চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে আটক বিএসএফ সদস্যকে ফেরত দিল বিজিবি
Published: 4th, June 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জোহরপুর সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার জোহরপুর সীমান্তে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই সদস্যকে ফেরত দেয় বিজিবি।
বিএসএফের ওই সদস্যের নাম গণেশ মূর্তি। তিনি ৭১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নুরপুর সীমান্ত ফাঁড়ির সিনিয়র কনস্টেবল। তাঁকে ফেরত দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবির ৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ।
এর আগে আজ সকাল আটটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার জোহরপুর–টেক সীমান্ত থেকে বিএসএফের ওই সদস্যকে আটক করেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাঁকে হেফাজতে নেয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ বলেন, জোহরপুর সীমান্তের সাতরশিয়া এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশের সময় স্থানীয় লোকজন বিএসএফের সদস্য গণেশ মূর্তিকে অস্ত্র–গোলাবারুদসহ আটক করেন। পরে বিজিবির টহল দল তাঁকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। আটকের সময় তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
আরও পড়ুনচাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএসএফ সদস্য আটক৩ ঘণ্টা আগেফাহাদ মাহমুদ জানান, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবি–বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। পরে বিধিমোতাবেক বিএসএফ সদস্যকে হস্তান্তর করা হয়েছে। পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফ সদস্যের অনুপ্রবেশের জন্য কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এসএফ সদস য প ইনব বগঞ জ ব এসএফ র প রব শ র জ হরপ র
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে দুই সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ২৬ জনকে পুশইন
পঞ্চগড়ে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন উপজেলা সদরের পৃথক দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও বাংলাদেশে নারী, শিশুসহ ২৬ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
সোমবার গভীর রাতে দুই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ জোর করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাদের পাঠায়। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি।
এলাকাবাসী জানায়, এদের মধ্যে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ৯ জনকে মঙ্গলবার সকালে আটক করেন ওই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের সদস্যরা। পরে তাদের ঘাগড়া বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে একই উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের রতনীবাড়ি সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ১৭ জনকে আটক করে শিংরোড বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা। পরে বিজিবি দুই সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ২৬ জনকে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ২৬ জনের মধ্যে ৮ পুরুষ, ৯ জন নারী ও ৯ জন শিশু রয়েছে।
পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পুশইন করা বাংলাদেশি নাগরিক বলে পরিচয় দেন। তারা ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতেন। সম্প্রতি তাদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে এনে বিএসএফ সদস্যদের হাতে তুলে দেয়। বিএসএফ সদস্যরা রাতের আঁধারে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে। পরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে। আটকদের বাড়ি কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, বিজিবি আমাদের কাছে ২৬ জনকে হস্তান্তর করেছে। এদের মধ্যে আট জন পুরুষ, নয় জন নারী এবং নয় জন শিশু। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে আপাতত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে নাগরিক কিনা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। বাংলাদেশি নাগরিক হলে যত দ্রুত সম্ভব তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে নিরাপদে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। এদের মধ্যে যদি কেউ অন্য কোন দেশের নাগরিক বা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে তিন দফায় ১১ জন, ২১ জন এবং দুইজন করে মোট ৩৪ জনকে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশইন করে বিএসএফ। সর্বশেষ ২৬ জনসহ চতুর্থ দফায় নারী, শিশুসহ মোট ৬০ জনকে জোর করে পাঠাল বিএসএফ।