Prothomalo:
2025-07-30@10:35:01 GMT

হাতের আঙুল কুঁচকে যায় কেন

Published: 6th, June 2025 GMT

কোনো কারণে দীর্ঘ সময় পানিতে থাকলে বা সাঁতার কাটলে আমাদের হাত ও পায়ের আঙুল কুঁচকে যায়। সাধারণভাবে ভুল ধারণা করা হয়, পানি শোষণের ফলে আমাদের আঙুল ফুলে যায়, আর তখন কুঁচকে যায়। বিজ্ঞানীরা নতুন এক পরীক্ষায় ভিন্ন তথ্য জানাচ্ছেন। আমাদের রক্তনালির কারণেই এমনটা হয় বলে তাঁরা জানাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বিংহ্যামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিজ্ঞানী গাই জার্মান ও তাঁর দল আঙুল কুঁচকে যাওয়ার রহস্য উন্মোচনে কাজ করছেন। গবেষণার অংশ হিসেবে তিনজন স্বেচ্ছাসেবককে ৩০ মিনিটের জন্য আঙুল ভিজিয়ে রাখার জন্য নিয়োগ করা হয়। বিজ্ঞানীরা ভেজা ত্বকে তৈরি প্রাকৃতিক স্থানের উঁচু ভূমি ও উপত্যকার ধরন পর্যবেক্ষণ করেছেন। প্রথমবার ত্বক ভেজানোর পরে ২৪ ঘণ্টা পর আবার একই চিত্র দেখা যায়। ২৪ ঘণ্টা পর ত্বক ভিজিয়ে রাখার সময় একই ধরন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুনরাবৃত্তি হয়।

গাই জার্মান বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমিও অনেক দিন ধরে এটা ভেবেছি। দেখা যাচ্ছে যে এমনটা আসলে আমাদের শরীরের স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্রের কারণে হয়। আমাদের অনিচ্ছাকৃত নড়াচড়া যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস, চোখের পলক ফেলা ও হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্র। রক্তনালি যেভাবে সংকুচিত হয় ও শিথিল হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করে স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্র। আসলে রক্তনালির এই সংকোচনের ফলে দীর্ঘ সময় ধরে সাঁতার কাটার পর ত্বক কুঁচকে যায়। যখন আপনার হাত ও পা কয়েক মিনিটের বেশি সময় ধরে পানির সংস্পর্শে আসে, তখন আপনার ত্বকের ঘামের নালি খুলে যায়, যার ফলে ত্বকের টিস্যুতে পানি প্রবাহিত হতে পারে। এই অতিরিক্ত পানি ত্বকের ভেতরে লবণের অনুপাত হ্রাস করে। স্নায়ুতন্তু মস্তিষ্কে লবণের মাত্রা কম হওয়ার বার্তা পাঠায় তখন। তখন স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্র রক্তনালিকে সংকুচিত করে প্রতিক্রিয়া জানায়। রক্তনালি সংকুচিত হওয়ার ফলে ত্বকের সামগ্রিক আয়তন হ্রাস পায়। সেই কারণে ত্বকের স্বতন্ত্র বলিরেখা দেখা যায়। তখন আঙুলকে আঙুর কোঁচকানো কিশমিশের মতো মনে হয়। ত্বক তার পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফলের চেয়ে বেশি আয়তন হারিয়ে ফেলে।’

পানিতে ভেজা আঙুলে সাধারণত একই ধরনের কোঁচকানো প্যাটার্ন দেখা যায়। যেহেতু একই রক্তনালি এমন আচরণ করে, তাই তাদের অবস্থান খুব বেশি পরিবর্তন হয় না। জার্নাল অব দ্য মেকানিক্যাল বিহেভিয়ার অব বায়োমেডিকেল ম্যাটেরিয়ালস–এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। যে ব্যক্তির আঙুলের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের আঙুল কুঁচকায় না। গবেষকেরা দেখেছেন, কোঁচকানো ত্বক মসৃণ ত্বকের তুলনায় পানির নিচে বেশি গ্রিপ প্রদান করতে পারে। এতে পানির নিচে হাঁটা সহজ হয়। পিছলে যাওয়ার আশঙ্কা কম করে।

সূত্র: ডেইলি মেইল

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত বক র আম দ র র ত বক

এছাড়াও পড়ুন:

আরো একজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র, আশঙ্কাজনক ৩

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনকে ছাড়পত্র দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার নাম ফারজানা ইয়াসমিন (৪৫)। তিনি ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। এ ঘটনায় এখনো আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২ জন।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দিন

তিনি বলেন, “মঙ্গলবার আইসিইউতে ছিল ৩ জন। তবে তাদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আজ তাকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন মোট ৩২ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ৩ জন ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে আর তাদের চেয়ে কম গুরুতর ৭ জন রয়েছে সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে। বাকিরা অন্যান্য ওয়ার্ড ও কেবিনে ভর্তি রয়েছে। গত তিন দিনে নতুন করে কোনো মৃত্যু নেই।”

আরো পড়ুন:

সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’

মাদ্রাসার মাঠ দখল করে ইউপি সদস্যের বীজতলা

ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, “৩২ জনের ১৪ জন শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। বাকিরা স্টেবল রয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত সব রোগীর একাধিকবারসহ সব মিলিয়ে ১৫৮টি ছোট-বড় অপারেশন করা হয়েছে।”

বার্ন ইনস্টিটিউটে আর আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করা হবে না। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে প্রতিদিনের আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক।

ঢাকা/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ