সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে খালেদ মিয়া (৪৭) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের কালনীচর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালনীচর গ্রামের মোবারক হোসেন ও রুয়েল মিয়ার মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। গতকাল বিকেলে এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এক ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে মোবারক হোসেনপক্ষের খালেদ মিয়া গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞা প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

আপত্তিকর ভিডিও ছড়ানোর হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার হাসান খন্দকার (৩৮) উপজেলার নিহালপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য প্রচারের হুমকি দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।

শিবালয় থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, প্রায় এক মাস ধরে হাসান ভুক্তভোগীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে জানাচ্ছেন, তাঁর কাছে নারীর আপত্তিকর কিছু ভিডিও ও ছবি আছে। ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে এসব ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে গিয়ে হাসান আবার হুমকি দেন। ওই নারী এত টাকা দিতে অস্বীকার করলে হাসান তাঁর বাড়ির দরজা ও জানালা ভাঙচুর করেন। চাহিদামতো টাকা না দিলে ফেসবুকে আপত্তিকর ভিডিও এবং ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার  হুমকি দিয়ে চলে যান। এর পর থেকে ম্যাসেঞ্জারে নিয়মিত একই হুমকি দিচ্ছিলেন হাসান।

এ ঘটনায় গত রোববার রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে হাসানকে আসামি করে শিবালয় থানায় মামলা করেন। গতকাল সোমবার ভোরে পুলিশ উপজেলার ডাক্তারখানা এলাকা থেকে হাসানকে গ্রেপ্তার করে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবালয় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ওই যুবকের বিরুদ্ধে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। সোমবার বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ