দূষিত বায়ুর শহর হিসেবে আজ ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। স্কোর ১৪৩। রাজধানীর এই বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’। তালিকায় প্রথম ভারতের দিল্লি এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডের শহর আমস্টারডাম।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আইকিউএয়ারের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম অবস্থানে থাকা দিল্লির বায়ুর মানের স্কোর ১৭৬, দ্বিতীয় স্থানে থাকা আমস্টারডামের স্কোর ১৫৮। দুটির শহরের বাতাসই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত। তালিকায় ১৫৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। চতুর্থ স্থানে আছে চিলির সান্টিয়াগো, শহরটির বাতাসের মানের স্কোর ১৫১।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। 

আর স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র শহর

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের হামলায় যুক্তরাজ্য ১০০ শতাংশ জড়িত: ম

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ অভিযোগ করে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের ‘সন্ত্রাসী হামলায়’ যুক্তরাজ্য ১০০ শতাংশ জড়িত।

সোমবার (৯ জুন) মস্কোর ফিউচার ফোরাম-২০৫০-এ ভাষণ দিতে গিয়ে ল্যাভরভ বলেন, “যুক্তরাজ্যের সমর্থন ছাড়া ইউক্রেন অসহায় থাকত।” খবর আনাদোলুর।

তিনি রাশিয়ান নাগরিকদের ওপর ক্রমবর্ধমান হুমকির বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, “এই হুমকিগুলো যথেষ্ট গুরুতর। স্পষ্টতই, সবগুলো হামলা সরাসরি ইউক্রেন চালিয়েছে, কিন্তু যুক্তরাজ্যের সমর্থন ছাড়া ইউক্রেন অসহায় হত।”

আরো পড়ুন:

আবারো রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে সফল হামলার দাবি ইউক্রেনের

ইউক্রেনে আবারো ব্যাপক হামলা রাশিয়ার, নিহত ৫

মন্ত্রী আরো বলেন, “সন্ত্রাসী হামলা আরো বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে। শক্রদের দমন করতে আমরা সবকিছু করবো। আমরা তাদেরকে আমাদের নাগরিকদের ক্ষতি করতে দেব না।”

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক প্রসঙ্গে ল্যাভরভ বলেন, “জো বাইডেন যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সেই সময়ের তুলনায় মস্কো ও ওয়াশিংটন ইতিমধ্যেই ভালো অবস্থানে রয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “একই সময়ে এটা স্পষ্ট যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রস্তাবিত মধ্যবর্তী ও স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ওপর স্থগিতাদেশ ওয়াশিংটন গ্রহণ করবে না।” ক্রেমলিনের প্রস্তাবটি প্রত্যাখান করায় তিনি হোয়াইট হাউজের সমালোচনা করেন।

মধ্যবর্তী-পাল্লার পারমাণবিক বাহিনী চুক্তি (আইএনএফ চুক্তি) ছিল ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি যুগান্তকারী শীতল যুদ্ধ চুক্তি। এটি ৫০০ কিলোমিটার থেকে ৫,৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে পাল্লার সমস্ত ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন, পরীক্ষা এবং মোতায়েনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

চুক্তিটি ইউরোপে দুর্ঘটনাজনিত পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিল।

২০১৯ সালে, যুক্তরাষ্ট্র আইএনএফ চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়, যার ফলে চুক্তিটি বাতিল হয়ে যায়। তারপর থেকে ন্যাটোর অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ এবং পশ্চিমাদের কাছ থেকে পারস্পরিক সহযোগিতার অভাব নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে রাশিয়া ইউরোপে মাঝারি ও স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের উপর একতরফা স্থগিতাদেশ বজায় রেখেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ