ন্যূনতম ঐকমত্যের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে সনদ করতে চাই: আলী রীয়াজ
Published: 3rd, June 2025 GMT
দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের উদ্দেশ্য নিয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘আমরা চাই এমন কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে, যেখানে সব রাজনৈতিক দল অন্তত ন্যূনতম পর্যায়ের ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে এবং সেগুলো জুলাই সনদ করা যায়। সেটাই এই সংলাপের মূল উদ্দেশ্য।’
মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা এতে অংশ গ্রহণ করেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘কিছু বিষয়ে হয়তো একমত হওয়া যাবে, তবে প্রত্যেক দলই তাদের নিজ নিজ অবস্থান, দলীয় ইশতেহার এবং রাজনৈতিক অভিপ্রায় ধরে রাখবে। তবে কোনো দল যদি অতিরিক্ত কিছু যুক্ত করতে চায়, তাদের সেই মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সনদে আমরা কেবলমাত্র সেসব প্রস্তাবই অন্তর্ভুক্ত করতে চাই, যেগুলোতে আপনাদের সম্মতি থাকবে। আমরা আলাদাভাবে প্রতিটি দলের সঙ্গে আলোচনা না করে সম্মিলিত সংলাপের পথ বেছে নিয়েছি, যাতে পারস্পরিক যুক্তি-বিশ্লেষণের মাধ্যমে অবস্থানে পরিবর্তন আসতে পারে। সেই বিবেচনায় একটি কাঠামো দাঁড় করাতে চাই আমরা।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়ে একমত হওয়া না গেলেও, আমাদের কিছু উপসংহার টানতেই হবে—বিশেষ করে সময়ের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে। আমাদের লক্ষ্য হলো জুলাই মাসের মধ্যে জাতীয় সনদটি চূড়ান্ত করা।’
তিনি বলেন, ‘‘সেই সনদে কোনো বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে আর কোনটি হবে না, সে সিদ্ধান্ত আমাদেরকেই নিতে হবে। যেসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত হবে না, সেগুলোকেও উল্লেখ করা হবে ‘আলোচিত হলেও ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি’—এই বিবেচনায়।”
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আজকের আলোচনার এজেন্ডায় রয়েছে—সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদে নারীদের সংরক্ষিত আসন, স্থায়ী সংসদীয় কমিটি, সরকারের মেয়াদ এবং এসব ব্যবস্থাকে কীভাবে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যায়, সে বিষয়গুলো।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠক আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড.
বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত আছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আল র য় জ র জন ত ক র য় জ বল
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে সব দল থেকে ২০ শতাংশ নারী প্রার্থী রাখার প্রস্তাব গণসংহতি আন্দোলনের
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে ন্যূনতম ২০ শতাংশ নারী প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে দলের এমন অবস্থান তুলে ধরেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
এর আগে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে রাজনৈতিক দলগুলো পৃথকভাবে ব্রিফিং করে।
ব্রিফিংয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন যেহেতু আগের পদ্ধতিতেই হবে, সেখানে অন্তত নির্বাচন কমিশনের জায়গা থেকে একটি সুনির্দিষ্ট বিধান করা, আগামী পার্লামেন্টে প্রতিটি দল থেকে অন্ততপক্ষে শতকরা ২০ ভাগ নারী প্রার্থী দিতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘আমরা ১০০ আসনে নারীর সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনকে সমর্থন দিয়েছি।’