গ্রাহকের মোবাইল খরচের অর্ধেক যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে
Published: 3rd, June 2025 GMT
মুঠোফোন বা মোবাইল ফোন বর্তমানে জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধনী, গরিব ও বিত্তবান ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দিনমজুর—প্রায় সবার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এখন মুঠোফোন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের ৯৮ শতাংশ পরিবারের কাছে কমপক্ষে একটি মুঠোফোন রয়েছে। আর ষষ্ঠ জনশুমারির তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে সিম ব্যবহৃত হচ্ছে ১৯ কোটির বেশি। পড়াশোনা, স্বাস্থ্যসেবা, ব্যাংকিং, ব্যবসা কিংবা পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেই হোক আর নতুন কিছু খুঁজতেই হোক, সবকিছুই এখন মুঠোফোনে।
মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের খরচের একটি বড় অংশ যায় রিচার্জে। কলরেট বা ইন্টারনেট খরচ মেটাতে ব্যবহারকারীরা দৈনিক বা মাসিক হিসেবে রিচার্জ করে থাকেন। ডিজিটালবান্ধব হয়ে ওঠার দৌড়ে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মোবাইল খরচ, যা নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের শেষ নেই। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগের তুলনায় তাঁদের মোবাইল খরচ এখন অনেকাংশেই বেড়েছে। ফলে তাঁদের নানা ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। আর সবচেয়ে বেশি ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। যেহেতু তাঁদের পড়াশোনার জন্য এখন সব সময় সংযুক্ত থাকতে হচ্ছে ইন্টারনেটের সঙ্গে।
মোবাইল ফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, গ্রাহকের টাকার একটি বড় অংশ চলে যায় রাষ্ট্রের কোষাগারে, যার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহককে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘ভিওন লিমিটেড নামক একটি গ্রুপের আওতায় আরও পাঁচটি দেশে কাজ করছে বাংলালিংক। বাকি দেশগুলোয় কিন্তু বাংলাদেশের মতো এত বেশি কর দিতে হয় না। কর দিতেই এত টাকা চলে যাওয়ার কারণে আমরা নতুন কোনো উদ্ভাবন নিয়ে আসতে পারছি না। ফলে আমাদের সেবার মান কমে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আমরা গ্রাহকদের খরচ কম করতে চাইলেও তা সম্ভব হয়ে উঠছে না।’
তাইমুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা ২০ বছর ধরে কাজ করছি। বাংলালিংকের রয়েছে প্রায় চার কোটি সাবস্ক্রাইবার। এরপরও আমরা সে হিসেবে লাভবান হয়ে উঠতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে আমরা সরকারকে শুরু থেকেই অনুরোধ করে আসছি।’
দেশে মোবাইল ফোন সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য বলছে, তাদের একজন ব্যবহারকারী যদি মোবাইল রিচার্জে ১০০ টাকা খরচ করেন, তবে ৫০ টাকাই চলে যায় সরকারের কোষাগারে, যার মধ্যে শুধু ভ্যাট দিতে হয় প্রায় ১৩ টাকা, সম্পূরক শুল্ক প্রায় ১৪ টাকা ও সারচার্জ শূন্য দশমিক ৭২ টাকা। এ ছাড়া রেভিনিউ শেয়ারিং ও এসওএফ সাড়ে চার টাকার বেশি এবং অন্যান্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর রয়েছে প্রায় ১৭ টাকা। সেই সঙ্গে যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার আমদানির সময় সরকারকে অনেক ধরনের কর দিতে হয়, যা পরবর্তী সময়ে ভোক্তাদেরই বহন করতে হয়।
তবে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের মতো উন্নত দেশগুলোয় ভোক্তাদের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে এত টাকা দিতে হয় না। প্রতি ১০০ টাকায় থাইল্যান্ডের ভোক্তারা দেন ২০ টাকা, সিঙ্গাপুরে ১৭ টাকা আর পাশের দেশ ভারতের ভোক্তারা দেন প্রতি ১০০ টাকায় ১৮ টাকা।
দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনের কলরেট আর ইন্টারনেট শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে সরব প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম মাশরুর। তিনি মনে করেন, এই খাতের ওপর সম্পূরক শুল্ক আরোপ সরকারের কার্যক্রমের সঙ্গে বিপরীত।
ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘মজার ব্যাপার হচ্ছে, এখনো বাংলাদেশের মোবাইল ডেটা খরচের ওপরে প্রায় ২০ শতাংশের মতো সম্পূরক শুল্ক আছে। ঠিক যেমন সিগারেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক আছে। সিগারেটের ওপর এই শুল্ক থাকার কারণ, সিগারেট গ্রহণে নিরুৎসাহিত করা হয়। কিন্তু ইন্টারনেট তো আসলে এখন এমন কোনো বিষয় নয়, যা নিরুৎসাহিত করা উচিত।’
দেশে মোবাইল ফোন সেবাদানকারীদের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ’। সংগঠনটির সদস্য গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও টেলিটক। এই চার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধু টেলিটক রাষ্ট্রীয় মোবাইল ফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এই সংগঠনটির মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.
লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, ‘আমরা খুব সুসংগঠিতভাবে উপস্থাপন করে সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে কর যা ধার্য করা হয়েছে, তা অনেক বেশি অসহনীয়। সরকার যদি এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখে, তাহলে হয়তো আমাদের জন্য এবং একই সঙ্গে জনগণের জন্য বেশ ভালো হয়।’
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় মুঠোফোন এখন বিলাসবহুল কোনো পণ্য নয়। জুলাই অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশে বিভিন্ন মহলে জোর দাবি উঠেছে, ইন্টারনেটকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে ঘোষণার। এমন পটভূমিতে সম্পূরক শুল্কমুক্তিসহ অন্যান্য কর ও শুল্ক ন্যূনতম করার দাবি উঠেছে গ্রাহক, ব্যবসায়ীসহ সব মহলে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র হক র ওপর সরক র ব যবহ
এছাড়াও পড়ুন:
বাজারে আগাম সবজি আসতে দেরি, দাম চড়া
শীতের মৌসুম শুরু হলেও রাজধানীর বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ এবার কম। এ কারণে দামও চড়া। বাজারে অধিকাংশ সবজির কেজি ৮০ টাকার বেশি। কিছু সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে।
বছরের এপ্রিল-অক্টোবর সময়টা মূলত গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুম। এ সময়ে প্রাণিজ আমিষ, অর্থাৎ মাছ, মাংস ও ডিমের দাম তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়। তাতে সবজির ওপর চাপ বাড়ে। ফলে সবজির সরবরাহ মোটামুটি থাকলেও দাম থাকে চড়া। শীতের আগাম সবজি বাজারে আসতে শুরু করলে দামও কমতে শুরু করে। শীতের আগাম সবজি বাজারে আসতে শুরু করে সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে।
বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর শীতের আগাম সবজি আসতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগছে। এ কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বাজারে চড়া দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। তবে গত কয়েক দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ফুলকপি, শিমসহ শীতের আগাম কিছু সবজি আসতে শুরু করেছে। এতে এসব সবজির দামও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, অক্টোবরের শুরুতেই আগাম শীতের সবজি বাজারে আসার কথা। কিন্তু এবার বেশ দেরিতেই এসব সবজি বাজারে এসেছে।
দেশে সবজির অন্যতম উৎপাদনস্থল যশোর। যশোরের সদর উপজেলার নোঙরপুর গ্রামের কৃষক বদরুল আলম এ বছর ৪০ শতক জমিতে আগাম মুলা চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে ২৫ শতক জমির মুলা তিনি বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, আবহাওয়াগত কারণে এবার আগাম সবজি একটু দেরিতে চাষ হয়েছে। এ জন্য খেত থেকে সবজি তুলতেও দেরি হয়।
এ বছর একটা লম্বা সময় ধরে বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বৃষ্টির সময়ে কেউ আগাম সবজি চাষের ঝুঁকি নেননি। এ কারণে আগাম শীতকালীন সবজি অক্টোবরের শেষে বাজারে আসা শুরু হয়েছে।আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ, অধ্যাপক, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান মাস্টার বলেন, এ বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অনেক কৃষক ওই সময়ে আগাম সবজি চাষ করতে পারেননি। চাষাবাদ শুরু করতে দেরি হওয়ায় সবজি পেতেও দেরি হয়েছে। এতে বাজারেও প্রভাব পড়েছে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরাকৃষিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছর আগাম সবজি চাষে দেরি হওয়ার পেছনে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের টানা বৃষ্টির একটি ভূমিকা ছিল। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ সময়ে হঠাৎ টানা বৃষ্টি হয়। সামনের বছরগুলোতেও এমন পরিস্থিতি আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা।
এ বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অনেক কৃষক ওই সময়ে আগাম সবজি চাষ করতে পারেননি। চাষাবাদ শুরু করতে দেরি হওয়ায় সবজি পেতেও দেরি হয়েছে। ইমরান মাস্টার, সভাপতি, কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতিশেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ জানান, দেশে ফসল উৎপাদন মূলত প্রকৃতিনির্ভর চাষাবাদ পদ্ধতিতে এবং খোলা মাঠে হয়। এ ক্ষেত্রে বৃষ্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে গত কয়েক বছরে দেশে বৃষ্টির ধরন পরিবর্তন হয়ে গেছে। কখনো খুব বেশি বৃষ্টি হয়, কখনো কম। এ বছর একটা লম্বা সময় ধরে বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বৃষ্টির সময়ে কেউ আগাম সবজি চাষের ঝুঁকি নেননি। এ কারণে অন্যান্য সময় যেখানে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আগাম শীতকালীন সবজি বাজারে চলে আসে, সেখানে এবার তা অক্টোবরের শেষে আসা শুরু হয়েছে। এটিই বাজারে সবজির দাম না কমার অন্যতম কারণ।
ভিন্ন দাবি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরেরকৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর অতিবৃষ্টির কারণে দুই দফায় সবজির ক্ষতি হয়। এর মধ্যে গত আগস্টে প্রায় ১৮ দিনের বৃষ্টিতে ৩৫১ হেক্টর জমির এবং সেপ্টেম্বরে ১৫ দিনে ১২৪ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংস্থাটির কর্মকর্তাদের দাবি, চলতি বছর শীতের আগাম সবজি আসতে উল্লেখ করার মতো দেরি হয়নি। স্থানভেদে কোথাও কয়েক দিন দেরিতে চাষ শুরু হয়েছে। তবে সেটি সার্বিক চিত্র নয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘আগাম সবজির সরবরাহ কম, এটি ব্যবসায়ীদের সাধারণ কথা। আমাদের তথ্য বলছে, শীতের আগাম সবজি ইতিমধ্যে বাজারে চলে এসেছে। দেশের সব বাজারেই এখন শীতের আগাম সবজি পাওয়া যায়। দামও সহনীয় হয়ে এসেছে। আগাম সবজি যদি কম থাকত, তাহলে দাম আরও চড়া থাকার কথা ছিল।’
বৃষ্টির কারণে সবজি আসতে দেরি হয়েছে কি না—এ প্রসঙ্গে ওবায়দুর রহমান বলেন,সারা দেশে একসঙ্গে টানা বৃষ্টি হয়নি। শুধু কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ রংপুরের কয়েকটি জেলা এবং চট্টগ্রামের কিছু জেলার নিচু এলাকায় অতিবৃষ্টির প্রভাব পড়েছিল। এ ছাড়া বগুড়া, যশোর অঞ্চলে বৃষ্টির তেমন প্রভাব পড়েনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, চলতি বছর শীতকালে (রবি মৌসুম) প্রায় ৬ লাখ ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুমান করেছে তারা। এর মধ্যে ১ লাখ ২৯ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আগাম সবজি চাষ হয়েছে। যেসব জমিতে আগাম সবজি চাষ হয়েছে, সেখানে আবার সবজি চাষ হবে। গত বছর শীত মৌসুমে সব মিলিয়ে ৬ লাখ ৪২ হাজার হেক্টরে সবজি চাষ হয়েছিল।
করণীয় কীবিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বৃষ্টির অস্বাভাবিকতা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে কৃষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। এ সত্যকে মেনে নিতে হবে। এ পরিস্থিতিতে আধুনিক প্রযুক্তির চাষাবাদ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে এক ফসলি জমিকে দুই বা তিন ফসলি করা এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো জরুরি।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ জানান, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে খাদ্যের চাহিদা মেটাতে কৃষিতে প্রযুক্তিনির্ভর অভিযোজনের বিকল্প নেই। কম খরচে পলিথিনের শেড তৈরি করে সবজি চাষ করা সম্ভব, যা বৃষ্টি বা তাপমাত্রার পরিবর্তনে তেমন প্রভাবিত হয় না। পাতাজাতীয় শাকসবজি, মরিচ, টমেটো, বেগুন ও শসার মতো ফসল এতে সহজে উৎপাদন করা যায়। উৎপাদন স্থিতিশীল থাকলে সবজির সরবরাহ ঠিক থাকবে, কৃষকেরাও ভালো দাম পাবেন।