সাড়ে তিন বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচের দায়িত্বে হাভিয়ের কাবরেরা। এই স্প্যানিশ কোচের পছন্দের ফর্মেশন ৪-৩-১-২। অর্থাৎ মাঝমাঠে তিনজন আর রক্ষণে চারজন নিয়ে একাদশ সাজানো। যাকে বলে সলিড ডিফেন্সিভ ফর্মেশন। ইদানীং নিজের পছন্দের বাইরেও ম্যাচের ছক কষতে দেখা যাচ্ছে কাবরেরাকে। তাতে সাফল্যও মিলছে।

সর্বশেষ ঘরের মাঠে ভুটানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে চার ডিফেন্ডারের সঙ্গে দুজনকে মাঝমাঠ সামলানোর মূল দায়িত্ব দেন কাবরেরা। এরপর ফ্রন্টলাইনে রাখা হয় তিনজনকে।

আর নাম্বার নাইনে একজন। তাতে করে আক্রমণ তৈরির সম্ভাবনা আগের চেয়ে বেড়েছে। ফুটবলে অতি পরিচিত এই ৪-২-৩-১ ফর্মেশন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের সঙ্গেও ব্যবহার করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ। আজও সেভাবে একাদশ সাজাতে পারেন তিনি।

তেমনটা হলে আজ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আক্রমণভাগের নাম্বার নাইন পজিশনে বসুন্ধরা কিংসে খেলা রাকিব হোসেনকে রেখে দুই উইংয়ের ফাহমিদুল ইসলাম এবং শাহ কাজেম বা ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে দিয়ে শুরুর একাদশ সাজাতে পারেন কাবরেরা।

আরও পড়ুনবাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ: বড় পর্দায় খেলা দেখবেন যেসব জায়গায়১ ঘণ্টা আগে

তবে শমিত সোম যোগ দেওয়ায় মাঝমাঠ নিয়ে মধুর বিড়ম্বনায় পড়েছেন কোচ। ভুটান ম্যাচে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে হামজা চৌধুরীর সঙ্গে সোহেল রানা আর অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে জামাল ভূঁইয়াকে খেলান তিনি। শমিত আসায় মাঝমাঠ পরিবর্তন করা ছাড়া উপায় নেই। সে ক্ষেত্রে সোহেলকে বসিয়ে শমিতকে, আবার জামালের জায়গায়ও শমিতকে দেখা যেতে পারে।

অবশ্য গোলপোস্টের নিচে মিতুল মারমার জায়গা বলা যায় নিশ্চিতই। সেন্টার ব্যাকে অভিজ্ঞ তপু বর্মণ এবং তারিক কাজীও থাকছেন। রাইট ব্যাক ও লেফট ব্যাক পরিবর্তন আসতে পারে।

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে কাবরেরার পরিকল্পনার কেন্দ্রে থাকবেন হামজা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক বর র

এছাড়াও পড়ুন:

৫৮ দিন পর সাগর যাত্রার প্রস্তুতি জেলেদের

আজ বুধবার মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরার উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তাই গভীর সমুদ্রে যাত্রার শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। ভারতের সঙ্গে মিল রেখে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এবছর প্রচুর ইলিশ মিলবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরার উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এ বছরই প্রথম ভারতের সঙ্গে মিল রেখে এ অবরোধ দেওয়া হয়। দুই দেশের একসঙ্গে অবরোধের কারণে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকেন জেলেরা। এ কারণে সামুদ্রিক ৪৭৫ প্রজাতির মাছের সুষ্ঠ প্রজনন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এবার কোমর বেঁধে সাগরে নামার শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা।বুধবার (১১ জুন) সকাল থেকে দেখা গেল কেউ ট্রলারে রং করছেন, কেউ ট্রলারে জাল তুলছেন, কেউ আবার বরফ কিংবা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলছেন। মোটকথা যেন দম ফেলার ফুরসত নেই জেলেদের। 

লতাচাপলী ইউনিয়নের মুসল্লিয়াবাদ গ্রামের জেলে হোসেন মাঝি বলেন, “ভারতের সঙ্গে মিল রেখে এ বছর অবরোধ দেওয়ায় সাগর অনেকটা নিরাপদ ছিল। আশা করছি আমাদের জালে এ বছর প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়বে।”

মহিপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের জেলে তোফায়েল মিয়া বলেন, “দীর্ঘ ৫৮ দিন একেবারে বেকার ছিলাম। কিছু টাকা ঋণগ্রস্ত হয়েছি। এছাড়া মহাজনও দাদনের টাকা পাবে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি সরকার মেনে নেওয়ার কারণে আশা করছি আমরা এবছর ভালো পরিমাণে মাছ পাবো। তারপরও যদি মাছ না পাই তাহলে অন্য কাজ করতে হবে। এ পেশাই ছেড়ে দিতে হবে।”

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, “অবরোধ শতভাগ সফল হওয়ায় মাছের সুষ্ঠ প্রজনন হয়েছে। তাই জেলেরা তাদের কাঙ্খিত মাছ শিকার করতে পারবেন বলে আশা করছি।”

ঢাকা/ইমরান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ