শরীয়তপুরের ১০ লাখ টাকায় ‘শাহজাদা’ বিক্রির অপেক্ষায় মালিক
Published: 1st, June 2025 GMT
পবিত্র কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গরু প্রস্তুতের প্রতিযোগিতা চলছে। এরই মধ্যে নজর কেড়েছে শরীয়তপুরের এক খামারে লালন-পালন করা এক বিশালদেহী গরু। মালিক ভালোবেসে যার নাম রেখেছেন ‘শাহজাদা’। তিন বছর বয়সী গরুটির ওজন এক হাজার কেজি। এর দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৭ লাখ টাকা। তবে তাতে বিক্রি করতে রাজি নন খামারের মালিক।
শরীয়তপুর পৌরসভার ধানুকা এলাকার খামারের মালিক মাহমুদুল হাসান। ২০১৯ সালে পড়ালেখা শেষে তিনি গবাদিপশুর খামার শুরু করেন। গত বছর গোপালগঞ্জের একটি হাট থেকে তিনি সাড়ে তিন লাখ টাকায় একটি গরু কেনেন। পাকিস্তানি শাহিওয়াল জাতের গরুটির গঠন লম্বা ও আকর্ষণীয় হওয়ায় তিনি নাম দেন ‘শাহজাদা’। এক বছরে গরুটির ওজন এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার কেজিতে। লালন–পালনে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা।
মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘গরুটি বিক্রির জন্য বিভিন্ন হাটে সোর্স লাগিয়েছি, অনলাইনেও তথ্য দিয়েছি। অনেকে এসে দেখে যাচ্ছেন, দাম বলছেন। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম কেউ বলছেন না। তাই অপেক্ষায় আছি। বাজারে এ বছর বড় গরুর চাহিদা কিছুটা কম। তবে সামনে চাহিদা বাড়তে পারে, সেটার ওপরই নির্ভর করছে দাম।’
আজ রোববার সকালে মাহমুদুলের খামারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ১০টি গরু আছে। পাইকার ও ক্রেতারা গরু দেখতে আসছেন, কেউ কেউ দাম বলছেন। গরু ব্যবসায়ী সোহাগ হাওলাদার বলেন, ‘শরীয়তপুরে অনেক খামার ও হাটে ঘুরেছি। এমন বড় গরু এখনো চোখে পড়েনি। তবে এ বছর বড় গরুর চাহিদা তুলনামূলক কম। সামনে মাত্র পাঁচ দিন বাকি, এখনো হাটগুলোতে ক্রেতা তেমন দেখা যাচ্ছে না।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর জেলায় ৮ হাজার ৯৪টি গবাদিপশুর খামার আছে। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এসব খামারে ১ লাখ ২৪ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে, যা জেলার ২৮টি স্থায়ী ও ৩০টি অস্থায়ী হাটে বিক্রি করা হচ্ছে। এখানকার খামারিরা গরু নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন হাটে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, জেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি গবাদিপশু প্রস্তুত হয়েছে। অনেক খামারে বড় গরু আছে। পৌর শহরের একটি খামারে ১ হাজার কেজি ওজনের গরু রয়েছে, যার মালিক এখনো কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি। খামারিরা জানিয়েছেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বড় গরুর চাহিদা কম।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আ.লীগ নেতার মদের ব্যবসা বন্ধের দাবিতে ডিসি অফিস ঘেরাও
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক প্রলয় চাকীর মদের ব্যবসা বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা টেকনিক্যাল মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, সালাউদ্দিন চাদু, পাভেল হাসান ডন, মাসুদ রানা বিপ্লব, মীর সানজিদ প্রান্ত, বরকতুল্লাহ, মিরাজ আহমেদ, রতন মেম্বার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক প্রলয় চাকী বৈষম্যবিরোধী ছাত্রহত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রহত্যার মামলা হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পরও তিনি মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর কারণে স্থানীয় যুবকদের অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। তাঁর দোকানের আশপাশে ৩-৪টা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলোর চারপাশে দিনরাত মাদকসেবীরা আড্ডা দেয়। অনতিবিলম্বে এ ব্যবসা বন্ধ করে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
এ বিষয়ে প্রলয় চাকী বলেন, অর্ধশত বছর ধরে আমাদের এ ব্যবসা। লাইসেন্সধারীরা এখান থেকে মদ কেনেন। এখন ব্যবসা দূরের কথা, পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।