ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তরে সহায়তা করতে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। বাংলাদেশের বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজকে ডিজিটালভাবে ক্ষমতায়নের চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই অংশীদারত্ব করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলালিংক।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চুক্তির আওতায় করপোরেট সংযোগ, যানবাহন ট্র্যাকিং সিস্টেম এবং আরও বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক সমাধানসহ বিভিন্ন সেবা দেবে বাংলালিংক, যা আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেডের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি গ্রাহক বৃদ্ধি এবং নতুন প্রবৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করবে। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত টাইগার্স ডেনে (বাংলালিংক প্রধান কার্যালয়) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস বিভাগের পরিচালক রুবাইয়াত এ তানজিন এবং আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

রুবাইয়াত এ তানজিন বলেন, ‘সেরা ডিজিটাল সমাধান প্রদান করার মাধ্যমে এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের ক্ষমতায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলালিংক। ইনোভেটিভ ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে আমরা বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজের জন্য অপারেশনাল দক্ষতা, উন্নত কানেকটিভিটি সুবিধা এবং ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইসিসি কমিউনিকেশনের সঙ্গে চুক্তি এই খাতের অংশীদারদের জন্য উদ্ভাবনী ও কার্যকর পরিষেবা প্রদানের সক্ষমতার প্রতিফলন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই অংশীদারত্ব উভয় প্রতিষ্ঠানকে উপকৃত করবে এবং নিজেদের আরও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলালিংকের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং আইএসপি প্রোভাইডারদের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরির পথে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এটি আমাদের গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস আইস স ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ