বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানো না হলে নগর ভবনের তালা খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে ইশরাকের সমর্থকদের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

সোমবার নগর ভবনে গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটক ও সব বিভাগে তালা ঝুলছে। ফটকের ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী এবং কর্মচারীরা বিক্ষোভ করছেন। তারা ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন। দিনভর সেখানে অবস্থান করেন আন্দোলনকারীরা। তারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক দলের আহ্বায়ক মো.

কামাল হোসেন সমকালকে বলেন, ‘সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, অবিলম্বে গেজেট বাস্তবায়ন করে ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব দিন। অন্যথায় বাধ্য হব কঠোর আন্দোলনে যেতে।’ ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে ১৪ মে থেকে টানা আন্দোলনে নগর ভবনের সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নগরবাসী। করপোরেশনের কর্মকর্তারা অঘোষিত ছুটিতে আছেন। 

সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল অভিযোগ করেন, ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ করতে না দিয়ে সংবিধান ভঙ্গ করা হয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের সচিব ও উপদেষ্টারা সংবিধান ভঙ্গ করেছেন। সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশন ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংবিধানে আরও বলা হয়েছে, নির্বাহীরা নির্বাচন কমিশনকে সকল কাজে সহযোগিতা করবেন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ইশর ক হ স ন ড এসস স ইশর ক

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন

প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণের ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুদকের ডেপুটি ডিরেক্টর আকতারুল ইসলাম (জনসংযোগ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) অধীন রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ডিপো এক্সেস করিডোর নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার ভূমি অধিগ্রহণের নামে সরকারি কোষাগার থেকে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ফেনীতে ছাত্র হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নূরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, ১২ বছর পর তোলা হলো আবু বকরের দেহাবশেষ

দুদক জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি রিয়াজ সংশ্লিষ্ট জমির মূল দলিল হারিয়ে গেছে মর্মে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় পাঁচটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে তিনি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ওই দলিলগুলোর সার্টিফায়েড কপি উত্তোলন করে ভূমি অধিগ্রহণ অফিসে জমা দেন এবং ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করেন।

শুধু তাই নয়, ওই রিয়াজের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতারণার প্রমাণও পেয়েছে দুদক। সে তার জমি ইতোপূর্বে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (সোনালী ব্যাংক) কাছে বন্ধক রাখে এবং বন্ধকী দলিল এখনো কার্যকর রয়েছে।

প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করায় মো. রিয়াজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় মামলার অনুমোদন করা হয় বলে দুদক জানায়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ