২০২৭ সাল থেকে মাধ্যমিকে পরিমার্জন করে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রথম বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে তা চালু করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নতুন বা পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চালু করা হবে।

আজ বুধবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলাম।

গত বছর পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম চলেছে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর মধ্য দিয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই তা চালুর কথা ছিল; কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম বাতিল হয়ে যায়। তার পরিবর্তে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম পুনর্বহাল করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকে কার্যত নতুন শিক্ষাক্রমই বহাল রাখা হয়েছে। আগামী বছরের নতুন পাঠ্যবই তার আলোকেই দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে বিদ্যমান পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজও প্রায় শেষ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেন, ‘আমরা যদি নতুন স্বপ্ন দেখি, যদি নতুন পরিকল্পনা করি, সেখানে প্রযুক্তির বিষয় থাকবে, অন্তর্ভুক্তির বিষয় থাকবে; সেখানে দায়, দরদ, ইনসাফ যে শব্দগুলোই ব্যবহার করতে চান না কেন, .

..নিশ্চয়ই বর্তমানের যে শিক্ষাক্রম তার থেকে মুক্তচিন্তা করতে হবে। সেটা যেন করা সম্ভব হয়, তার জন্য নিজেদের ও অংশীজনদের মধ্যে আলোচনা এবং জাতীয় ঐকমত্যের বোধ হয় একটা প্রয়োজন রয়েছে।’

২০১২ সালের শিক্ষাক্রম বিশেষ পরিস্থিতিতে পুনর্বহাল করা হয়েছিল উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আগামী বছরও সেটা থাকবে। তবে নিজের দায়িত্বের মেয়াদকালে মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রমের ভিত করে যেতে পারবেন বলে মনে করছেন।

এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, ২০২৭ সালে যাতে ষষ্ঠ শ্রেণি নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসে, সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। তাঁরা মনে করছেন একসঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা সুচিন্তিত নয়। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় যাবেন। তাঁরা ২০২৭ সালের জন্য শুরু করে যাবেন।

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের বিষয়ে তাঁরা প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু কাজ শুরু করছে। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে কলেজ পর্যায়ে শিক্ষকদের বদলির কাজ অনলাইনে শুরু করা হবে। একই আদলে কয়েক মাসের মধ্যে বিদ্যালয় পর্যায়েও তা চালু করা হবে।

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ–সুবিধার জন্য সরকার ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড ও ২০০ কোটি টাকা নগদ বরাদ্দ করেছে বলে জানান শিক্ষা উপদেষ্টা।

আরও পড়ুনএবার আগেভাগেই বই ছাপার কাজ শুরু হচ্ছে, ২০২৭ সাল থেকে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের চিন্তা৩০ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২০২৭ স ল পর ম র জ উপদ ষ ট পর য য় আবর র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সালাউদ্দিনের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত, বেতন বেড়ে প্রায় ১০ লাখ

স্বল্প মেয়াদে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তাঁর কাজে আস্থা দেখে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত।

শুরু থেকে হিসেব করলে তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন দেশসেরা এই কোচ। শুধু তাই নয়, বেতন বেড়ে প্রায় ১০ লাখ ছুঁই ছুঁই করছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্র রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

গত ৩০ জুন বিসিবির ১৯তম বোর্ড মিটিংয়ে চুক্তি কার্যকর করে পরিচালনা পর্ষদ। ২০২৪ সালের শেষে আরব আমিরাত সফর দিয়ে কাজ শুরু করেন সালাউদ্দিন। প্রাথমিকভাবে চুক্তি হয়েছিল চলতি বছরের মার্চের ১৫ তারিখ পর্যন্ত।

আরো পড়ুন:

বিসিএলে বিদেশি দল, এনসিএলে বিদেশি ক্রিকেটার

তিন সপ্তাহের জন্য আসছেন উড, মনোবিদ স্কট

সালাউদ্দিনের বেতন নির্ধারণ করেছিলেন তৎকালীন সভাপতি ফারুক আহমেদ। ৭ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৮ লাখ টাকার মধ্যে পেতেন সালাউদ্দিন।

এবার সেটি বেড়ে হয়েছে ৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা। প্রায় ১০ লাখ টাকা বেতনের সঙ্গে দলের সিরিজ ও সফরকালীন সুযোগ-সুবিধা পাবেন এই কোচ।

নতুন চুক্তিতে বছরে সর্বোচ্চ ছুটি ধরা হয়েছে ৪০ দিন। ৩০ দিনের নোটিশে চাকরিচ্যুত করার বিধান রাখা হয়েছে। এমনিতে ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত টাইগারদের ডেরায় থাকবেন এই কোচ।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সালাউদ্দিনের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত, বেতন বেড়ে প্রায় ১০ লাখ