এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। চোটজর্জর নেইমার এবার আক্রান্ত হলেন করোনাভাইরাসে। আর নতুন এই ধাক্কা বিপর্যস্ত নেইমারকে আরও কোণঠাসা করে দিল। নেইমারের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে তাঁর ক্লাব সান্তোস।
চোটের কারণে ক্যারিয়ারে অসংখ্য ম্যাচ মিস করেছেন নেইমার। ২০২২ বিশ্বকাপের পর থেকে চোটের থাবা যেন আরও ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। আল হিলালে যোগ দেওয়ার পর দেড় বছরের মতো মাঠের বাইরে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড।
গত জানুয়ারিতে আল হিলাল ছেড়ে নেইমার চলে আসেন সান্তোসে। সেখানেও অবস্থা প্রায় একই রকম। শৈশবের ক্লাবে ফিরে এখন পর্যন্ত কেবল ১২ ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুনহাত দিয়ে গোল করলেন নেইমার, রেফারি দেখালেন লাল কার্ড০২ জুন ২০২৫সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য চোট কাটিয়ে ফেরার চেষ্টায় ছিলেন নেইমার। এর মধ্যে ব্রাজিলিয়ান লিগ সিরি ‘আ’তে সান্তোসের সর্বশেষ ম্যাচে মাঠেও নেমেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে যদিও লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। আর এবার এসব বিপদের সঙ্গে যুক্ত হলো করোনার আঘাত।
নেইমারের হতাশা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।
গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।
আরো পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।
খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ