নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক ফাইন্যান্সিয়াল অ্যালায়েন্স ফর উইমেন থেকে জেন্ডার ডেটা চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড জিতেছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্র্যাক ব্যাংক এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো ফাইন্যান্সিয়াল অ্যালায়েন্স ফর উইমেনের কাছ থেকে সম্মাননা পেল।  

ব্র্যাক ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ নারী ব্যাংকিং সেগমেন্ট ‘তারা’-এর মাধ্যমে ডেটা ব্যবহার করে নারীদের ব্যাংকিং প্রয়োজন উপলব্ধি করে সে অনুযায়ী সেবা প্রদানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার জিতেছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্র্যাক ব্যাংকের জেন্ডার পৃথকীকৃত ডেটা অনুশীলনের প্রশংসা করেছে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যালায়েন্স ফর উইমেন। যা মূলত কীভাবে এবং কোথায় নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং সহায়তা করা উচিত সে সম্পর্কে ব্যাংককে বিশদ ধারণা দেয়।

গত ২৮ মে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য ফিমেইল ইকোনমি অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। ব্র্যাক ব্যাংকের চিফ টেকনোলজি অফিসার নুরুন নাহার বেগম, হেড অব ‘তারা’, আগামী এবং প্রিমিয়াম ব্যাংকিং সেগমেন্টস মেহরুবা রেজা, ফাইন্যান্সিয়াল অ্যালায়েন্স ফর উইমেনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইনেজ মারি- এর কাছ থেকে অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সমাজের সব স্তরের নারীদের নিবেদিত ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারা’। নারীদের সম্ভাবনা পূর্ণ বাস্তবায়নে সহায়তা করছে । ‘তারা’ নারীদের স্বপ্ন পূরণের সাথী হিসেবে বাংলাদেশে সুনাম অর্জন করেছে।

আন্তর্জাতিক এ পুরস্কার অর্জন সম্পর্কে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, ‘ফাইন্যান্সিয়াল অ্যালায়েন্স ফর উইমেন থেকে জেন্ডার ডেটা চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার পেয়ে আমরা অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। আমরা বিশ্বাস করি, এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার আমাদের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা আরও বাড়িয়ে তুলবে। নারী গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা ডেটার ব্যবহার কাজে লাগিয়ে যাবো। একটি মূল্যবোধ নির্ভর ব্যাংক হিসেবে, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে নারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যালায়েন্স ফর উইমেনের সদস্যপদ পাওয়া প্রথম ব্যাংক। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত জোটটির সদর দপ্তর নিউ ইয়র্কে অবস্থিত। এটি বিশ্বব্যাপী নারীদের ব্যাংকিং প্রচারণার লক্ষ্যে জ্ঞান বিনিময়, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং গবেষণার জন্য কাজ করে। নারী অর্থনীতিকে সম্পূর্ণভাবে সমৃদ্ধ করে তোলার লক্ষ্যে ১৩৫টিরও বেশি দেশের সদস্যদের একটি অনন্য নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করে ফোরামটি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদক গ রহণ ফ ইন য ন স য প রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ