্যাডিসন ব্লু হোটেলে ২০২৫-২৭ মেয়াদের নেতৃত্ব ঠিক করতে ভোট দেন সদস্যরা। একযোগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।

জানা গেছে, বিজিএমইএর নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৮৬৪ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছে ৮৭.

৫০ শতাংশ ভোটার। ভোটারদের মধ্যে ঢাকার ১ হাজার ৫৬১ জন। চট্টগ্রামের ভোটার সংখ্যা ৩০৩ জন। 

বিজিএমইএ নির্বাচনি বোর্ডের চেয়ারম্যানের মোহাম্মদ ইকবাল জানান, এবার শুধু সচল কারখানার উদ্যোক্তারাই ভোটার হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

তিনি বলেন, ‍“আজকের নির্বাচন সুন্দর, শান্তিপূর্ণভাবে ও শৃঙ্খলার মধ্যে হয়েছে। এটি বাংলাদেশের আগামী দিনের উদাহরণ হয়ে থাকবে। সবাই সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিয়েছেন।”

বিজিএমইএ প্রশাসক ও ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, “ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রে ভোট শেষ হয়েছে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে। ফলাফল দেওয়া হবে, যা সরাসরি অনলাইনে লাইভ দেখানো হবে।” 

ঢাকা/এনএফ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ এমইএ গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।

আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।

রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।

কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।

সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।

আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ