পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল থেকে পৃষ্ঠভাগে উঠে আসছে সোনা। চলতি সপ্তাহে বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ন্যাচারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পৃথিবীর সোনার সবচেয়ে বড় ভাণ্ডার এর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। পৃথিবীর ৯৯ দশমিক ৯৯৯ শতাংশেরও বেশি সোনা এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর ভাণ্ডার তিন হাজার কিলোমিটার নিচে চাপা পড়ে আছে। নতুন একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মানুষের নাগালের বাইরের সেই অঞ্চল থেকে সোনার মতো মূল্যবান ধাতু ভূপৃষ্ঠের দিকে উঠে আসছে।

লিথোস্ফিয়ারের গভীর থেকে বিস্ফোরিত আগ্নেয়গিরির শিলা থেকে বেরিয়ে আসা আইসোটোপের বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে এই বিষয়টি আবিষ্কৃত হয়েছে।

জিটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের আগ্নেয়গিরির শিলাগুলোতে রুথেনিয়াম এর চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন। তাদের ভাষ্য, এই শিলা অবশ্যই পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল থেকে এসেছে। তারা শিলাগুলোতে রুথেনিয়াম-১০০ খুঁজে পেয়েছেন, যা ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন বছর আগে তৈরি হওয়ার সময় পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে সোনা এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর সাথে আটকে ছিল বলে মনে করা হয়।

গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর পৃষ্ঠের লাভাগুলাতে অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ রুথেনিয়াম-১০০ সংকেত পাওয়া গেছে।

জিটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-রসায়ন বিভাগের ড.

নিলস মেসলিং বলেছেন, “প্রথম ফলাফল আসার পর, আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে আমরা আক্ষরিক অর্থেই সোনার সাথে যোগাযোগ করেছি! আমাদের তথ্য নিশ্চিত করেছে যে সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতুসহ উপাদানগুলো কেন্দ্রস্থল পৃথিবীর উপরের আবরণে উঠে আসছে।” 

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলি অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ