গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশের গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য নতুন রাজনৈতিক শক্তি দরকার। যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে, তাদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা পরিবর্তন বা সংস্কারের পথে এগিয়ে যেতে পারব। 

শনিবার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষয়: সামনের পথ কী’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স (দায়রা) এই সংলাপের আয়োজন করে।

সভায় লন্ডনের এসওএস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.

মোশতাক এইচ খান বলেন, অভ্যুত্থানের পক্ষশক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। এই শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের দিকে এগোতে চাইলে আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে।

পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, নির্বাচনের আগে একটা সংস্কার হতেই হবে। সেটা আরেকটা রক্তপাত এড়াতে কিংবা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের স্বার্থেই হোক। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. ইউনূসের অনেক ভুল ত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু দেশকে পরাশক্তির হাত থেকে রক্ষায় তাকে সময় দিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, ক্ষমতার বণ্টন বা নতুন বিন্যাসের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার একটি শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে। এটিকে কেন্দ্রীয় সচিবালয় থেকে সরিয়ে বিকেন্দ্রীকরণ করা দরকার। নগর সরকার করা যেতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা নেত্রা বলেন, আমাদের কিছু ঐতিহাসিক অর্জন রয়েছে। সংস্কারের নামে আমরা যেন এই অর্জনগুলো থেকে দূরে সরে না যাই। বৈশ্বিক চাটার বিবেচনায় রেখে নারীর অধিকার, মানবাধিকার, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি জায়গাগুলো থেকে আমরা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যেতে পারব না। মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।   

নারী সংস্কার কমিশনের প্রধান ও নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভিন হক বলেন, আমরা বাংলাদেশকে মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে চাই। আমরা যৌনকর্মীদের অধিকার ও স্বীকৃতি চেয়েছি। আমরা রোজ রোজ পুলিশের হাতে মার খেতে চাই না। এজন্য নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনকে ঘিরে আমাদের অনেক গালিগালাজ শুনতে হয়েছে। আমরা বলছি, সমালোচনা হোক, দ্বিমত হোক, তবু এই বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসতে হবে।    

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, এনবিআর ও সচিবালয়ের সংস্কার কারও ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। কারও বেতন-ভাতাও কমিয়ে দেওয়া হয়নি। তাহলে কীভাবে এসব জায়গায় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন হয়? দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থার পরিবর্তনকে রুখে দিতেই সংস্কারে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশাম হক বলেন, জুলাই গণআন্দোলনের দেড় দুই হাজার শহীদ রাস্তায় বের হয়েছিল কী, নির্বাচন ডিসেম্বর না জুনে- এই বিতর্ক শোনার জন্য। তারা ভেবেছিল- অধিকার চাইতে গিয়ে রাষ্ট্র আমাদের গুলি করে মারছে। এর অবসান দরকার। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ এম শাহানের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তানভীর সোবহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুবাইয়া মোর্শেদ, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন, ডেইলি স্টারের সাংবাদিক জিনা তাসরীন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের ছাত্র প্রতিনিধি মুনিম মোবাশ্বির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সমন্বয়ক সাদাব মুবতাসিম প্রান্তিক প্রমুখ। দায়রার পক্ষে সমাপনী বক্তব্য রাখেন পলিসি অ্যানালিস্ট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন আম দ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে অস্থিরতা: চোখ বুজে থাকবেন না

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকায় সাধারণ রোগীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ স্পষ্ট। বিশেষায়িত এ হাসপাতালটি যেখানে ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা দিয়ে আসছে, সেখানে পাঁচ দিন ধরে সেবা বন্ধ থাকার ঘটনা বিরল ও বিস্ময়কর। এ পরিস্থিতি উদ্ভবের কারণ হাসপাতালটির চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সংঘর্ষের ঘটনা। স্বাস্থ্য প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি উঠে এসেছে, যেখানে সেবা কবে চালু হবে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই। প্রশ্ন হলো, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সম্পর্ক মারামারির পর্যায়ে গেল কীভাবে? 

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ক্ষোভ থাকা অস্বাভাবিক নয়। কারণ তাদের সব দাবি-দাওয়া এখনও পূরণ হয়নি। চিকিৎসাসহ সামগ্রিক বিষয় আহতদের সংক্ষুব্ধ হওয়ার বিষয়টি বড় আকারে সামনে আসে গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝিতে। ওই সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ক্ষোভের শিকার হয়েছিলেন। গভীর রাতে তখন চার উপদেষ্টার আশ্বাসে আহতরা হাসতালে ফিরে গিয়েছিলেন। এর পর আহতরা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন। সেখানেও তাদের দাবি পূরণে আশ্বাস দেওয়া হয়। এর পর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৫৫ জনের মধ্যে ৪ জন বিষপান করেন ২৫ মে। জরুরি চিকিৎসা দিয়ে তাদের শঙ্কামুক্ত করা হলেও আহতদের ক্ষোভ যে কমেনি, ২৮ মে চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মচারীদের মধ্যকার সংঘর্ষই তার প্রমাণ।

চিকিৎসকরা নিশ্চয় তাদের সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসা দিচ্ছেন। কিন্তু বাকি সুযোগ-সুবিধা তো তাদের হাতে নেই। এখানে আহত ও চিকিৎসকদের মাঝখানে কাউকে থাকতে হবে, যারা সরকারের সঙ্গে মধ্যস্থতা করবেন। আহত কোনো চিকিৎসক থাকলে তাদের দিয়ে এটি সহজেই করা যেত। আমরা দেখেছি, মুক্তিযুদ্ধের পর যারা আহত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তাদের চিকিৎসা নিয়েও এক ধরনের সংকট দেখা দিলে তাদের জন্য আলাদা একটা হাসপাতালই তৈরি করা হয়। সেটাই আজকের পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর)। তখন মুক্তিযুদ্ধে আহত চিকিৎসক কিংবা শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখনও মধ্যস্থতায় সেভাবে দায়িত্ব দিতে পারলে হয়তো পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সহজ। আহত ও চিকিৎসকদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব তো কোনো সমাধান নয়। বরং সমস্যা যে বেড়েছে– চক্ষু হাসপাতাল বন্ধের ঘটনাই তার প্রমাণ।

এ সমস্যা যে কেবল চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে হচ্ছে, তা নয়। বরং নিটোর, নিউরোসায়েন্সেসসহ অন্য হাসপাতাল, যেখানেই আহতরা আছেন, সেখানেই সমস্যা হচ্ছে। নভেম্বরে যখন আহতরা প্রথম বিক্ষোভ করেছিলেন, তখনই আমি সমকালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছি, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় আলাদা দপ্তর গঠন জরুরি। অর্থাৎ যাতে তারা সবকিছুর ‘ওয়ানস্টপ’ সমাধান পান। কারণ সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থাকে। ফলে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম অস্থায়ী কর্তৃপক্ষ করলে পরিবর্তন আসতে পারত। পরে শুনেছিলাম, আহতদের জন্য ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ বর্তমানে যেটি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা এমনই ছিল। এটা জরুরি ছিল। যেহেতু ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি’ হাসপাতাল, সেখানে সব ধরনের চিকিৎসাই একসঙ্গে পাওয়া সম্ভব হতো। আহতদের চিকিৎসা-পরবর্তী পুনর্বাসনে সেখানে ফিজিওথেরাপি যুক্ত হওয়ার কথাও বলা হয়। এর পরও কেন আহতদের চিকিৎসা সেখানে হলো না, আমরা জানি না। এ পরিকল্পনা কেন বাস্তবায়ন হলো না, তা জানা দরকার। সরকারই তো সেখানে অর্থায়ন করত। সব আহতকে সেখানে ট্রান্সফার করে চিকিৎসা ও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করলে নিশ্চয় আজকের এ পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসকরা সেবা দেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন। তার মানে, বিষয়টি আর সাধারণ পর্যায়ে নেই। তারা প্রয়োজনে অন্যত্র বদলি করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এমনকি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছেন অনেকে। এটাই প্রমাণ করে– তাদের মধ্যকার তিক্ততা কোন পর্যায়ে গেছে। অর্থাৎ তারা ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছেন। দু’পক্ষকে বসিয়ে এর সমাধানের পর্যায়ে আর বিষয়টি নেই। চিকিৎসকদের সেবা প্রদানের জন্য আস্থায় আনতে হলে এখন ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে বসতে হবে। তার আগে হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মচারীদের ক্ষোভের কারণগুলোর বিস্তারিত যেমন জানতে হবে, তেমনি জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দাবিগুলোও শুনতে হবে। যারা সমাধানের চেষ্টা করবেন তাদের উভয় পক্ষকেই আস্থায় আনতে হবে। শুধু প্রতিশ্রুতিতেই যেন তা সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং কার্যকরও জরুরি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন যদিও বলছে, অচলাবস্থা নিরসনে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিনিধি পাঠিয়েছে, যারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ অন্য সেবাদানকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। অতিদ্রুত এটি ফলপ্রসূ হওয়া দরকার। ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়ে চিকিৎসার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আর কার্যকর সমাধান হিসেবে আমি আহতদের বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েই চিকিৎসার কথা বলব।

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল যেহেতু চক্ষু চিকিৎসার সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতাল, সে জন্য সারাদেশ থেকেই রোগীরা এখানে সেবা নিতে আসেন। তাদের আর ফেরানো ঠিক হবে না। তাদের যদিও কাছের কোনো হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু চক্ষুর বিশেষায়িত সেবাগুলো সব হাসপাতালে সেভাবে নাও থাকতে পারে। এভাবে সেবা বন্ধ রাখা মন্দ নজির হয়ে থাকবে। সে জন্য সব পক্ষের আন্তরিকতার মাধ্যমে দ্রুত সমাধানে আসতেই হবে। যুদ্ধ অবস্থায়ও তো এভাবে বিশেষায়িত হাসপাতালের জরুরি সেবা বন্ধ থাকে না। তাহলে এই সময়ে কেন চোখ বুজে থাকা!

ডা. মুশতাক হোসেন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে অস্থিরতা: চোখ বুজে থাকবেন না
  • নতুন নোটের ডিজাইন প্রকাশ
  • জাপার ওপর এত রোষ কেন?
  • ঢাবিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবি শিক্ষকদের 
  • গণঅভ্যুত্থানের গণআকাঙ্ক্ষা কি পূরণ হয়েছে?
  • বীরত্বের গল্প ও শোকগাঁথা সংরক্ষণের জন্য জুলাই জাদুঘরের প্রতিষ্ঠা: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
  • চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট বন্ধ, অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ মন্ত্রণালয়ের
  • চক্ষু হাসপাতালে অচলাবস্থা কাটেনি