মে মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার
Published: 1st, June 2025 GMT
কোরবানির ঈদের আগেও দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। সদ্য শেষ হওয়া মে মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। আর চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের (জুলাই-মে) হিসাবে প্রবাসী আয়ে ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
গত মার্চে; অর্থাৎ রমজানের সময়ে প্রবাসীরা ৩২৯ কোটি ডলার আয় পাঠিয়েছিলেন। যদিও পরের মাসে তা কমে হয় ২৭৫ কোটি ডলার। রেমিট্যান্সের শক্তিশালী সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত মে মাসের শেষ তিন দিনে (২৯-৩১ মে) রেমিট্যান্স এসেছে ২৪ কোটি ৭০ কোটি ডলার। গত বছরের মে মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ২২৫ কোটি ডলার।
খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, রেমিট্যান্সের এই শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ডলারের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করবে। অবৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠানোর বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ এবং বৈধ পথে তা পাঠানোর জন্য প্রণোদনা প্রদানই মূলত প্রবাসী আয় প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহা সামনে রেখেও প্রবাসীরা সাধারণত দেশে বেশি পরিমাণে অর্থ পাঠিয়ে থাকেন। সে অনুযায়ী ঈদের আগে চলতি জুন মাসের জুনের প্রথম সপ্তাহেও ভালো পরিমাণে প্রবাসী আয় আসবে বলে ব্যাংকাররা আশা করছেন।
প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলোয় মার্কিন ডলারের যে সংকট চলছিল, তা অনেকটা কেটে যাচ্ছে বলে মনে করেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেন, ডলারের দাম নিয়ে যে অস্থিরতা ছিল, তা-ও কিছুটা কমে এসেছে। ব্যাংকগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ১২৩ টাকার মধ্যেই প্রবাসী আয় কিনছে। তবে খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা দামে।
দেশে গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর টানা ৭ মাস ধরে প্রতি মাসে ২০০ কোটি ডলারের বেশি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা পাঠান ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। এর আগে জানুয়ারিতে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবাসী আয় ৩ শতাংশ বেশি আসে।
প্রবাসী আয় হলো দেশে মার্কিন ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ, এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না বা কোনো দায় পরিশোধ করার দরকার পড়ে না। অন্যদিকে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আবার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। এ ছাড়া বিদেশি ঋণ পরিশোধেও ডলারের প্রয়োজন হয়। সার্বিকভাবে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের রিজার্ভ বা মজুত দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আইটি গেট সংলগ্ন বিএনপি নেতার দলীয় কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ইমদাদুল নামে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) ও মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খায়রুল বাশার।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
নবীনগরে গুলিবিদ্ধ ৩
তিনি বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভেতর ভুসি রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর ভেতরেই বোমা নিয়ে আসা হয়েছিল।” পেশাদার কিলারের সম্পৃক্তা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ওসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসেছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুইটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। পরে নেতাকর্মী ও স্বজনরা গুরুতর আহত মামুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, “যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”
যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, “ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়িগেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ