ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী আরামানথা ক্রিস্টিয়ান নাসির জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশিদের জন্য ইন্দোনেশিয়াতে অন অ্যারাইভাল ভিসা চালুর চেষ্টা করা হবে। এই ইস্যু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে দুই দেশ।

সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ইন্দো-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী তারা।

উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং খুব দ্রুতই বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়া এফওসি হবে বলেও জানান পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা লাগবে। তবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে বাংলাদেশের পাশে আছে ইন্দোনেশিয়া।

ভূরাজনৈতিক দিক থেকে দুই দেশ খুব কাছাকাছি থাকলেও সম্পর্ক নিবিড় নয়, তাই বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইন দ ন শ য ইন দ ন শ য়

এছাড়াও পড়ুন:

চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় ঠেলাগাড়ির শ্রমিক নিহত

রাজধানীর চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় সোহাগ হাওলাদার (৩০) নামের ঠেলাগাড়ির এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে চকবাজারের নাজিমুদ্দিন রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সহকারী প্রধান কারারক্ষী সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে কারা সদর দপ্তরের দিকে যাচ্ছিল ট্রাকটি। ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন মনসুর নামের এক চালক। নাজিমুদ্দিন রোডে পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সোহাগের সহকর্মীরা বলেন, দুপুরে আগামাছি লেন থেকে তাঁরা চারজন মিলে ঠেলাগাড়িতে ইট বহন করে নাজিমুদ্দিন রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। নাজিমুদ্দিন রোডের বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি প্রিজন ট্রাক ঠেলাগাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে সোহাগ সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে সোহাগকে উদ্ধার করে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোহাগের সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী ট্রাক ও চালককে আটক করেছেন।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সোহাগের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

নিহত সোহাগের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। বাবার নাম দুলাল হাওলাদার। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সোহাগ কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় থাকতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ