কৃষকের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে টানা সাতদিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।

তিনি হলেন, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থী খোকন চন্দ্র বর্মন। 

জানা যায়, খোকন বর্মন গত রবিবার (২৫ মে) থেকে শনিবার (৩১ মে) পর্যন্ত প্রথমে বিশ্ববদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি শুরু করেন। পরে তা প্রধান ফটকে এক ঘণ্টা করে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। দাবি আদায় না হলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর পুনরায় অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

আরো পড়ুন:

ড.

আসিফ নজরুল
দক্ষতা উন্নয়নে ৬ হাজার এসএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

গোবিপ্রবির ৩ বিভাগে নেই স্নাতকোত্তর

তার এ দাবির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এসএম সুইট,  সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানীসহ বিভাগের সহপাঠী এবং সিনিয়ররা সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। 

কর্মসূচিতে তারা ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে’, ‘খাদ্য দেয় যে তারই মুখে খাবার নেই, এই অবিচার চলবে না’, ‘কৃষকের দাম দাও কৃষক বাঁচাও’, ‘কৃষি বাঁচাও কৃষক বাঁচাও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত কর’, ‘মধ্যস্বত্বভোগী নয় দাম পাবে কৃষকই’, ‘ন্যায্য মূল্য চাই অন্যায়ের বিচার চাই’ ইত্যাদি প্লাকার্ড নিয়ে অবস্থান করেন।

কর্মসূচির বিষয়ে খোকন বর্মন বলেন, “আজ সাতদিন ধরে আমি যে দাবি নিয়ে এখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি, তার অন্যতম হলো- আমাদের উত্তরবঙ্গ যেখানে ৯০ ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল, সেখানে কৃষকেরা তাদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। যেমন- বাজারে যে আলু আছে, তা সেখানে ৫-১০ টাকায় বিক্রি হয়। অথচ একই আলু অন্যান্য জায়গায় ২০-২৫ টাকা বিক্রি হয়। বিভিন্ন জেলায় একই পণ্য বিক্রি হয় ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত।”

তিনি বলেন, “কুমড়া যেখানে মণ ২০০-২৫০ টাকা। মধ্যস্বত্বরা তা বিভিন্ন জায়গায় কেজি প্রতি ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে। অর্থাৎ কৃষকরা মাঠ পর্যায়ে দাম পাচ্ছে ৫-৬ টাকা। এতে মূল দাম নিয়ে যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। এই মধ্যস্বত্বভোগীরা শুধু কৃষকদের ক্ষতি করছে তাই নয় বরং ভোক্তাদেরও শোষণ করছে। তারা সিন্ডিকেট করে পুরো দেশের ক্ষতি করছে “

খোকনের দাবি, সরকার যেন মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট দ্রুত নিরসন করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকরা যেন তাদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য পায় তার জন্য সরকার পণ্যের ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করতে হবে। কৃষিপণ্য দেশের যেকোনো প্রান্তে পৌঁছাতে উন্নত যোগাযোগের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “খোকন বর্মন কৃষকদের উপর শোষণ ও অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদে ও তাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে সাতদিন ধরে যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে, তার প্রতি আমি পূর্ণ সংহতি জানাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গকে পুরো বাংলাদেশের শস্যভান্ডার বলা হয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গের কৃষকরা সব সরকারের আমলেই বিভিন্নভাবে অবহেলার শিকার হয়েছে। তারা যেমন যোগাযোগের দিক দিয়ে অবহেলার শিকার হয়েছে, তেমনিভাবে ন্যায্য মূল্যও তারা পায়নি। এই জায়গা থেকে উত্তরবঙ্গের কৃষকরা যতদিন ন্যায্য অধিকার ফিরে না পাবে, ততদিন খোকন বর্মনের মতো আমরা লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাব।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ষকর

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষকের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীর অবস্থান কর্মসূচি

কৃষকের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে টানা সাতদিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।

তিনি হলেন, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থী খোকন চন্দ্র বর্মন। 

জানা যায়, খোকন বর্মন গত রবিবার (২৫ মে) থেকে শনিবার (৩১ মে) পর্যন্ত প্রথমে বিশ্ববদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি শুরু করেন। পরে তা প্রধান ফটকে এক ঘণ্টা করে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। দাবি আদায় না হলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর পুনরায় অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

আরো পড়ুন:

ড. আসিফ নজরুল
দক্ষতা উন্নয়নে ৬ হাজার এসএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

গোবিপ্রবির ৩ বিভাগে নেই স্নাতকোত্তর

তার এ দাবির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এসএম সুইট,  সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানীসহ বিভাগের সহপাঠী এবং সিনিয়ররা সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। 

কর্মসূচিতে তারা ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে’, ‘খাদ্য দেয় যে তারই মুখে খাবার নেই, এই অবিচার চলবে না’, ‘কৃষকের দাম দাও কৃষক বাঁচাও’, ‘কৃষি বাঁচাও কৃষক বাঁচাও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত কর’, ‘মধ্যস্বত্বভোগী নয় দাম পাবে কৃষকই’, ‘ন্যায্য মূল্য চাই অন্যায়ের বিচার চাই’ ইত্যাদি প্লাকার্ড নিয়ে অবস্থান করেন।

কর্মসূচির বিষয়ে খোকন বর্মন বলেন, “আজ সাতদিন ধরে আমি যে দাবি নিয়ে এখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি, তার অন্যতম হলো- আমাদের উত্তরবঙ্গ যেখানে ৯০ ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল, সেখানে কৃষকেরা তাদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। যেমন- বাজারে যে আলু আছে, তা সেখানে ৫-১০ টাকায় বিক্রি হয়। অথচ একই আলু অন্যান্য জায়গায় ২০-২৫ টাকা বিক্রি হয়। বিভিন্ন জেলায় একই পণ্য বিক্রি হয় ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত।”

তিনি বলেন, “কুমড়া যেখানে মণ ২০০-২৫০ টাকা। মধ্যস্বত্বরা তা বিভিন্ন জায়গায় কেজি প্রতি ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে। অর্থাৎ কৃষকরা মাঠ পর্যায়ে দাম পাচ্ছে ৫-৬ টাকা। এতে মূল দাম নিয়ে যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। এই মধ্যস্বত্বভোগীরা শুধু কৃষকদের ক্ষতি করছে তাই নয় বরং ভোক্তাদেরও শোষণ করছে। তারা সিন্ডিকেট করে পুরো দেশের ক্ষতি করছে “

খোকনের দাবি, সরকার যেন মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট দ্রুত নিরসন করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকরা যেন তাদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য পায় তার জন্য সরকার পণ্যের ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করতে হবে। কৃষিপণ্য দেশের যেকোনো প্রান্তে পৌঁছাতে উন্নত যোগাযোগের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “খোকন বর্মন কৃষকদের উপর শোষণ ও অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদে ও তাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে সাতদিন ধরে যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে, তার প্রতি আমি পূর্ণ সংহতি জানাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গকে পুরো বাংলাদেশের শস্যভান্ডার বলা হয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গের কৃষকরা সব সরকারের আমলেই বিভিন্নভাবে অবহেলার শিকার হয়েছে। তারা যেমন যোগাযোগের দিক দিয়ে অবহেলার শিকার হয়েছে, তেমনিভাবে ন্যায্য মূল্যও তারা পায়নি। এই জায়গা থেকে উত্তরবঙ্গের কৃষকরা যতদিন ন্যায্য অধিকার ফিরে না পাবে, ততদিন খোকন বর্মনের মতো আমরা লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাব।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ