প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিশুরা শুধু বই পড়ে শেখে না, তারা স্কুলের পরিবেশ ও কর্মসূচি থেকেও শেখে। সবচেয়ে বেশি শেখে অভিভাবকদের কাছ থেকে। কারণ, তারা তাদের সঙ্গে বেশি সময় কাটায়। শুধু ভালো ভবন হলেই হবে না, শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে হবে। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন।

রোববার রাজধানীর উত্তরার আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তিনি এ কথা বলেন। আজমপুরসহ পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সামান্য। প্রাথমিক পাশ করার পর একজন শিশু সাবলীলভাবে মাতৃভাষায় পড়তে, বুঝতে এবং লিখতে পারবে। যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ করতে পারবে- এটুকুই।’ এ লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

নতুন ভবনগুলো হলো- আজমপুর, মিরপুর এক নম্বর সেকশনের ওয়াক আপ, মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের খলিলুর রহমান, দিয়াবাড়ী এবং ধুপখোলা মাঠ সংলগ্ন কোব্বাদ সরদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এ পাঁচটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মোট ২৪ কোটি ৯৬ লাখ ৮ হাজার টাকা। পাঁচটি ভবনের মধ্যে ছয়তলা ভিতবিশিষ্ট চারটি চারতলা ভবন এবং একটি তিনতলা ভবন। এগুলোতে ৭৫টি কক্ষ রয়েছে। ওয়াস ব্লক রয়েছে ৮৯টি। বিদ্যালয়গুলোর নতুন ভবনে ছাত্র-ছাত্রীর মোট ধারণ ক্ষমতা ২ হাজার ৬৯৬জন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো.

শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আক্তার খান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ ও প্রকল্প পরিচালক মো. সাইফুর রহমান।

উল্লেখ্য, ‘ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় ১৩২টি ভবন পুনঃনির্মাণ, ১০টি মেরামত এবং ১৪টি নতুন ভবন স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের মেয়াদ জানুয়ারি ২০২০ হতে জুন ২০২৭ পর্যন্ত। মোট বরাদ্দ ১ হাজার ৩৭২ কোটি ৮২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণশ ক ষ উপদ ষ ট গণশ ক ষ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ভবন হলেই হবে না, শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিশুরা শুধু বই পড়ে শেখে না, তারা স্কুলের পরিবেশ ও কর্মসূচি থেকেও শেখে। সবচেয়ে বেশি শেখে অভিভাবকদের কাছ থেকে। কারণ, তারা তাদের সঙ্গে বেশি সময় কাটায়। শুধু ভালো ভবন হলেই হবে না, শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে হবে। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন।

রোববার রাজধানীর উত্তরার আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তিনি এ কথা বলেন। আজমপুরসহ পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সামান্য। প্রাথমিক পাশ করার পর একজন শিশু সাবলীলভাবে মাতৃভাষায় পড়তে, বুঝতে এবং লিখতে পারবে। যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ করতে পারবে- এটুকুই।’ এ লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

নতুন ভবনগুলো হলো- আজমপুর, মিরপুর এক নম্বর সেকশনের ওয়াক আপ, মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের খলিলুর রহমান, দিয়াবাড়ী এবং ধুপখোলা মাঠ সংলগ্ন কোব্বাদ সরদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এ পাঁচটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মোট ২৪ কোটি ৯৬ লাখ ৮ হাজার টাকা। পাঁচটি ভবনের মধ্যে ছয়তলা ভিতবিশিষ্ট চারটি চারতলা ভবন এবং একটি তিনতলা ভবন। এগুলোতে ৭৫টি কক্ষ রয়েছে। ওয়াস ব্লক রয়েছে ৮৯টি। বিদ্যালয়গুলোর নতুন ভবনে ছাত্র-ছাত্রীর মোট ধারণ ক্ষমতা ২ হাজার ৬৯৬জন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আক্তার খান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ ও প্রকল্প পরিচালক মো. সাইফুর রহমান।

উল্লেখ্য, ‘ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় ১৩২টি ভবন পুনঃনির্মাণ, ১০টি মেরামত এবং ১৪টি নতুন ভবন স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের মেয়াদ জানুয়ারি ২০২০ হতে জুন ২০২৭ পর্যন্ত। মোট বরাদ্দ ১ হাজার ৩৭২ কোটি ৮২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ