ডিজিটাল ওয়ালেট সেবার লাইসেন্স পেল গ্রামীণ টেলিকম
Published: 3rd, June 2025 GMT
পরিশোধ সেবাদানকারী (পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার-পিএসপি) প্রতিষ্ঠান হিসেবে চূড়ান্ত লাইসেন্স পেল গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের মালিকানাধীন সমাধান সার্ভিসেস্ লিমিটেড। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রতিষ্ঠানটির নামে লাইসেন্স ইস্যু করা হয়।
পিএসপি সাধারণত ই-ওয়ালেট বা ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা নামে পরিচিত। এখানে অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে গ্রাহক তাঁর ব্যাংক একাউন্ট থেকে ব্যাংক বা অন্য মাধ্যম থেকে টাকা এনে অনলাইন কেনাকাটা, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, টিউশন ফি পরিশোধসহ বিভিন্ন ধরনের লেনদেন করতে পারেন। যেমন চীনের আলিপে।
বাংলাদেশে এর আগে আইপে, ডি মানিসহ আটটি প্রতিষ্ঠান এ লাইসেন্স পেয়েছে। সমাধান লাইসেন্স পাওয়ায় দেশে মোট পিএসপির সংখ্যা দাঁড়াল ৯টি। এর বাইরে দেশে ১১টি পিএসও বা পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর রয়েছে।
গতকাল সোমবার লাইসেন্স পাওয়া সমাধান সার্ভিসেস্ লিমিটেডের মূল কোম্পানি গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট। ড.
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে দেশের সব ব্যাংক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সিস্টেমস অপারেটর ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইনের ধারা ৫(৪)-এর ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘সমাধান সার্ভিসেস্ লিমিটেড’কে শর্তসাপেক্ষে দেশের অভ্যন্তরে পরিশোধ সেবা দেওয়ার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর সমাধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পিএসপি লাইসেন্সের জন্য প্রথম আবেদন করে। প্রতিষ্ঠানটি অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পাওয়ার শর্ত পূরণ করলেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত তা ঝুলিয়ে রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর ২৯ সেপ্টেম্বর সমাধানকে এনওসি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে তাদের পিএসপি লাইসেন্স পাওয়ার পথ সুগম হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি