সাইকেল চালানো শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সাইক্লিং কীভাবে মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমাতে এবং সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করে তা জেনে নিন-
এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে
সাইক্লিং এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে। এর ফলে ব্যথার অনুভূতি কমে এবং সুখের অনুভূতি বাড়ে। এই হরমোন নিঃসরণ মানসিক চাপ কমাতে ও উদ্বেগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
কর্টিসল কমায়
কর্টিসল হলো স্ট্রেস হরমোন। নিয়মিত সাইকেল চালালে কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে মানসিক চাপ কমে। ২০-৩০ মিনিট সাইকেল চালালেও মনমেজাজ ভালো হয়।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়
সাইক্লিং মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যার ফলে মস্তিষ্কে আরও অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ হয়। এর ফলে মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়।
ঘুমের মান উন্নত করে
সাইকেল চালানোর মতো শারীরিক কার্যকলাপ ভালো ঘুমে সহায়তা করে। যারা নিয়মিত সাইকেল চালান তারা দ্রুত ঘুমিয়ে পড়েন। তাদের ঘুমও ভালো হয়। এর ফলে শরীর ও মন ভালো থাকে।
মননশীলতাকে উৎসাহিত করে
নিয়মিত সাইকেল চালানো উদ্বেগ থেকে মনোযোগ সরিয়ে আপনাকে চারপাশের পরিবেশের দিকে মনোযোগ দিতে উৎসাহিত করে। এতে মননশীলতা বাড়ে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ য য কর
এছাড়াও পড়ুন:
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।
গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।
আরো পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।
খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ