‘কোনো শিল্পী যদি অপরাধ করে থাকে, সেটা তদন্ত হবে, বিচার হবে; কিন্তু অপরাধ যদি না থাকে, তাহলে তাকে নিয়ে যাওয়া ন্যক্কারজনক, এটা রীতিমতো অন্যায়। কারণ, যদিও এটা পুরোনো কথা, রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে। কে কতটা করছেন, এ কারণে দেশের ক্ষতি হচ্ছে কি না, সংগঠনের ক্ষতি হচ্ছে কি না, এগুলো খতিয়ে দেখার ব্যাপার আমাদের সংগঠনেরও আছে, সরকারেরও দরকার। এই সব ব্যপারগুলো এখন ওপরে আসছে, সংগঠনকে এ বিষয়গুলো দেখতে হবে।’

শনিবার রাজধানীর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত অভিনয়শিল্পী সংঘের অভিষেক অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলছিলেন প্রবীণ অভিনেতা আবুল হায়াত।

তিনি বলেন, ‘আইনি সমস্যা ইদানীং খুব প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে আমরা দেখছি। আইনি বিষয়ে আমাদের আরও শক্ত হতে হবে। কথা নেই বার্তা নেই, শিল্পীদের হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায়, এক হাজার জনের মধ্যে সে নাকি আসামি, মানুষ খুন করেছে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে জেলখানায় ধরে রিমান্ডে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ জিনিসগুলো নিয়েও আমাদের লিগ্যাল কমিটির কাজ করতে হবে, অনেক করণীয় আছে।”

আবুল হায়াত বলেন, “এই বয়সে এসে আমার গুরুদের স্মরণ করি, সৈয়দ হাসান ইমাম, গোলাম মোস্তফা, সিরাজুল ইসলাম, মাসুদ আলী খান, আবুল খায়ের- এ লোকগুলোকে প্রতিদিন স্মরণ করি। কারণ, তাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছি, আড্ডা দিয়ে শিখেছি। একটা দৃশ্য করার আগে খায়ের বা মোস্তফা ভাই বা হাসান ইমাম ভাই বলতেন, ‘এই তুমি এই পাঠ করছ? আমার কাছে আসো, রিহার্সাল দাও’’। এখনকার কাউকে বলতে পারব? আমার তো ভয় করে কাউকে বলতে, কী জানি বলে ফেলে। আবার অপমানিত হতে পারি।”

নতুন অভিনয়শিল্পীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা নতুন আছেন, তাদের উদ্দেশে বলছি, আপনাদের ভেতর জানার আগ্রহ দরকার। যদি মনে করেন, সব জেনে এসেছেন এখানে, তাহলে সেটা ভুল ধারণা। সিনিয়রদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন আছে। সিনিয়ররা যখন মেকাপরুমে থাকেন, তখন তাঁদের সঙ্গে কী ধরনের ব্যবহার করা উচিত, কোন ধরনের কথাবার্তা বলা উচিত। সারাক্ষণ আড্ডা দিতে পারেন, আড্ডা দেন, তা থেকেও শিখতে পারেন।’

এদিন অগ্রজ-অনুজ শিল্পী ও তাদের পরিবারের উপস্থিতিতে এক মিলনমেলায় রূপ নেয় রাজধানীর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে। সাবেক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছাড়াও অগ্রজ শিল্পীরা এতে বক্তব্য দেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আবার ‘লাস্ট মিনিট শো’, জন্মদিনের রাতে স্লটকে জয় উপহার ফন ডাইকের

লিভারপুল ৩–২ আতলেতিকো মাদ্রিদ

জন্মদিনের রাতে এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী হতে পারে!

রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই মাঠে ঢুকে পড়লেন আর্নে স্লট। লিভারপুলের সমর্থকেরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে থাকলেন, দল জেতায় অভিনন্দনও জানালেন। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে হাত নেড়ে স্লট সেই অভিবাদনের জবাব দিলেন।   

ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে আলিঙ্গনের সময় স্লটকে একটু বেশিই খুশি মনে হলো। কারণ, লিভারপুল অধিনায়ক ফন ডাইক ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত না হলে তাঁর বিশেষ রাতটা যে অনেকটাই পানসে হয়ে যেত!

২০২৫–২৬ মৌসুমে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল করাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে লিভারপুল। যেটিকে বলা হচ্ছে লাস্ট মিনিট শো, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নাম দিয়েছে স্লট টাইম।

এবার সেই শো–এর নায়ক ফন ডাইক। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে তাঁর হেডারেই আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্রয়ের পথে থাকা ম্যাচটা ৩–২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে শুভসূচনা করল লিভারপুল।

এ নিয়ে এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল লিভারপুল। সবকটি ম্যাচে অলরেডরা জয়সূচক গোল করল ৮০ মিনিটের পর; এর তিনটিই যোগ করা সময়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ