Prothomalo:
2025-11-03@02:13:18 GMT

হাতের আঙুল কুঁচকে যায় কেন

Published: 6th, June 2025 GMT

কোনো কারণে দীর্ঘ সময় পানিতে থাকলে বা সাঁতার কাটলে আমাদের হাত ও পায়ের আঙুল কুঁচকে যায়। সাধারণভাবে ভুল ধারণা করা হয়, পানি শোষণের ফলে আমাদের আঙুল ফুলে যায়, আর তখন কুঁচকে যায়। বিজ্ঞানীরা নতুন এক পরীক্ষায় ভিন্ন তথ্য জানাচ্ছেন। আমাদের রক্তনালির কারণেই এমনটা হয় বলে তাঁরা জানাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বিংহ্যামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিজ্ঞানী গাই জার্মান ও তাঁর দল আঙুল কুঁচকে যাওয়ার রহস্য উন্মোচনে কাজ করছেন। গবেষণার অংশ হিসেবে তিনজন স্বেচ্ছাসেবককে ৩০ মিনিটের জন্য আঙুল ভিজিয়ে রাখার জন্য নিয়োগ করা হয়। বিজ্ঞানীরা ভেজা ত্বকে তৈরি প্রাকৃতিক স্থানের উঁচু ভূমি ও উপত্যকার ধরন পর্যবেক্ষণ করেছেন। প্রথমবার ত্বক ভেজানোর পরে ২৪ ঘণ্টা পর আবার একই চিত্র দেখা যায়। ২৪ ঘণ্টা পর ত্বক ভিজিয়ে রাখার সময় একই ধরন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুনরাবৃত্তি হয়।

গাই জার্মান বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমিও অনেক দিন ধরে এটা ভেবেছি। দেখা যাচ্ছে যে এমনটা আসলে আমাদের শরীরের স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্রের কারণে হয়। আমাদের অনিচ্ছাকৃত নড়াচড়া যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস, চোখের পলক ফেলা ও হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্র। রক্তনালি যেভাবে সংকুচিত হয় ও শিথিল হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করে স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্র। আসলে রক্তনালির এই সংকোচনের ফলে দীর্ঘ সময় ধরে সাঁতার কাটার পর ত্বক কুঁচকে যায়। যখন আপনার হাত ও পা কয়েক মিনিটের বেশি সময় ধরে পানির সংস্পর্শে আসে, তখন আপনার ত্বকের ঘামের নালি খুলে যায়, যার ফলে ত্বকের টিস্যুতে পানি প্রবাহিত হতে পারে। এই অতিরিক্ত পানি ত্বকের ভেতরে লবণের অনুপাত হ্রাস করে। স্নায়ুতন্তু মস্তিষ্কে লবণের মাত্রা কম হওয়ার বার্তা পাঠায় তখন। তখন স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্র রক্তনালিকে সংকুচিত করে প্রতিক্রিয়া জানায়। রক্তনালি সংকুচিত হওয়ার ফলে ত্বকের সামগ্রিক আয়তন হ্রাস পায়। সেই কারণে ত্বকের স্বতন্ত্র বলিরেখা দেখা যায়। তখন আঙুলকে আঙুর কোঁচকানো কিশমিশের মতো মনে হয়। ত্বক তার পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফলের চেয়ে বেশি আয়তন হারিয়ে ফেলে।’

পানিতে ভেজা আঙুলে সাধারণত একই ধরনের কোঁচকানো প্যাটার্ন দেখা যায়। যেহেতু একই রক্তনালি এমন আচরণ করে, তাই তাদের অবস্থান খুব বেশি পরিবর্তন হয় না। জার্নাল অব দ্য মেকানিক্যাল বিহেভিয়ার অব বায়োমেডিকেল ম্যাটেরিয়ালস–এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। যে ব্যক্তির আঙুলের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের আঙুল কুঁচকায় না। গবেষকেরা দেখেছেন, কোঁচকানো ত্বক মসৃণ ত্বকের তুলনায় পানির নিচে বেশি গ্রিপ প্রদান করতে পারে। এতে পানির নিচে হাঁটা সহজ হয়। পিছলে যাওয়ার আশঙ্কা কম করে।

সূত্র: ডেইলি মেইল

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত বক র আম দ র র ত বক

এছাড়াও পড়ুন:

ইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত

ইউরোপে সবচেয়ে বেশি বেতনের পেশার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে পাইলট। ফ্রান্সে এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ মাসিক বেতনের পেশা। জার্মানিতে জটিল ভূমিকার পাইলটেরা মাসে ২৮ হাজার ৯৬ ইউরো উপার্জন করেন। যুক্তরাজ্যে পূর্ণকালীন পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা মধ্যম আয়ে পঞ্চম স্থানে। ডেনমার্কে ২০২৩ সালে মাসিক বেতন ১৩ হাজার ৫২৩ ইউরো, দেশটির হিসাবে সপ্তম সর্বোচ্চ বেতন।

অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতনের বৈচিত্র্য

পাইলটদের বেতন দেশ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়। যুক্তরাজ্যে বেতন শুরু হয় বছরে ৫৪ হাজার ২৮৩ ইউরো (৪৭,০০০ পাউন্ড) থেকে, অভিজ্ঞ পাইলটদের জন্য এটি প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৪৩ ইউরো (১ ইউরো সমান ১৪১ টাকা ৭৭ পয়সা, ২২ অক্টোবর ২০২৫ হিসাবে) পর্যন্ত হতে পারে, জানিয়েছে ব্রিটিশ ন্যাশনাল ক্যারিয়ার্স সার্ভিস।

ইআরআই অর্থনৈতিক গবেষণা ইনস্টিটিউট জানায়, আট বছরের বেশি অভিজ্ঞতার পাইলটরা এক থেকে তিন বছরের অভিজ্ঞ পাইলটের চেয়ে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি আয় করেন। অর্থাৎ অভিজ্ঞ পাইলটরা প্রায় তিন গুণ বেশি উপার্জন করেন।

আরও পড়ুনফ্রিল্যান্সিংয়ে নামার আগে এ পাঁচটি বিষয় ভাবুন১৯ অক্টোবর ২০২৫দেশভিত্তিক তথ্য

যুক্তরাজ্য

২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এএনএসের তথ্যানুসারে, পূর্ণকালীন ‘এয়ারক্রাফট পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার’-এর বার্ষিক আয় প্রায় ৯৫ হাজার ২৪০ ইউরো (৮০,৪১৪)। ইআরআইয়ের মতে, গড় বার্ষিক বেতন ৯০ হাজার ২৫৩ ইউরো (৭৮,১৪৬ পাউন্ড), লন্ডনের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৬২ ইউরো (১০০,০৬০ পাউন্ড)।

জার্মানি

জার্মানির ফেডারেল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের তথ্যমতে, গড় মাসিক বেতন ১২ হাজার ৫৬৬ ইউরো (বার্ষিক ১,৫০,৭৯২ ইউরো)। মধ্যম আয় ১০ হাজার ২০৭ ইউরো (বার্ষিক ১,২২,৪৮৪ ইউরো), অভিজ্ঞ ও বিশেষায়িত পাইলটদের ক্ষেত্রে তা ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭২ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। ইআরআইয়ের তথ্য অনুসারে, এক থেকে তিন বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলটের গড় বেতন ৭৩,৭৮৫ ইউরো, আট বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলটদের জন্য ১ লাখ ৩২ হাজার ১১৭ ইউরো।

ফ্রান্স

INSEE জানায়, ‘সিভিল এভিয়েশন টেকনিক্যাল ও কমার্শিয়াল ফ্লাইট অফিসার’দের গড় মাসিক বেতন ৯ হাজার ৩০০ ইউরো (বার্ষিক ১,১১,৬০০ ইউরো)। ERI অনুসারে, অভিজ্ঞ পাইলটদের জন্য গড় বেতন ১ লাখ ৯ হাজার ২৯২ ইউরো।

ছবি: এমিরেটসের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ