কেমন হতে পারে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশ
Published: 10th, June 2025 GMT
সাড়ে তিন বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচের দায়িত্বে হাভিয়ের কাবরেরা। এই স্প্যানিশ কোচের পছন্দের ফর্মেশন ৪-৩-১-২। অর্থাৎ মাঝমাঠে তিনজন আর রক্ষণে চারজন নিয়ে একাদশ সাজানো। যাকে বলে সলিড ডিফেন্সিভ ফর্মেশন। ইদানীং নিজের পছন্দের বাইরেও ম্যাচের ছক কষতে দেখা যাচ্ছে কাবরেরাকে। তাতে সাফল্যও মিলছে।
সর্বশেষ ঘরের মাঠে ভুটানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে চার ডিফেন্ডারের সঙ্গে দুজনকে মাঝমাঠ সামলানোর মূল দায়িত্ব দেন কাবরেরা। এরপর ফ্রন্টলাইনে রাখা হয় তিনজনকে।
আর নাম্বার নাইনে একজন। তাতে করে আক্রমণ তৈরির সম্ভাবনা আগের চেয়ে বেড়েছে। ফুটবলে অতি পরিচিত এই ৪-২-৩-১ ফর্মেশন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের সঙ্গেও ব্যবহার করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ। আজও সেভাবে একাদশ সাজাতে পারেন তিনি।
তেমনটা হলে আজ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আক্রমণভাগের নাম্বার নাইন পজিশনে বসুন্ধরা কিংসে খেলা রাকিব হোসেনকে রেখে দুই উইংয়ের ফাহমিদুল ইসলাম এবং শাহ কাজেম বা ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে দিয়ে শুরুর একাদশ সাজাতে পারেন কাবরেরা।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ: বড় পর্দায় খেলা দেখবেন যেসব জায়গায়১ ঘণ্টা আগেতবে শমিত সোম যোগ দেওয়ায় মাঝমাঠ নিয়ে মধুর বিড়ম্বনায় পড়েছেন কোচ। ভুটান ম্যাচে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে হামজা চৌধুরীর সঙ্গে সোহেল রানা আর অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে জামাল ভূঁইয়াকে খেলান তিনি। শমিত আসায় মাঝমাঠ পরিবর্তন করা ছাড়া উপায় নেই। সে ক্ষেত্রে সোহেলকে বসিয়ে শমিতকে, আবার জামালের জায়গায়ও শমিতকে দেখা যেতে পারে।
অবশ্য গোলপোস্টের নিচে মিতুল মারমার জায়গা বলা যায় নিশ্চিতই। সেন্টার ব্যাকে অভিজ্ঞ তপু বর্মণ এবং তারিক কাজীও থাকছেন। রাইট ব্যাক ও লেফট ব্যাক পরিবর্তন আসতে পারে।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে কাবরেরার পরিকল্পনার কেন্দ্রে থাকবেন হামজা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক বর র
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন
পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান, অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।
গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়।
তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”
নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/ইভা