‘টিউলিপের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ হলে তা হবে গণঅভ্যুত্থানের সাথে প্রতারণা’
Published: 10th, June 2025 GMT
ছাত্র-জনতাকে খুন এবং এ দেশের মানুষের অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত টিউলিপ সিদ্দিকীর সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ হলে তা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সাথে প্রতারণা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ।
সোমবার (৯ জুন) বিকেলে হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের পর্যটন কেন্দ্র কমলার দিঘীর পাড়ে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে ভিটেমাটি হারা স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হান্নান মাসউদ বলেন, ১৯৭১ সালের পর সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া স্বাধীন হয়েছে। মালয়েশিয়া পেয়েছিল মাহাথির মোহাম্মদের মতো সৎ ও নিষ্ঠবান শাসক। আর আমরা পেয়েছি শেখ মুজিবের মত শাসক, যার আমলে এ দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।
এ দেশের ওপর ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে অনেক শাসকের পরিবর্তন হয়েছে। তার মধ্যে কেবল মেজর জিয়া এদেরকে প্রকৃত পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছেন। ভারতের আগ্রাসী মনোভাব আমাদের মেজর জিয়াকে বাঁচতে দেয়নি।
শেখ হাসিনার পতন এ দেশে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের পতন নয়, শেখ হাসিনার পতন মানে এদেশে ভারতীয় আধিপত্যের পতন।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে দুই হাজার মানুষ জীবন দিয়েছেন শুধু নির্বাচনের জন্য নয় উল্লেখ করে হান্নান মাসউদ বলেন, আপনারা নির্বাচন-নির্বাচন করছেন। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন। এদেশে নির্বাচন হবে, তবে তার আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। এদেশের সব ঘর থেকে অস্ত্র উদ্ধার হলে, প্রতিটি অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার হলেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে।
নিজ জন্মভূমি হাতিয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকে আমার কাছে জানতে চায়; আমি জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করেও কেন হাতিয়া নিয়ে ভাবছি। আমি তাদেরকে বলি, হাতিয়ার মানুষের দুঃখ, দুর্দশার ভাগাভাগি করতে হাতিয়া যাচ্ছি। দীর্ঘ সময় থেকে হাতিয়া সন্ত্রাসের আখড়ায় রূপ নিয়েছিলো। সেই সন্ত্রাসের আখড়া থেকে হাতিয়াকে বসবাসযোগ্য হাতিয়ার রূপ দেওয়ার জন্য আমি হাতিয়া নিয়ে ভাবছি।
হাতিয়া কলেজের সাবেক প্রভাষক মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড
প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।
৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।
আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫