হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বাই ইন্ডিয়ানস নাকি শ্রেয়াস আইয়ারের পাঞ্জাব কিংস—কোন দল উঠবে আইপিএল ফাইনালে, সেটি নিশ্চিত হবে আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার শেষে।
আহমেদাবাদ গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে ব্যক্তিগত অনেক কীর্তিও গড়তে পারেন দুই দলের খেলোয়াড়েরা। রোহিত শর্মা, আইয়ারদের সামনে আজ যেসব মাইলফলক ছোঁয়ার হাতছানি—হার্দিক পান্ডিয়া: আইপিএলে ১৫০ ছক্কা থেকে একটু দূরে

মুম্বাই অধিনায়ক পান্ডিয়া এখন পর্যন্ত আইপিএলে ছক্কা মেরেছেন ১৪৮টি। যে ছন্দে আছেন, তাতে পান্ডিয়ার কাছ থেকে আজ দুটি ছক্কা ভক্তরা আশা করতেই পারেন। সর্বশেষ গুজরাটের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে ৯ বলে তাঁর ২২ রানের ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সেদিন মেরেছিলেন তিনটি ছক্কা।

রোহিত শর্মা: টি–টোয়েন্টিতে ৫৫০ ছক্কার হাতছানি

‘হিটম্যান’খ্যাত রোহিতের স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে ৫৫০ ছক্কার মাইলফলক ছুঁতে দরকার আর তিনটি। আজ কি রোহিত তিনটি ছক্কা মারতে পারবেন? গুজরাটের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে ৮১ রানের ইনিংস খেলার পথে মেরেছিলেন চারটি ছক্কা। আজ একটি ছক্কা কম মারলেও চলবে। টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ছক্কা ক্রিস গেইলের, ১০৫৬টি।  

আরও পড়ুনধারাবাহিকতার ছিটেফোঁটাও নেই, ধবলধোলাই কি এড়ানো সম্ভব১ ঘণ্টা আগেসূর্যকুমার যাদব: ৫ ছক্কা দূরে

চলতি মৌসুমে একের পর এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলা সূর্যকুমারের মুম্বাইয়ের হয়ে ছক্কা ১৪৫টি। গত ম্যাচে তিনি ছক্কা মেরেছেন তিনটি। আজ কয়টি মারবেন? চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৬৭৩ রান করেছেন সূর্য।

প্রিয়াংশ আর্য: আইপিএলে ৫০টি চার থেকে ১টি দূরেপ্রিয়াংশ আর্য.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘বাংলাদেশ-চায়না অর্থনৈতিক অংশীদারত্বে নতুন মাইলফলক’

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) যৌথ আয়োজনে এবং চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের অংশগ্রহণে রবিবার অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী ‘চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্মেলন’।

সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়ান ওয়ানটে।

এছাড়া উভয় দেশের সরকার, কূটনৈতিক মিশন ও বাণিজ্যিক খাতের শীর্ষ প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। বেজা ও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যানের সম্মেলনটি পরিচালনা করেন।

আরো পড়ুন:

মে মাসে এলো ২৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

‘মিলিটারি অপারেশনস জোন’ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ, প্রতিক্রিয়া জানাল সেনাবাহিনী

বাংলাদেশের বিনিয়োগ নীতি ও পরিবেশ নিয়ে উপস্থাপন করেন বিডার হেড অফ বিজনেস ডেভেলাপমেন্ট নাহিয়ান রোচি।এছাড়া বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এছাড়া অংশগ্রহণকারী ৪টি প্রধান চীনা বাণিজ্যিক চেম্বারের সভাপতিরা বক্তব্য দেন।

সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন চীনের ১৪৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ও ব্যবসায়ীক সংগঠনের প্রতিনিধিরা, ফরচুন ৫০০ কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত ৬টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

টেক্সটাইল খাতের Hongdou Group Co., Ltd., ও Shandong Weiqiao Pioneering Group: A Global Textile Powerhouse Fluid-conveying products খাতের Meide Group (The world's leading manufacturer and solutions specialist in fluid-conveying products) সোলার খাতের সৌর ফটোভোলটাইক প্রস্তুতকার প্রতিষ্ঠান Huantai Energy Co., Ltd. (Manufacturer of solar photovoltaic silicon wafers based) অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নেরর Power China and China Road and Bridge Corporation World's largest metallurgical contractor প্রস্তুতকার প্রতিষ্ঠান Metallurgical Corporation of China Ltd. Agribusiness এর সাথে আছে এমন প্রতিষ্ঠান Sichuan Xinhe Industrial Co., Ltd. ও Laiwu Manhing Vegetables Fruits Co., Ltd. অংশগ্রহণ করেন।

৪টি প্রধান চীনা বাণিজ্যিক চেম্বার:
China Chamber of Commerce for Import and Export of Machinery and Electronic Products (CCCME), China International Chamber of Commerce for the Private Sector (CICCPS), Chamber of Commerce of Import and Export of Foodstuffs, Native Produce and Animal By-Products (CFNA) এবং China Chamber of Commerce for Import and Export of Textiles (CCCT) এর শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Technical Session এ প্রধান আলোচনা বিষয়সমূহ:
বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ ও অর্থনৈতিক অঞ্চল, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাতে যৌথ উদ্যোগ, ইলেকট্রনিকস ও যন্ত্রপাতি শিল্পে চীনা প্রযুক্তি স্থানান্তর, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বিনিয়োগ সম্ভাবনা। এসব আলোচনায় চীন ও বাংলাদেশের প্রায় ৫৫০ জন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভায় চীনের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

দ্বিপাক্ষিক মিটিং:
সম্মেলনের B2B ও B2G সেশনে ১০০টিরও বেশি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উভয় দেশের উদ্যোক্তারা সম্ভাব্য যৌথ প্রকল্প নিয়ে মতবিনিময় করেন।

এছাড়াও আগামী ২দিন সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাসহ কয়েকটি বিষয়ে সমঝোতা স্বারক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর:
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় চাইনিজ এগ্রিভোল্টাইক্স অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং পাওয়ার চায়না ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ লিমিটেড এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত:
বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর এই প্রথম এত বৃহৎ সংখ্যক বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী একযোগে বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এটি বর্তমান সরকারের দূরদর্শী বিনিয়োগ উদ্যোগ, প্রধান উপদেষ্টার সদ্য চীন সফর ও এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রত্যক্ষ ফলাফল। চীনা বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওয়ানডেতে ৭ হাজারে প্রথম ইংলিশ রুট, রেকর্ড সেঞ্চুরিতে জেতালেন দলকে
  • ‘বাংলাদেশ-চায়না অর্থনৈতিক অংশীদারত্বে নতুন মাইলফলক’