শেষ মুহূর্তে জমেছে খাইট্টা-হোগলার বেচাকেনা, দরদাম যেমন
Published: 6th, June 2025 GMT
কোরবানি ঈদের আগে চাহিদা বেড়েছে মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত গাছের গুঁড়ি বা ‘খাইট্টা’ ও হোগলার। ফলে পণ্য দুটির বেচাকেনাও জমে উঠেছে। খাইট্টা ও হোগলা ছাড়াও বাঁশের চাটাই, ঝুড়ি, ঝাড়ু এবং বিভিন্ন পশুখাদ্য যেমন— ভুসি, ধানের গুঁড়া বা তুষ, খইল, কাঁচা ও শুকনা ঘাস প্রভৃতির বিক্রিও বেড়েছে।
শনিবার অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা, যা কোরবানি ঈদ নামেই বহুল পরিচিত। এ সময় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও বড় বাজারগুলোতে খাইট্টা, হোগলার বিক্রি জমে উঠেছে। সাধারণত মৌসুমি ব্যবসায়ীরাই এসব পণ্য বিক্রি করেন।
বিক্রেতারা জানান, ঈদের আগের তিন থেকে চার দিনেই মোটামুটি খাইট্টা-হোগলার মূল ব্যবসা হয়। ঈদের আগের রাত বা চাঁদরাত পর্যন্ত চলে এ বেচাকেনা। সাধারণত কোরবানির পশু জবাইয়ের পর সেটির মাংস কেটে টুকরা করতে কাঠের গুঁড়ি ব্যবহার হয়। প্রচলিত ভাষায় এটিকে ‘খাইট্টা’ বলে চেনেন অনেকে। এ ছাড়া মাংস পরিষ্কার স্থানে রাখা ও ভাগ করার জন্য লাগে হোগলা পাতার চাটাই, যা হোগলা নামেই বহুল পরিচিত। এ ছাড়া জায়গা পরিষ্কারের জন্য ঝাড়ু, মাংস ও ময়লা-আবর্জনা রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঝুড়ি প্রয়োজন হয়।
বিক্রেতারা জানান, সাধারণত সারা বছর কসাইখানায় পশু জবাই করা হয়। ফলে এসব পণ্যের ব্যবহার থাকে সীমিত। তবে কোরবানি এলে এসব পণ্যের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।
রাজধানী ঢাকার আদাবর এলাকার মৌসুমি খাইট্টা ও হোগলা বিক্রেতা সাইফুল্লাহ বলেন, কোরবানির পশু যতক্ষণ বিক্রি হবে, আমাদের পণ্যও ততক্ষণ বিক্রি হতে থাকবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার। সেখানে গরু-ছাগলসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার পশু।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্তত ১৫ জন বিক্রেতা খাইট্টা, হোগলা, ভুসি ও ঘাস বিক্রি করছেন। এ ছাড়া আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকার বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়েও এসব পণ্য বিক্রি হতে দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানান, ঢাকার সব স্থানেই এসব পণ্য নিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হোগলা বিক্রি করছেন একজন মৌসুমী বিক্রেতা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক রব ন র র জন য খ ইট ট
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন
কানাডায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। দেশটির ক্যালগেরি শহরের বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় নানা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নামাজ আদায় করেন। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালিরাও অংশ নেন।
ক্যালগেরির আকরাম জুম্মা মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় ঈদের নামাজ সকাল ৯টায় এবং তৃতীয় ঈদের নামাজ সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন ইমাম শেখ ইউসুফ ট্রায়া।
এছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটির মসজিদ বিএমআইসিসিতেও ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের প্রথম নামাজ বিএমআইসিসি মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং দ্বিতীয় ঈদের নামাজ সকাল সাড়ে ৮টায় সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা তাদের নিজ নিজ কমিউনিটিতে সকাল থেকেই নামাজ আদায় করেন।
ইসলামিক সেন্টার অফ আকরাম জুম্মার (এমসিসি) ভাইস প্রেসিডেন্ট জুবায়ের সিদ্দিকী বলেন, আকরাম জুম্মা মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা বরাবরের মতো সকাল থেকেই মুসল্লিরা নামাজের জন্য জড়ো হতে থাকেন। এ বছরও আমরা মহিলাদের সুবিধার জন্য আলাদা ব্যবস্থা রেখেছি।
উল্লেখ্য, বরফাচ্ছাদিত কানাডায় এবারের ঈদের দিনটি কর্মদিবস থাকায় অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আগে ভাগেই ঈদের নামাজ আদায় করে অফিস করবেন।