বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন  বলেছেন, ‘‘একটি সুপরিকল্পিত গোষ্ঠী দেশকে গণতান্ত্রিক ধারা থেকে সরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা করছে।’’ তিনি এও হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনে বিএনপি এক দফা দাবিতে রাজপথে নামবে।’’

শনিবার (৭ জুন) দুপুরে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর ধোলাইখাল পশুরহাটে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপর ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলরদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। নির্বাচনের হিসাব অনুযায়ী আগামী ১৫ মে শেষ হচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদের মেয়াদ।

আরো পড়ুন:

গাইবান্ধায় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু

ডিসেম্বরে নির্বাচন করা সম্ভব, সেটাই জাতির জন্য ভালো: ফখরুল

নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের আলোকে নির্বাচন কমিশন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের নাম উল্লেখ করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে।

গত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন শেখ ফজলে নুর তাপস। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ইশরাক হোসেন। শেখ ফজলে নুর তাপস মেয়রের পদ থেকে অপসারিত হলে ইশরাক হোসেন আদালতে তাকে মেয়র ঘোষণা করার জন্য আবেদন করেন এবং আদালত তার আবেদনের পক্ষে রায় দেন।   

ইশরাক হোসেন বলেন, ‘‘নির্বাচনের বেশিরভাগ অংশীজন চায়, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হোক। সরকারের সংস্কারের কাজ দু-তিন মাসেই শেষ করা সম্ভব। তাহলে নির্বাচনের তারিখ বারবার পেছানো হচ্ছে কেন, সেটাই বোধগম্য নয়।’’

ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেন, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্বাচন বিলম্বিত করা হচ্ছে, যাতে একটি বিশেষ মহল তাদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে পারে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘দেশকে গণতান্ত্রিক ধারার বাইরে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কোনো ব্যক্তির প্রতি আঙুল না তুলেও বলছি একটি গোষ্ঠী সক্রিয়ভাবে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’’ 

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় ইশরাক হোসেন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,
‘‘আমরা ১৭ বছর ধরে খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে বুক ফুলিয়ে, পরিচয় লুকিয়ে নয় বরং রাজপথে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করে এসেছি। আমাদের অনেক ভাই জীবন দিয়েছেন। আমরা সেই ঐতিহাসিক আন্দোলনের উত্তরসূরি। আমরা এখনো সুসংগঠিত। কোনো হুমকি কিংবা প্রলোভনে পথচ্যুত হবো না।’’ 

ইশরাক হোসেন ঢাকার ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ পশুর হাট এবং আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন। ধোলাইখাল হাটে পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা, পশু ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তিনি কর্পোরেশনের প্রস্তুতি দেখেন।

এরপর ইশরাক হোসেন রহমতগঞ্জ ও পোস্তা এলাকায় গিয়ে চামড়াশিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। 

ঢাকা/এএএম/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ইশর ক হ স ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন

প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণের ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুদকের ডেপুটি ডিরেক্টর আকতারুল ইসলাম (জনসংযোগ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) অধীন রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ডিপো এক্সেস করিডোর নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার ভূমি অধিগ্রহণের নামে সরকারি কোষাগার থেকে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ফেনীতে ছাত্র হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নূরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, ১২ বছর পর তোলা হলো আবু বকরের দেহাবশেষ

দুদক জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি রিয়াজ সংশ্লিষ্ট জমির মূল দলিল হারিয়ে গেছে মর্মে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় পাঁচটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে তিনি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ওই দলিলগুলোর সার্টিফায়েড কপি উত্তোলন করে ভূমি অধিগ্রহণ অফিসে জমা দেন এবং ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করেন।

শুধু তাই নয়, ওই রিয়াজের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতারণার প্রমাণও পেয়েছে দুদক। সে তার জমি ইতোপূর্বে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (সোনালী ব্যাংক) কাছে বন্ধক রাখে এবং বন্ধকী দলিল এখনো কার্যকর রয়েছে।

প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করায় মো. রিয়াজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় মামলার অনুমোদন করা হয় বলে দুদক জানায়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ