এপ্রিলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় জাতি হতাশ: মির্জা ফখরুল
Published: 7th, June 2025 GMT
থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাকে বহনকারী উড়োজাহাজ। ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নির্বাচন প্রসঙ্গে সরকারের সাম্প্রতিক ঘোষণায় গভীর হতাশা ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বারবার বিএনপি বলে এসেছে দ্রুত নির্বাচন চায়। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন ড.
এরআগে শুক্রবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করা হয়। পাশাপাশি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন দলটির নেতারা।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চোখের চিকিৎসা নিতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ম র জ ফখর ল ব এনপ ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
কোরবানির পশু সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানতেই হবে
নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে ইসলামী শরিয়তের আলোকে প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ এই বিধানটি যে পশুটিকে জবাইয়ের মাধ্যমে আদায় করতে হবে তার বৈশিষ্ট্য জানাও ওয়াজিব।
কোরবানির পশুর বৈশিষ্ট্য
ছয় প্রকার পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ বা বৈধ। এসব পশু ছাড়া অন্য পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ নয়। এগুলো হচ্ছে- উট, গরু, ছাগল, দুম্বা, ভেড়া ও মহিষ। (হেদায়া : ৪/৪৪৮)
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে কোরবানির হাট: কম দামে খুশি ক্রেতা, হতাশ বিক্রেতা
ঢাকার গাবতলীতে নজর কাড়ছে আফগানি উট
এসব ভেতর দুম্বা, ছাগল ও ভেড়ার বয়স এক বছর হওয়া জরুরি। তবে ছয় মাসের ভেড়া ও দুম্বা মোটাতাজা হলে এবং দেখতে এক বছর বয়সের মতো দেখা দেলে তা দিয়েও কোরবানি করা জায়েজ। গরু ও মহিষ পূর্ণ দুই বছর বয়সী হওয়া এবং উট পাঁচ বছর বয়সী হওয়া আবশ্যক। এর কম হলে কোরবানি জায়েজ হবে না। (হেদায়া : ৪/৪৪৯)
উল্লিখিত আয়াতের আলোকে ইসলামী আইনজ্ঞরা বলেন কোরবানির পশু নিখুঁত, দৃষ্টিনন্দন, সুস্বাস্থ্যের অধিকার ও মধ্য বয়সী হওয়া উত্তম। দৃষ্টিনন্দন যেকোনো রঙের পশু যেমন কোরবানি করা যাবে, তেমনি চাষাবাদে ব্যবহৃত হওয়ার পরেও যদি কোনো পশু ত্রুটিমুক্ত থাকে তবে তা দিয়ে কোরবানি করা যাবে।
ইসলামী আইনজ্ঞরা বলেন, কোরবানি জায়েজ হওয়ার জন্য মৌলিকভাবে পশুকে চারটি মারাত্মক ত্রুটি থেকে মুক্ত হতে হবে। এগুলো হচ্ছে-. অন্ধত্ব, খ. গুরুতর অসুস্থতা, গ. খোড়া হওয়া, ঘ. গুরুতর স্বাস্থ্যহানি ও অঙ্গহানি ঘটা। (আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু, কোরবানি অধ্যায়, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ)
কোনো পশুর দুই চোখ বা এক চোখ অথবা এক চোখের এক-তৃতীয়াংশের বেশি নষ্ট হয়ে গেলে তা দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ নয়। অনুরূপ যে পশুর একটি কান বা লেজের এক-তৃতীয়াংশের বেশি কেটে গেছে তা দিয়েও কোরবানি করা বৈধ নয়। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ৫/২৯৮)
যে পশু এমন খোঁড়া যে তিন পায়ের ওপর ভর করে চলে, চতুর্থ পা মাটিতে লাগেই না, কিংবা মাটিতে লাগে বটে কিন্তু তার ওপর ভর করে চলতে পারে না-এমন পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ নয়। তবে যদি খোঁড়া পায়ের ওপর ভর করে চলতে পারে, তবে তা দিয়ে কোরবানি করা বৈধ। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৫/২২৮)
শিং ওঠেনি এমন পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ। অনুরূপ শিংয়ের অগ্রভাগ ভেঙ্গে গেলেও তা দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ। কিন্তু শিং মূল থেকে ভেঙ্গে গিয়ে থাকলে তা দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ নেই। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৫/২২৭-৮; ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ৫/২৯৭)
যে পশুর গায়ে বা কাঁধে দাদ বা খুজলি হয়েছে তা দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ। কিন্তু ক্ষত যদি গোশত পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং তার কারণে পশুর স্বাস্থ্যহানি ঘটে তবে এমন পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ নেই। (হেদায়া : ৪/৪৩২)
আল্লাহ সবাইকে সঠিকভাবে কোরবানি করার তাওফিক দিন। আমিন।
লেখক: মুহাদ্দিস, সাঈদিয়া উম্মেহানী মহিলা মাদরাসা, ভাটারা, ঢাকা।
ঢাকা/শাহেদ