ইরানে ট্রাকচালকদের ধর্মঘট, কয়েক ডজন গ্রেপ্তার
Published: 6th, June 2025 GMT
ইরান সরকার ৪০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে ট্রাকচালক এবং ইরানজুড়ে ক্রমবর্ধমান ট্রাকচালকদের ধর্মঘটের সমর্থক রয়েছেন।
হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইরান ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কুর্দিস্তান, কেরমানশাহ, গিলান, ফারস, কাজভিন এবং কেরমানশাহসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে আটকের ঘটনা ঘটেছে। ধর্মঘটকারী চালক এবং নাগরিক উভয়কেই অনলাইনে বিক্ষোভ প্রচার বা সরাসরি ধর্মঘটের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
পরমাণু আলোচনায় ‘স্পষ্টতা’ চায় ইরান
ইরানের কাছে পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
জীবনযাত্রার উচ্চব্যয়, পরিবহন ফি হ্রাস, জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা এবং রাষ্ট্রীয় সহায়তার অভাবের কারণে ক্রমবর্ধমান হতাশার ফলে ২২ মে দক্ষিণ বন্দর শহর বন্দর আব্বাসে ট্রাকচালকদের ধর্মঘট শুরু হয়েছিল। বিক্ষোভটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ইরানে ট্রাকচালক ও ট্রাকচালক ইউনিয়নের জোট বলছে, কমপক্ষে ১৫৫টি শহরের ট্রাকচালকরা ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করছেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন ফারজাদ রেজাই, জানকো রোস্তামি, রেজগার মোরাদি, সেদিক মোহাম্মদী, আতা আজিরি, আলিরেজা ফাঘফুরি এবং শাহাব দারাবির মতো নামধারী ব্যক্তিরা—যাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কাজভিনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মঘটের ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগে নয়জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, কিছুক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জোর করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রচার করেছে।
ইরানের মানবাধিকার কেন্দ্র (সিএইচআরআই) ট্রাকচালকদের ধর্মঘটকে ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৃহত্তম শ্রমিক বিক্ষোভ’ বলে অভিহিত করেছে। সংস্থাটি বলছে, তিন সপ্তাহ ধরে চলা এই ধর্মঘট তেহরানের গভীর অর্থনৈতিক সংকটের উপর ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের প্রমাণ।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎমুখী সম্পর্ক চায় ভারত: প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক, গঠনমূলক, ভবিষ্যৎমুখী সম্পর্ক চায় ভারত। যেখানে দুই দেশ পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে। আর দুই দেশের জনগণই হবে অংশীদারত্বের অংশীজন।
গত সোমবার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ২০২৫ সালে এনডিসি কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
ভারতীয় হাইকমিশনার তাঁর বক্তৃতায় ভারতের পররাষ্ট্রনীতি ও উন্নয়ন কৌশল তুলে ধরেন। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা, বৈশ্বিক শাসনকাঠামোর সংস্কার এবং বৈশ্বিক দক্ষিণের স্বার্থ রক্ষায় ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার পাশাপাশি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও দ্রুত জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতের প্রচেষ্টার বিষয়গুলো উল্লেখ করেন।
তিনি ভারতের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকার—‘প্রতিবেশী প্রথমে’, ‘পূর্বমুখী নীতি’, ‘মহাসাগর নীতি’ এবং ভারতের ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় রূপকল্পের আওতায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এবং ভৌগোলিক ঘনিষ্ঠতা আরও জোরদার করা উচিত। যাতে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষাকে এমন সব সুযোগে পরিণত করবে, যা পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির দেশ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশ বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সংহতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। বিমসটেকের সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত এবং এটি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে প্রবৃদ্ধির সুযোগগুলোর বাস্তবায়নে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে।