দেশের সিনেমা যেন নতুন এক যুগে পদার্পণ করল। হলিউড–বলিউডের মতো এবার বাংলাদেশের সিনেমায়ও জায়গা পেল বড় তারকাদের অতিথি চরিত্র। সিনেমার বাইরে ঈদের অতিথি চরিত্র নিয়েই এখন দর্শকেরা বেশি আলোচনা করছেন। ঢালিউড দর্শকেরা প্রশংসা করছেন দুই সিনেমার তিন অতিথি চরিত্র নিয়ে, যা দর্শকের জন্য ছিল বাড়তি পাওয়া।

‘চারদিকে এখন শুধু একটাই আলোচনা; সিনেমার অতিথি চরিত্র। এটা সাড়া ফেলেছে ঢালিউডে’, ফেসবুকে লিখেছেন শিহাবুদ্দিন নামের এক দর্শক। তিনি লিখেছেন, ‘সুড়ঙ্গ সিনেমায় দর্শক চমক হিসেবে পেয়েছিল মাসুদ চরিত্রকে, যে সামান্য ইলেকট্রিশিয়ান হয়ে ব্যাংক লুট করে। তাকে আবার সিনেমায় দেখে বেশ অবাক হয়েছি। মাসুদ এবার ঝড় হয়ে ফিরছে। মিখাইল বনাম মাসুদ কনফ্লিক্ট হয়তো রাফীর পরবর্তী সিনেমায় জমে যাবে। বাংলা সিনেমায় এটাই এত দিন খুঁজেছি।’

তাণ্ডব সিনেমায় অতিথি চরিত্রে কোন কোন অভিনেতাকে দেখা যাবে, তা নিয়ে দীর্ঘ সময় ভক্তরা আলোচনা করেছেন। মুক্তির আগে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এটা নিয়ে মুখ খোলেনি। সিনেমা দেখতে গিয়ে দর্শকেরা বড় ধরনের চমক পেয়েছেন। সাব্বির নামের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘সিনেমায় অতিথি চরিত্র থাকায় ভালো লেগেছে। সবাই মিলেমিশে কাজ করলে ইন্ডাস্ট্রি ভালো একটা জায়গায় দাঁড়াবে। কিন্তু এটা এমনটা হওয়া উচিত নয় যে মূল চরিত্রকে ছোট করে অতিথি চরিত্রকে বড় করে দেখতে হবে। শাকিব খান অন্য পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন। শাকিব খানকে তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতেই হবে। হিংসা করে প্রাপ্য সম্মানটুকু না দিলে আরেকটি শাকিব খান তৈরি হবে না।’

শোনা যাচ্ছে, তাণ্ডব-এ অতিথি চরিত্রে অভিনয় করে বাজিমাত করেছেন আরেক নায়ক সিয়াম আহমেদ। সিনেমায় তাঁর চরিত্রের উপস্থিতি ও উপস্থাপন দর্শক পছন্দ করেছেন। আদনান নামের একজন ‘ঈদে দেখা এখন পর্যন্ত কোনো সিনেমা থেকে পাওয়া সেরা উপহার। সিয়াম আহমেদের উপস্থিতি অসাধারণ। এমন চরিত্র নিয়ে আরও বেশি সিনেমা হোক। তাহলে দর্শক আরও বেশি হলমুখী হবেন। সিনেমায় নতুনত্ব আসবে। সবার সিনেমাটি দেখা উচিত।’

ঈদে হলসংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শরীফুল রাজ অভিনীত সিনেমা ইনসাফ। এই সিনেমা নিয়েও ভক্তদের আগ্রহের জায়গা তৈরি হয়েছে। সিনেমার শো–সংখ্যাও আগের চেয়ে বেড়েছে। ভক্তদের চমকে দিয়েছে এই সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরীর স্বল্প সময়ের উপস্থিতি। হাসনা রোজি নামের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘অনেক মারামারি আছে এই সিনেমায়। কিন্তু গল্পটা কেমন, সেটাই দেখতে আসা। আর ফারিণ প্রথম কেমন অভিনয় করল, সেটা দেখতে আসছি। এসে দেখি, চঞ্চল চৌধুরীও রয়েছেন। এসব চমক দারুণ লাগে। শাহরুখ, আমির খানদের মতো আমাদের সিনেমায়ও বড় তারকার অতিথি চরিত্র নিয়মিত আসুক। এটা একটি রোমাঞ্চ তৈরি করে। নানা বৈচিত্র্য নিয়ে দেশের সিনেমা এগিয়ে যাক।’ ইনসাফ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সঞ্জয় সমাদ্দার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চর ত র ন য় ন ম র এক কর ছ ন উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রুতই পূর্বাচলে বনাঞ্চলের সীমানা চিহ্নিত করা হবে : উপদেষ্টা

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্বাচলে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা চিহ্নিত করা হবে।  তিনি বলেন, ‘‘পূর্বাচলে এখানে মোটামুটি একটা সতেজ বনই আছে। এখন এ বনের সীমানা চিহ্নিতকরণ জরুরী এবং দ্রুতই এটা করা হবে।’’ 

মঙ্গলবার (১০ জুন) ঢাকায় পূর্বাচলে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল পরিদর্শনকালে তিনি  এ কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এটা এমন একটা ফরেস্ট হতে পারে যেটা ঢাকাবাসীরা মনে করবে যে এটা তাদের কাছাকাছি আছে, তারা এসে এটা দেখবে।’’   

পরিবেশ উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘‘ভুল বনায়ন নীতি, আমাদের নগরায়ন, আমাদের শিল্পায়ন এসব কিছুর কারণে আসলে এখানে শালবনটা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। রাজউকের পূর্বাচল দ্বিতীয় পেজের ভিতরে রাজউক এ বনটিকে ঢুকিয়ে ফেলেছিল কিন্তু আমরা বহু কষ্ট করে, আইনি লড়াই করে এই বনটুকুকে বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি, যা কিনা ১৪৪ একরের মতো হবে।’’  

তিনি বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করব,  প্রধানত শাল গাছের চারা দিয়ে বনটাকে ফিরিয়ে আনা। এই এলাকার যে ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য, এটা একটা গড় এলাকা।’’  

রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, ‘‘এখানে যেটুকু ফাঁকা জায়গা আছে সেখানে আমরা চেষ্টা করব যাতে প্রাকৃতিক উপায়ে যেন শালবনটা ফেরত আসে। এছাড়া এখানে ফাঁকা জায়গাটা যেন বেদখল হতে না পারে, সেজন্য প্রাকৃতিক আবহে কিছু শাল গাছের চারা ফাঁকা জায়গাগুলোতে রোপন করা হবে।  আর শালের যে কূল আছে সেখান থেকে যেন আপনিআপনিই  বনটা পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।’’  

উপদেষ্টা  জানান, এই এলাকাটা আগে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বন হিসেবে চিহ্নিত করা ছিল। নতুন করে এখন এটাকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘‘বনে জায়গার ভিতরে প্রথাগত বনবাসী না হলে অন্য কারো থাকার কোন সুযোগ নেই, ফলে এ বনের জায়গার মধ্যে যারা অবৈধ দখলদার আছে, তাদের দ্রুতই বনের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।’’ 

এ সময় বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ছানাউল্ল্যা পাটওয়ারী, বিশিষ্ট বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আলী রেজা খান, সামাজিক বন বিভাগ ঢাকা অঞ্চলের বন সংরক্ষক হোসাইন মুহম্মদ নিশাদ, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা শারমিন আক্তার-সহ বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।   

ঢাকা/এএএম/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ